প্রথমে নির্ধারণ করা হয় ৬ ডিসেম্বর। ফ্র্যাঞ্চাইজি বাতিলের পর সেই তারিখ নিয়ে তৈরি হয় অনিশ্চয়তা। একেকবার বিসিবির পক্ষ থেকে আসে একেক ঘোষণা। কখনো বলা হয় পেছানোর কথা, কখনো আবার সময়মতই শুরুর কথা জানানো হয়। এবার বিপিএল গর্ভনিং কাউন্সিলের চেয়ারম্যান শেখ সোহেল জানালেন এবারের বিশেষ আসরটি পিছিয়ে যেতে পারে ৭ থেকে ১০ দিন।
গতকাল বিসিবি কার্যালয়ে বিপিএল নিয়ে বৈঠকে বসেন বোর্ড পরিচালকরা। ফ্র্যাঞ্চাইজি বাতিল হওয়ায় এবার বিসিবিই সাতটি দলকে পরিচালনা করবে। আগের কথা মতই বিপিএল আয়োজন হবে জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানে নামে। বিসিবি পরিচালনা করলেও সাতটি দলের জন্য নেওয়া হচ্ছে আলাদা স্পন্সর। এরমধ্যে ছয়টি ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান বিপিএলের দলগুলোর স্পন্সর হিসেবে থাকতে আগ্রহী হয়েছে। আগ্রহীরা হলো, আক্তার গ্রুপের মালিকানাধীন ডেল্টা স্পোর্টস লিমিটেড, লেভেল থ্রি ক্যারিয়ার লিমিটেড, টাইগার আইটি বাংলাদেশ লিমিটেড, সাগর ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড, মাইন্ড ট্রি, জিন্স ম্যানুফেকচারিং কোম্পানি লিমিটেড। এই ছয় প্রতিষ্ঠানের মধ্যে চার প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বৈঠক করেন বোর্ড কর্তারা।
সভা শেষ শেখ সোহেল জানান অগ্রগতি। তবে শুরুর তারিখ নিয়ে রেখে দেন ধোঁয়াশা, ‘আমরা আস্তে আস্তে এগুচ্ছি। একটা (সভা) শেষ করলাম কেবল। যেহেতু বিপিএল আমরা যে তারিখ বলছিলাম, যে ৬ ডিসেম্বর শুরু হবে, হয়ত এক সপ্তাহ থেকে দশদিন পেছাতে পারি।’ তবে জানুয়ারিতে পাকিস্তানের সঙ্গে সিরিজ আছে বাংলাদেশের। বিপিএল পিছিয়ে গেলেও ওই সিরিজের সঙ্গে মিল রেখেই টুর্নামেন্টটি আয়োজন করার কথা জানান বোর্ড পরিচালক মাহবুব আনাম, ‘আপনারা জানেন যে এরপরে একটি আন্তর্জাতিক সিরিজ আছে (পাকিস্তান), ওই সিরিজটার সাথে সামঞ্জস্য রেখে আমরা বিপিএলটা খেলব। সুতরাং বিপিএল খেলার জন্য আমাদের যেটুকু সময় লাগে সেটুকু পুর্নাঙ্গ সময় নিয়েই আমরা বিপিএল খেলব। আরও দুটো স্পন্সরশিপ যারা চেয়েছেন তাদের সাথে মিটিংটা শেষ করার পরেই গভর্নিং কাউন্সিল দ্রুতই সিদ্ধান্ত জানাবে।’
সব কিছু অগ্রগতি হলে কেন পেছানোর হবে তার কারণ ব্যাখ্যা করতে শেখ সোহেল জানান, সংকটময় পরিস্থিতি তৈরি হলে পেছানো হতে পারে এই আসর।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন