শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

খেলাধুলা

খুলনাকে গুঁড়িয়ে খাতা খুলল সিলেট

ফ্লেচারের সেঞ্চুরি

ইমরান মাহমুদ, চট্টগ্রাম থেকে | প্রকাশের সময় : ২২ ডিসেম্বর, ২০১৯, ১২:০০ এএম

শুরু থেকেই ঝড় তুলে গেলেন আন্দ্রে ফ্লেচার। পরে তার সঙ্গে যোগ দিয়েছেন আরেক জাতীয় দল সতীর্থ জনসন চার্লস। খেলে গেছেন আপন মহিমায়, ছাড়িয়ে যাচ্ছিলেন তাকেও। দুই ক্যারিবিয়ান মিলে খেলেছেন হাত খুলে। চালর্স ১০ রানের আক্ষেপে পুড়লেও ফ্লেচার তুলে নিয়েছেন বঙ্গবন্ধু বিপিএলের প্রথম সেঞ্চুরি। এই দুই ক্যারিবিয়ানের তান্ডবে ৫ উইকেটে ২৩২ রান তোলে সিলেট থান্ডার। আর তাতেই প্রথম জয়ের ভিত পায় আগের চার ম্যাচে হারা সিলেট। বিপিএলের ইতিহাসে এর চেয়ে বড় স্কোর আছে কেবল তিনটি।
জবাবে ১৮.৩ ওভারে ১৫২ রানেই গুটিয়ে যায় খুলনা টাইগার্স। ৮০ রানের এই জয়ে আগের তিন ম্যাচে অপরাজিতের তকমা নিয়ে উড়ছিল মুশফিকুর রহিমের দল। তাদের মাটিতে নামিয়েই ৫ ম্যাচে এই প্রথম পয়েন্টের খাতা খুলল মোসাদ্দেকের সিলেট।

তবে গতকাল চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি সিলেটের। আসরে প্রথমবারের মতো মাঠে নামা ওপেনার আব্দুল মজিদ ফিরে যান প্রথম ওভারেই। ক্রিজে গিয়েই ঝড় তোলেন চার্লস। দারুণ সঙ্গ পান ফ্লেচারের। দুই ক্যারিবিয়ান টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানের ব্যাটে দ্রæত এগোয় সিলেট। চার্লস পঞ্চাশ স্পর্শ করেন ২৫ বলে, ফ্লেচারের লাগে একটি বেশি। ২৮ বলে পঞ্চাশ স্পর্শ করা জুটি তিন অঙ্কে যান ৫২ বলে। জুটির পরের পঞ্চাশ আসে কেবল ১৭ বলে।

চার্লসকে এলবিডবিøউ করে ৭০ বল স্থায়ী ১৫০ রানের জুটি ভাঙেন শহিদুল ইসলাম। তার ৯০ রানে তার বিদায়ে লেখা হয় আরেকটি আক্ষেপের গল্প। মাত্র ৩৮ বলের ইনিংসে ১১টি চার ও ৫টি ছক্কা মারেন তিনি। ফ্লেচারের সঙ্গে গড়েন ৭০ বলে ১৫০ রানের দারুণ এক জুটি যা বিপিএলের ইতিহাসে সপ্তম সর্বোচ্চ।
সেই হতাশা খুব একটা স্থায়ী হতে দেননি সতীর্থ ফ্লেচার। ১৯তম ওভারে মোহাম্মদ আমিরকে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ছাড়িয়ে যান এবারের আসরে সর্বোচ্চ মুশফিকের ৯৬, পরের বলে সিঙ্গেল নিয়ে স্পর্শ করেন সেঞ্চুরি। ৫৩ বলে তিন অঙ্ক ছোঁয়া ফ্লেচার শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন ১০৩ রানে। তার ৫৭ বলের ইনিংসটি গড়া পাঁচ ছক্কা ও ১১ চারে। এ নিয়ে বিপিএলে সেঞ্চুরি হলো মোট ১৯টি। গত আসরেই হয়েছিল ছয়টি। যার চারটির সাক্ষী আবার এই সাগরিকা।

খুলনার হয়ে সর্বোচ্চ ২ উইকেট নেন রবি ফ্রাইলিঙ্ক। একটি করে শিকার ঝুলিতে পুরেন শফিউল, শহিদুল ও রবিউল।
রানতাড়ার জবাবে শুরুতে হোঁচট খায় খুলনাও। খাতা খোলার আগেই ফিরে যান আফগান মারমুখি ব্যাটসম্যান রহমানউল্লাহ গুরবাজ। তবে সাইফ হাসানকে নিয়ে জুটিতে দলকে এগিয়ে নিতে থাকেন রাইলি রুশো। তবে খুব বেশি অবদান রাখতে পারেননি দুজনের কেউই। রুশো (৫২) ফিফটি পেলেও ২০ রানে ফিরেছেন তরুন সাইফ। নিয়মিত রান পাওয়া মিস্টার ডিপেন্ডেবল মুশফিকও এদিন ব্যর্থ। দুটি চার দিয়ে ৮ বলে বিদায় নিয়েছেন ১২ রানে। শেষ পর্যন্ত চেষ্টা করে গেছেন রবি ফ্রাইলিঙ্ক, তবে সঙ্গীর অভাবে হার মেনেছেন তিনিও (৪৪)। বাকিদের ব্যর্থতায় কোনমতে দেড়শ’ পেরোয় উড়তে থাকা খুলনা।

সংক্ষিপ্ত স্কোর
সিলেট থান্ডার : ২০ ওভারে ২৩২/৫ (ফ্লেচার ১০৩*, মজিদ ২, চার্লস ৯০, মিঠুন ৩, মোসাদ্দেক ১১, নাজমুল মিলন ১১, সোহাগ ০*; ফ্রাইলিঙ্ক ২/৩৭, আমির ০/৪৫, শফিউল ১/৪৪, শহিদুল ১/৪৮, রবিউল ১/৪৪, মিরাজ ০/১০)।
খুলনা টাইগার্স : ১৮.৩ ওভারে ১৫২ (গুরবাজ ০, সাইফ ২০, রুশো ৫২, মুশফিক ১২, শুভ ৭, ফ্রাইলিঙ্ক ৪৪, মিরাজ ৪, শহিদুল ২, আমির ৪, রবিউল ০*; মনির ২/৩১, সান্টোকি ৩/৩৭, সোহাগ ০/৩৫, মোসাদ্দেক ০/৮, এবাদক ২/১৭, নাভিদ ১/২১)।
ফল : সিলেট থান্ডার ৮০ রানে জয়ী।
মাচসেরা : আন্দ্রে ফ্লেচার (সিলেট)।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন