শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

নেছারাবাদে খেয়াঘাট ও যাত্রী ছাউনি নির্মাণে অনিয়ম

নেছারাবাদ (পিরোজপুর) উপজেলা সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ২৪ ডিসেম্বর, ২০১৯, ১২:০০ এএম

নেছারাবাদ-কৌরিখাড়া খেয়াঘাটের দুইপাড়ে দুইটি ঘাটলা ও একটি যাত্রী ছাউনি নির্মাণ কাজে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী দিয়ে কাজ করায় শেষ পর্যায়ে কৌরিখাড়া ঘাটের যাত্রী ছাউনির ছাদের মধ্যভাগ ভেঙে দেবে গেছে।
পরিস্থিতি সামাল দিতে ঠিকাদার একটি লোহার পাইপ বসিয়ে ভাঙন ঠেকিয়ে তার দায় সাড়েন। তবে যে কোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েই গেছে। প্রয়োজনীয় রড, সিমেন্ট না দিয়ে মাত্র দুই ইঞ্চি পুরু একটি দুর্বল ছাদ নির্মাণ করায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়াও নিম্নমানের মালামাল দিয়ে দুইটি ঘাটলা নির্মাণ করায় বিভিন্ন জায়গায় ফাটল দেখা দিয়েছে এবং সিড়ি ভেঙে পড়ে যাচ্ছে।
পিরোজপুর জেলা পরিষদের অর্থায়নে দশ লাখ টাকা ব্যয়ে সন্ধ্যা নদীর দুইপাড়ে দুইটি ঘাটলা ও একটি যাত্রী ছাউনি নির্মাণ করা হচ্ছে। কাজ বাস্তবায়ন করছে মেসার্স শেখ ইন্টারন্যাশনাল নামের একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। ইতোমধ্যে ওই কাজ হস্তান্তরের অংশ হিসেবে নাম ফলক স্থাপন করা হয়েছে।
স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা সালাম রেজা জানান, চিকন রড ও নিম্নমানের ইটের খোয়া দিয়ে ৪টি খুটি নির্মাণ করা হয়েছে। টাই ভিম না দিয়ে সেই দুর্বল খুটির ওপর মাত্র দুই ইঞ্চি পুরু ছাদ নির্মাণ করা হয়। ছাদের সেন্টারিং খোলার সাথে সাথে মধ্য বরাবর ভেঙে দেবে যায়। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঠিকাদার একটি লোহার পাইপ বসিয়ে ঠেকা দিয়ে কাজ সমাপ্ত করেন। এছাড়াও প্রয়োজনীয় রড না দিয়ে ছাদ নির্মাণ করায় যে কোনো সময় তা ভেঙে পড়ে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। স্থানীয়রা অভিযোগ করেন মাসাধিকাল ধরে এ নির্মাণ কাজ চললেও একদিনের জন্য কোনো প্রকৌশলী কাজ তদারকি করতে আসেননি।
খেয়াঘাটের টোল আদায়কারী আ. হাকিম অভিযোগ করেন, ঘাটলার সিড়ি নির্মাণেও প্রয়োজনীয় রড, সিমেন্ট দেয়া হয়নি। সে কারণে ঘাটলার বিভিন্ন স্থানে ভাঙনের সৃষ্টি হয়েছে। নদীর পূর্বপাড়ে পুরোনো ঘাটলার সাথে মিলিয়ে নতুন ঘাটলা বানানো হয়েছে। পরে প্লাস্টার করে নতুন ঘাটলা হিসেবে দেখানো হয়। এ ঘাটলারও সিড়ির ধাপগুলো ভেঙে উঠে যাচ্ছে।
এ বিষয় কাজ তদারকির দায়িত্বে থাকা জেলা পরিষদের উপ সহকারী প্রকৌশলী মো. মনিরুজ্জামান বলেন, কাজের মান ঠিক হয়নি এবং ছাদের পুরুত্ব করতে হবে ৫ ইঞ্চি। ওই কাজগুলো ভেঙে নতুন করে আবার কাজ করানো হবে।
জেলা পরিষদের সদস্য মো. সেলিম মিয়া বলেন, কাজের মান খুবই খারাপ হয়েছে। জেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা দেশের বাইরে রয়েছেন। তিনি দেশে ফেরার পর তাকে জানানো হবে এবং তিনি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন