ঘূর্ণিঝড় বুলবুলি’র ওপর ভর করে আসা স্মরনকালের ভয়াবহ বৃষ্টিপাত সমগ্র দক্ষিণাঞ্চলকে এবার সয়লাব করে দেয়। স্মরনকালের ভয়াবহ এ বর্ষনে দক্ষিণাঞ্চলের প্রায় সোয়া ৮লাখ হেক্টর জমির ফসল ও লক্ষাধিক হেক্টর জমির পুকুর ও মাছের ঘের প্লাবিত হয়েছে। পানিতে পানিতে সয়লাব হয়ে কোটি কোটি টাকার মাছ পুকুর ও ঘের থেকে বের হয়ে গেছে। ফলে কৃষকদের মত মৎস্য চাষীদেরও এখন মাথায় হাত। শহর-বন্দরÑগ্রাম সর্বত্রই ছিল শুধু পানি আর পানি। ফসলি জমি সহ রাস্তাঘাট থেকে শুরু করে জনপদের পর জনপদ শুধু পানিতে থৈ থৈ করছিল। রবিবার সকাল ৬টা থেকে দুপুর ৩টা পর্যন্ত বরিশালে ২৬৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়। যা ছিল ঐদিন দেশের সর্বাধিক ও দক্ষিণাঞ্চলে সর্বকালের ইতিহাসে এত স্বল্প সময়ে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত। ঐ বৃষ্টিপাতে বরিশাল মহানগরীর সাথে পাশর্^বর্তি কির্তনখালা নদী একাকার হয়ে যায়। এখনো নগরীর অনেক রাস্তাঘাট পানির তলায়। ফসলি জমি থেকেও পানে সরেনি এখনো।
বুলবলি আঘাত হানার দিন সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ঘন্টায় ২৬.৩৩ মিলিমিটার হিসেবে ১৫৮ মিলিমিটার এবং দুপুর ১২টা থেকে ৩টা পর্যন্ত ঘন্টায় ৩৪.৩৩ মিলিমিটার করে ১০৩মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে বরিশালে। এ নিয়ে চলতি মাসের প্রথম দিনে বরিশালে ৩৬৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হেেয়ছে। যা স্বভাবিকের প্রায় দ্বিগুন।
স্মনকালের এ ভয়াবহ বর্ষনে দক্ষিণাঞ্চলে প্রায় সোয়া ৭ লাখ হেক্টরের আমন ফসলের পুরোটাই এবং লক্ষাধিক হেক্টরের শীতকালীন শাক-সবজি ছাড়াও রবি ফসল পানির তলায় চলে গেছে। যা এখনো প্লাবনমূক্ত হয়নি। কৃষিবিদদের মতে, প্লাবিত রবি ফসল রক্ষার কোন সুযোগ নেই। তবে আমন জমি থেকে যত দ্রুত পানি সরে যাবে ততই মঙ্গল। উঠতি আমন ফসলের বেশীরভাগই এখন থোর পর্যায়ে রয়েছে। ফলে এসব জমির ধানের বেশীরভাগই চিটা হবার আশংকা রয়েছে বৃষ্টির পানির কারনে। কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তর মাঠ থেকে ক্ষয়ক্ষতির তথ্য সংগ্রহ করছে বলে জানিয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন