শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

খেলাধুলা

বিপিএল কর্ণার

স্পোর্টস রিপোর্টার, চট্টগ্রাম থেকে | প্রকাশের সময় : ২৪ ডিসেম্বর, ২০১৯, ১২:০০ এএম

‘ডাক মাস্টার’ এনামুল
লজ্জার রেকর্ডে নাম লেখালেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান এনামুল হক বিজয়। গতকাল বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) ম্যাচে কুমিল্লা ওয়ারিয়র্সের বিপক্ষে আবার শূন্য রানে আউট হন ঢাকা প্লাটুনের এই ওপেনার। আর সঙ্গে সঙ্গে সবাইকে ছাড়িয়ে বিপিএলের সর্বোচ্চ ডাকের রেকর্ডটি নিজের করে নেন। এর আগে রেকর্ডটি তার যৌথভাবে ছিলো ইমরুল কায়েসের। চলতি বিপিএলে দারুণ ফর্মে আছে ইমরুল। অপরদিকে সময় ভালো যাচ্ছে না এনামুলের। বিপিএলের আসরে এখন ‘ডাক মাস্টার’ এনামুল।
বিপিএলের সবচেয়ে বেশি শূন্য রানে আউট হওয়া ব্যাটসম্যানদের তালিকায় শীর্ষে এনামুল। ১১টি ডাক নিয়ে তিনি আছেন একে। ১০টি ডাক নিয়ে তারপর ইমরুল কায়েস। এছাড়া সাব্বির রহমানের নামের পাশে ৮ বার, রুবেল হোসেন ডাক মেরেছেন ৭ বার ও মাশরাফি মুর্তজা ৭ বারডাক মেরে আছেন তালিকার পাঁচে।

ড্রেসিং রুমে ফিরেও নটআউট!
আউট হয়ে মাঠ ছেড়েছেন ব্যাটসম্যান। ফিরে গেছেন ড্রেসিং রুমেও। নতুন ব্যাটসম্যানও উইকেটে চলে এসেছেন। কিন্তু এরপর দেখা গেল, ডেলিভারিটি ছিল ‘নো!’ দৌড়ে গিয়ে আবার ডেকে আনা হলো সেই ব্যাটসম্যানকে। আউট হয়েও হলেন না কুমিল্লা ওয়ারিয়র্সের লঙ্কান ওপেনার ভানুকা রাজাপাকসে।
বঙ্গবন্ধু বিপিএলে গতকাল চট্টগ্রামে কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স ও ঢাকা প্লাটুনের ম্যাচে উত্তাপ ছড়াল এই ঘটনা। ম্যাচের পঞ্চম ওভারে ওয়াহাব রিয়াজকে ফ্লিক করে ফাইন লেগ সীমানায় মেহেদি হাসানের হাতে ধরা পড়েন রাজাপাকসে। আস্তে আস্তে ছেড়ে যান মাঠ। রাজপাকসে যখন সীমানা দড়ির কাছাকাছি, আম্পায়াররা ইশারায় তাকে থামতে বলেছিলেন। ‘নো’ বলের সিদ্ধান্তটি এত সূক্ষè ছিল, তৃতীয় আম্পায়ার তখনও সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করে উঠতে পারেননি। কিন্তু রাজাপাকসে হয়তো আম্পায়ারের ইশারা খেয়াল করেননি কিংবা ভাবছিলেন অন্যকিছু। তিনি চলে যান ড্রেসিং রুমে।
খানিক পর আসে সিদ্ধান্ত, ‘নো’ বল! আম্পায়াররা ডেকে পাঠান রাজাপাকসেকে। ঢাকা প্লাটুনের অধিনায়ক মাশরাফি মুর্তজা ও সিনিয়র ক্রিকেটার তামিম ইকবালকে দেখা যায় আম্পায়ারের সঙ্গে কথা বলতে। রাজাপাকসে তখন দৃষ্টিসীমায় নেই। ডাগআউট থেকে ছুটে যান কুমিল্লার বাইরে থাকা ক্রিকেটারদের কয়েকজন। রাজাপাকসে আবার নামেন ব্যাটিংয়ে। উইকেটে গিয়েও আবার বাইরে চলে আসেন ইয়াসির আলি রাব্বি। ঢাকার ক্রিকেটাররা তখন হতভম্ব। মাঠেই তারা গোল হয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন বেশ কিছুক্ষণ। ঘটনার জের চলতে থাকে পরেও। নিজের পরের ডেলিভারি করে ওয়াহাব রিয়াজ আম্পায়ারকে আঙুল দিয়ে দেখান, তার পা ওখানেই ছিল! ২০ রানে মাঠ ছেড়ে যাওয়া সেই রাজাপাকসে শেষ পর্যন্ত মাঠ ছাড়ে অপরাজিত ৯৬ রানের ইনিংস খেলে।

হ্যাটট্রিক হয়েও হল না
ঢাকা প্লাটুনের ইনিংসের ১০ম ওভারে বল করতে আসেন আফগান স্পিনার মুজিব-উর-রহমান। প্রথম চার বলের বৈচিত্র্য বুঝতেই পারেননি আসিফ আলি। পঞ্চম বলে ইনসাইড এজে বোল্ড হয়ে ফেরেন তিনি। ক্রিজে আসেন জাকের আলি। মুজিবের গুগলি বুঝে ওঠার আগেই বল আঘাত হানে তার প্যাডে। আম্পায়ার আঙুল উঁচিয়ে লেগ-বিপোরের সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিলেন।
ওভারের শেষ দুই বলে উইকেট পাওয়ায় হ্যাটট্রিকের জন্য অপেক্ষা করতে হত পরের ওভারের জন্য। বোলিংয়ে মুজিব। ব্যাটিংয়ে শহীদ আফ্রিদি। প্রথম বলেই এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে পড়েন এই ডানহাতি। পরে দ্রুতই রিভিউ নেন তিনি। তাতে দেখা যায় বলটি ইন-লাইনে পিচ করে বেরিয়ে যাচ্ছিল লেগস্ট্যাম্প দিয়ে। বেঁচে গেলেন আফ্রিদি। তার আগে হ্যাটট্রিকের উদযাপন শেষ করে ফেলেছিলেন মুজিব। কিন্তু রিভিউতে টিকে যাওয়ায় হ্যাটট্রিক হয়েও হল না মুজিবের। ইনিংসের শেষ পর্যন্ত টিকে থেকে ম্যাচও বের করে নেন লেগ-বিফোরের ফাঁদ থেকে বেঁচে যাওয়া আফ্রিদি।

 

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন