সোমবার ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

শান্তি ও সমৃদ্ধির পথ ইসলাম

ইসলাম ও সভ্যতার সঙ্কট

উবায়দুর রহমান খান নদভী | প্রকাশের সময় : ২০ অক্টোবর, ২০১৯, ১২:০১ এএম

পৃথিবীর সব জায়গায় এখন সভ্যতার যে সঙ্কট চলছে তার সমাধান পরিপূর্ণরূপে ইসলামে রয়েছে। নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন দুনিয়াতে এসেছিলেন তখন দুনিয়া যেমনই থেকে থাকুক, এর সমস্যা যে ধরনেরই থেকে থাকুক কিংবা ছোট আকারে এর জনসংখ্যা যে পরিমাণই থেকে থাকুক—আজকের পৃথিবী মোটেও তার থেকে ভিন্ন নয়। এখনো পৃথিবীতে মানুষই বসবাস করছে। মানুষের দোষ-গুণ ও চরিত্র আগের মতোই আছে। এখানে সভ্যতার দ্ব›দ্ব, স্বার্থের সংঘাত, ক্ষমতার রাজনীতি, প্রতিপত্তি বিস্তার যেমন আছে ঠিক তেমনই দম্ভ, অহঙ্কার, শোষণ, অত্যাচার, অন্যায়, অবিচার, পাপ ও ব্যাভিচার সবই আছে। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির কারণে, মানুষ উন্নত ও শিক্ষিত হওয়ার কারণে, সবকিছুতেই গতি, ক্ষিপ্রতা, ব্যাপ্তি আর বৈচিত্র বহুগুণ বেড়েছে। আগে মানুষ সামনাসামনি অস্ত্র নিয়ে যুদ্ধ করত। জয়-পরাজয় লড়াইয়ের ময়দানে নির্ধারিত হতো। শোষণ ও জুলুমের একটি নির্দিষ্ট মাত্রা ছিল। মানুষের অধিকার বিনষ্ট হওয়ারও সীমাবদ্ধ রূপ ছিল। অর্থনৈতিক শক্তিও ছিল আঞ্চলিক ও অনেকটাই বৈচিত্রহীন। কিন্তু আজ দেড় হাজার বছরের ব্যবধানে পৃথিবী অনেক পাল্টে গেছে।

হিজরতের পর থেকে নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ওফাত পর্যন্ত এবং এর পর ত্রিশ বছর খেলাফতে রাশেদা ও পরবর্তী চৌদ্দ শ’ বছর ইসলাম ছিল পৃথিবীর জন্য আল্লাহর রহমতের বিশেষ ছায়া। বিশ্বনবীর আগমনের সূচনালগ্ন থেকে বিশেষ করে তাঁর দীনপ্রচার কাজ শুরুর দিন থেকে জাহান্নামী গোষ্ঠী তাঁর বিরোধিতা করতে শুরু করেছিল। মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর হিজরত, অনেকগুলো যুদ্ধ, বিজয় ও সন্ধি, মক্কা বিজয় এমনকি ওফাত পর্যন্ত তারা তাঁকে মোটেই স্বস্তি দেয়নি। নজিরবিহীন সদাচরণ, অপরিসীম ধৈর্য ও ক্ষমা, আল্লাহর নৈকট্যের জীবনব্যাপী সাধনা দিয়েই তিনি একটি নতুন জীবনব্যবস্থা কায়েম করেছেন। শত বাধা ও প্রতিক‚লতার ভেতর দিয়েই তিনি একটি নতুন জাতি, নতুন সভ্যতা, নতুন ধর্ম, নতুন সংস্কৃতি, নতুন জীবনবিধান ও নতুন বিশ্বব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করে গিয়েছেন। যার বিকাশে সাহাবায়ে কেরাম, তাবেয়ীন, তাবে তাবেয়ীন, আইম্মায়ে মুজতাহিদীন, মাশায়েখে তরীকত, ফাতেহীনে ইসলামসহ লাখো রিজালে দীন তাদের মূল্যবান জীবন উৎসর্গ করে গিয়েছেন।

১৯২৪ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত রাজনৈতিকভাবেও ইসলাম বিশ্বকে পথনির্দেশ দিয়ে এসেছে। এ সময় চৌদ্দ শ’ বছর পৃথিবীর মানবতা, সভ্যতা, জ্ঞান-বিজ্ঞান, শাসন ও বিচার, নীতি ও সংস্কৃতি—সবকিছুর নেতৃত্ব মুসলিম জাতির হাতেই ছিল। অন্ধকার যুগ, ইতিহাসপূর্ব যুগ কিংবা পশ্চিমা মধ্যযুগ কোনোটিই ইসলামের এ সহস্রাধিক বছরের মতো শান্তি ও সাফল্যের অভিযাত্রার কোনো নজির দেখাতে পারবে না।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (8)
Sabbir Ahamed ২০ অক্টোবর, ২০১৯, ১:৪৬ এএম says : 1
বর্তমানে বিশ্বের সর্বত্র মুসলমান জনগণ এক মহাসংকটকাল অতিক্রম করছে। যে সব দেশে মুসলমানগণ সংখ্যালঘু সেসব দেশের কোন কোনটিতে মুসলমান শুধু নিপীড়িত ও নির্যাতিত হচ্ছে শুধু তাই নয় বরং তাদেরকে নির্বিচারে হত্যা করা হচ্ছে, দেশ হতে বিতাড়িত করা হচ্ছে।
Total Reply(0)
মশিউর ইসলাম ২০ অক্টোবর, ২০১৯, ১:৪৬ এএম says : 1
জি একমত। তথাকথিত অহিংসবাদীদের হিংসাত্মক ও হিংস্র আক্রমণে মানবতা যখন বিপর্যস্ত তখন বিশ্বমানবতাবাদীদের নিরব ভূমিকা শত প্রশ্নের জন্ম দেয় বৈ কি। শান্তিতে নোবেল বিজেতা যখন নিজ দেশের বর্বরতাকে চোখে দেখতে পান না তখন তার নোবেল জয় বিশ্বের সত্যিকারের শান্তিপ্রিয় মানুষগুলোকে বেদনাহত না করে পারে না।
Total Reply(0)
মাওদুদ ২০ অক্টোবর, ২০১৯, ১:৪৮ এএম says : 1
"সভ্যতা ও সংস্কৃতির সমন্বয়ে মানব সমাজ গঠিত । সমাজবিজ্ঞানীদের মতে সভ্যতা মানুষের বস্তুগত সৃষ্টি আর সংস্কৃতি অবস্তুগত । যেমন : চা-বাগান বা চা প্রক্রিয়াজাত করার কারখানা সভ্যতার অন্তর্ভুক্ত । কিন্তু চা খাওয়ার যে প্রচলন ইংরেজরা আমাদের শিখিয়ে গেছে তা সংস্কৃতি ।
Total Reply(0)
বাউল সম্রাট ২০ অক্টোবর, ২০১৯, ১:৪৮ এএম says : 1
বর্তমানে আমরা চারিদিকে যে আধুনিক সভ্যতার জয়জয়কার দেখি তা এসেছে মূলত পাশ্চাত্যের ভোগবাদী সমাজ থেকে । মুসলিম অমুসলিম নির্বিশেষে প্রায় সকল দেশেই পাশ্চাত্য সংস্কৃতির প্রভাব আজ প্রবল । সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিকসহ এই সর্বব্যাপী আগ্রাসনের বিরুদ্ধে মুসলমানদের রুখে দাঁড়ানোর একমাত্র অস্ত্র ইসলাম । তাই বিশ্বজুড়ে কর্তৃত্ব খাটানোর জন্য পশ্চিমারা ইসলামকে সবচেয়ে বড় হুমকি বলে মনে করে ।
Total Reply(0)
সাগর জাহান ২০ অক্টোবর, ২০১৯, ১:৫০ এএম says : 1
ইসলাম আর পশ্চিমা সভ্যতার মূল দ্বন্দ্বটা কোথায়? কী সেই নৈতিক ভিত্তি যাকে এত ভয় পায় পশ্চিমা সভ্যতা? কেমন করে নৈতিক মূল্যবোধ, আল্লাহর দাসত্ব এবং ইসলামের আচার-ব্যবস্থা মিলে মিশে একাকার
Total Reply(0)
Abdul Matin ২০ অক্টোবর, ২০১৯, ৩:২২ এএম says : 2
It is meaningless to say "Islam has the solution" Allah will change the situation if people change their situation, behavior and performance by themselves . The current process of politics in the name Islam will never be successful. Rather it will bring difference among believing people. Blaming nonbelievers is not the is not the solution You can not keep people believing and maintaining proper nature (amal) by enforcing state laws. You cannot change any people , only Allah can(Hadi). If you are a sincere believer and try to convince people, Allah will change the situation for you
Total Reply(0)
llp ২০ অক্টোবর, ২০১৯, ৪:১২ এএম says : 1
You need new answers to old questions to solve the faith crisis in the muslim world. For example, you can give new answer to polygamy question in Islam. Human gene likes diversity, and so naturally a father of two children from a single mother will have less diversity in his offspring as compared to a father of two children from two mothers with one child per mother. For sound mental health of a child a child need to see love and compassion between his father and mother. It is in our gene and that's why polygamy is allowed in Islam. In top polygamy can drastically reduce population of one employs a four-wife-one-child policy in a society where man-woman ratio is equal like Bangladesh. You have to give new up-to-date answer to old questions to our youth.
Total Reply(0)
Andur rahman ২০ অক্টোবর, ২০১৯, ২:০৭ পিএম says : 0
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন