শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

ভিসি পদ ছেড়ে যুবলীগ প্রধান হতে চেয়ে সমালোচনায় মীজান

আবদুল মোমিন | প্রকাশের সময় : ১৯ অক্টোবর, ২০১৯, ১২:৫৯ পিএম

ভিসি পদ ছেড়ে যুবলীগের দায়িত্ব নিতে চেয়ে কঠোর সমালোচনার মুখে পড়েছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ভিসি প্রফেসর ড. মীজানুর রহমান। বৃহস্পতিবার এক টকশোতে এই আগ্রহের কথা জানান তিনি। ভিসি পদের চেয়ে বর্তমানে বিতর্কের শীর্ষে থাকা আওয়ামী লীগের অঙ্গসংগঠন যুবলীগের চেয়ারম্যান পদকে প্রাধান্য দেয়ায় তোলপাড় শুরু হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। ফেইসবুকে অনেকেই এখন প্রশ্ন তুলেছেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির পদ বড় না যুবলীগের সভাপতি পদ? আর সম্মানের দিক থেকে কোনটি বেশি সম্মানের?

টকশোতে যুবলীগের সভাপতিমণ্ডলীর এক নম্বর সদস্য ড. মীজানুর রহমান বলেন, ‘আমি উপাচার্য হওয়ার পর আর কোনো (যুবলীগের ) মিটিংয়ে যাই না। তবে যদি আমাকে এখনো বলা হয় যুবলীগের দায়িত্ব নিতে হবে, আমি ভাইস চ্যান্সেলরের পদ ছেড়েই দায়িত্ব নেব। কারণ, এটা এতো ভালোবাসার একটি সংগঠন, আমি উপাচার্যশিপ ছেড়ে দিতে রাজি আছি।’

ফেইসবুকে ভিসির সমালোচনা করে মো. বেলাল লিখেছেন, ‘‘এই ভিসি সারাজীবন সরকারের তেলবাজি করতে করতে শরীরের ভিটামিন কমে গেছে এখন যুবলীগের চেয়ারম্যান হতে পারলে ভিটামিন পূরণ হবে। আর সে দেখলো এই জায়গা থেকে দুর্নীতি করা যায় কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করা যায়। যারা অতীতে ছিল সে দেখলো টাকার বস্তা ভর্তি প্রত্যেকের বাসায়, ব্যাংকে ভর্তি টাকা দেখে লোভ হয়ে গেছে। তাই যুবলীগের চেয়ারম্যান হতে পারলেই করা সম্ভব।’’

মাহবুর রহমান লিখেছেন, ‘‘এই মানুষগুলো তেলবাজি করতে করতে এমন একটা অবস্থায় গিয়েছে যে কখন নিজের মুখোস নিজেরাই উন্মোচন করে বসে সে বোধশক্তিও থাকে না।’’

‘‘এদের কাছ থেকে ছাত্ররা কি আদর্শ শিখবেন ভেবে দেখেছেন কি? এই কুরুচিপূর্ণ মানুষকে পদচ্যুত করা হউক’’ দাবি মোহাম্মাদ নজরুল ইসলামের।

ফেইসবুক ব্যবহারকারী মোঃ রিয়াদ হোসেন লিখেছেন, ‘‘রূপকথার 'আলাদিন' যদি ২০১৯ সালে বাংলাদেশে আসতো, তবে চেরাগ ঘষার মতো পরিশ্রম বাদ দিয়ে, ওই চেরাগ বিক্রি করে হইলেও আওয়ামী লীগের একটা পদের জন্য লড়তো!’’

গান্ধী তালুকদার লিখেছেন, ‘‘ওনি যুবলিগের সভাপতি হতে চান তার একটিই কারণ মাসে মাসে টাকার খাম পাবেন দলের পদ-পদবি বেঁচে মাল কামাবেন। ওমর ফারুকসাব ক্যাসিনোর টাকা আর যুবলীগের পদ বেঁচে ওনার ব্যাংকের দেনা শোধ করেছেন এই দশ বছরে।’’

‘‘দুইবার একটি বিশ্ববিদ্যালয় ভিসি হওয়ার পরও অর্থবৃত্ত লোভ মানুষকে ব্যক্তিত্বহীন করে ফেলে’ এমন মন্তব্য আব্দুল মান্নান ভু্ইয়ার।

সাইফ উল্লাহ লিখেছেন, ‘‘ওনার জিহ্বা অনেক বড় হয়ে গিয়েছে যার কারণে ভিসি(মহান) পদ ছেড়ে লোভনীয় পদে যেতে রাজি আছেন। আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ ওনার ব্যাপারে সাবধান!’’

রনি চৌধুরী লিখেছেন, ‘‘উনি শিক্ষকতা পেশা ছেড়ে ক্যাসিনোর মালিক হতে চান। এবার বুঝেন কেমন শিক্ষক সে?’’

ফারুক আহমেদ লিখেছেন, ‘‘বাংলাদেশে এখন পেশাজীবী, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারি রাজনৈতিক দলের সাথে মিলেমিশে একাকার হয়ে গেছে। এরা মাঝে মাঝে ভুলে যায় এদের অবস্থান কোথায়।’’

‘‘এই যদি হয়- বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ভিসিদের স্বপ্ন আর লক্ষ্য। তাহলে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো কতটুকু নিরাপত্তা আর শিক্ষার মান নিশ্চিত করতে সক্ষম তার জ্বলন্ত প্রমাণ বুয়েট’’ লিখেছেন মনির উদ্দিন।

তবে ভিসিকে যুবলীগের পদে স্বাগত জানিয়েছেন কেউ কেউ। তাদের মধ্যে সৈয়দ আহামাদ জানে আলম লিখেছেন, ‘‘শিক্ষিত লোক দলের মধ্যে থাকলে দলের আরো ভাবমূর্তি বাড়বে। অভিনন্দন ড. মিজনুর রহমান স্যারকে।’’

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন