ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’র প্রভাব ও অতিরিক্ত বৃষ্টিপাতে চাঁদপুরে মাঠে থাকা ফসলের ৮ কোটি ৭০ লাখ ৭৭ হাজার ৮৬৩ টাকার ক্ষতিসাধিত হয়েছে। ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন ২ হাজার ৬শ’ ১০জন কৃষক। গত ৮ নভেম্বর থেকে ১১ নভেম্বর পর্যন্ত ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব বিস্তার করে। এ সময়ে বৃষ্টিপাত ও ঝড়ো হাওয়া অব্যাহত ছিলো।
চাঁদপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানাগেছে, চলতি মৌসুমে মাঠে থাকা ফসলের মধ্যে ঘূর্ণিঝড়ে রোপা আমন ২শ’ হেক্টর, সরিষা ১৫১ হেক্টর, খেসারি ১০ হেক্টর, আলু ৫০ হেক্টর, চীনা বাদাম ১০ হেক্টর, শীতকালীন শাকসব্জি ৬৩০ হেক্টরসহ ১ হাজার ৫১ হেক্টর জমির ফসল ক্ষতিসাধিত হয়েছে।
উল্লেখিত ফসলের মধ্যে আংশিক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে ১ হাজার ৫১ হেক্টর জমির ফসল। মাঠে থাকা ফসলের ২১.০৪% ক্ষতি নির্ণয় করা হয়েছে। আংশিক ক্ষতিগ্রস্থ জমিকে পূর্ণ ক্ষতির একরে রূপান্তর করে দাঁড়িয়েছে ২২১.২০ হেক্টর। উৎপাদন আকারে ক্ষতির সম্ভাব্য পরিমাণ ২ হাজার ৮শ’ ৭২ মেট্টিক টন। যা টাকার অংকে ৮ কোটি ৭০ লাখ ৭৭ হাজার ৮৬৩টাকা।
বৃহস্পতিবার চাঁদপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের প্রতিবেদনে উল্লেখ্য করা হয় ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের মধ্যে ১ বিঘা পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকের সংখ্যা ১৫১০জন, ১ থেকে ৩ বিঘা পর্যন্ত ১হাজার জন এবং ৩ থেকে ৫ বিঘা পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্থ কৃষক ১শ’ জন।
খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, জেলার ফরিদগঞ্জ ও মতলব উত্তর উপজেলার দু’টি সেচ প্রকল্প এলাকায় উল্লেখিত ফসলের ক্ষতির পরিমান বেশী। এছাড়াও চাঁদপুর সদর, মতলব দক্ষিণ, হাইমচর, হাজীগঞ্জ, শাহরাস্তি ও কচুয়ায় উপজেলার কৃষি জমিতে আংশিক ক্ষতিসাধিত হয়েছে।
চাঁদপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা নরেশ চন্দ্র দাস বলেন, উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কার্যালয় থেকে প্রাপ্ত তথ্যমতে ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষয়ক্ষতির প্রতিবেদন প্রস্তুত করা হয়েছে। এতে সবচাইতে বেশি ক্ষতি হয়েছে মতলব উত্তর উপজেলার সেচ প্রকল্প এলাকায়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন