ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষয়ক্ষতি রোধ ও ইতিহাসের সবচেয়ে বেশি মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে আসার সফলতায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কৃতিত্ব রয়েছে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী ঘণ্টায় ঘণ্টায় আমাদের কন্ট্রোল রুমে ফোন করেছেন, আমাদের প্রস্ততি সম্পর্কে জেনেছেন। এছাড়া মাঠপর্যায়ে কতটুকু অগ্রগতি হয়েছে, সেটারও খবর নিয়েছেন। ঘূর্ণিঝড়ের সময় সার্বক্ষণিক যোগাযোগ করে প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দেওয়ায় সবাই উৎসাহিত হয়েছেন।
রোববার সচিবালয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে একথা বলেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী।
এনামুর রহমান বলেন, সরকারি তথ্যে ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের তান্ডবে দু’জন নিহত ও আহত হয়েছেন ৩০ জন। এসময় চার থেকে পাঁচ হাজার কাঁচা ঘরবাড়ি আংশিক বিধ্বস্ত হয়েছে। আর ইতিহাসের সবচেয়ে বেশি ৫ হাজার ৫৮৭টি আশ্রয়কেন্দ্রে ২১ লাখ ৬ হাজার ৯১৮ জনকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।ন্দ্র
আশ্রয়কেে মানুষ আসতে না চাইলেও এবার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সফলতার পেছনের কাহিনী তুলে ধরে দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রেখেছেন। তিনি ঘণ্টায় ঘণ্টায় আমাদের কন্ট্রোল রুমে ফোন করেছেন, আমাদের প্রস্ততি সম্পর্কে জেনেছেন। এছাড়া মাঠপর্যায়ে কতটুকু অগ্রগতি হয়েছে, সেটারও খবর নিয়েছেন।
তিনি বলেন, সুদীর্ঘ রাজনীতি ও সরকার পরিচালনা থেকে প্রধানমন্ত্রী যে অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন, সে অভিজ্ঞতা থেকে আমাদের নির্দেশনা দিয়েছেন। আমরা তার নির্দেশনা পেয়ে উদ্বুদ্ধ হয়েছি, উৎসাহ পেয়েছি, শক্তি পেয়ে আমরা মানুষের নিরাপত্তার জন্য কাজ করেছি। আল্লাহর রহমত ও আপনাদের সহযোগিতায় এই ঘূর্ণিঝড়কে আমরা সফলভাবে মোকাবিলা করেছি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ঘূর্ণিঝড় বুলবুল পশ্চিমবঙ্গে আঘাত করার পর সুন্দরবনে আঘাত করেছে। সুন্দরবন আমাদের প্রটেকশন, সেটা ঝড়টাকে আরও দুর্বল করার পর এটি উপকূলের জেলাগুলোতে গেছে। ঝড় ১৪০ থেকে ১৫০ কিলোমিটার প্রকৃত গতিবেগ নিয়ে সরাসরি বাংলাদেশ আঘাত হানলে ভয়াবহতা আরও বেশি হতো। বিপদসংকেত যা দেওয়া হয়েছিল, তা সঠিক ছিল।
তিনি বলেন, সুন্দরবন সবুজ বেষ্টনী হিসেবে কাজ করে। এর ওপর অনেক অত্যাচার হয়। সেখানে আরও গাছ লাগিয়ে সক্ষমতা বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হবে।
ঘূর্ণিঝড়ের সবশেষ অবস্থা সম্পর্কে এনামুর রহমান বলেন, বুলবুল পশ্চিমবঙ্গে আঘাত করে দুর্বল হয়ে বাংলাদেশে সুন্দরবন দিয়ে প্রবেশ করে সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাটে রয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন