বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

খেলাধুলা

তামিম-মেহেদি ঝড়ে দুইয়ে উঠল ঢাকা

স্পোর্টস রিপোর্টার, চট্টগ্রাম থেকে | প্রকাশের সময় : ২৫ ডিসেম্বর, ২০১৯, ১২:০১ এএম

তামিম ইকবাল ও মেহেদী হাসানের ব্যাটে চড়ে টানা দ্বিতীয় জয় তুলে নিল ঢাকা প্লাটুন। বোলিংটা আগের মতো ক্ষুরধার হয়নি। তবে আক্রমণাত্বক ব্যাটিংয়ে তা পুষিয়ে দিলেন। তুলে নিলেন টানা দ্বিতীয় হাফসেঞ্চুরি। নির্ভরতার প্রতীক হয়ে তামিম ইকবাল ফিরলেন দলকে জিতিয়ে। বাংলাদেশে প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) চট্টগ্রাম পর্বের শেষ দিনে সিলেট থান্ডারকে ৮ উইকেটে হারিয়েছে ঢাকা প্লাটুন। ৬ ম্যাচে ঢাকার এটি চতুর্থ জয়, সমান ম্যাচে সিলেটের পঞ্চম হার। এই জয়ে পয়েন্ট টেবিলের দুইয়ে উঠে এসেছে মাশরাফি মুর্তজার দল।
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে গতকাল টস জিতে সিলেট ২০ ওভারে করতে পারে ৪ উইকেটে ১৭৪ রান। ঢাকা জিতে যায় ৯ বল বাকি রেখে। সিলেটের লড়িয়ে পুঁজির মেরুদন্ড ছিল চার্লসের ইনিংস। ৪ রানে জীবন পেয়ে ক্যারিবিয়ান ব্যাটসম্যান ৮ ছক্কায় করেন ৪৫ বলে ৭৩ রান। ঢাকার হয়ে অমন তান্ডব ছিল না কারও ব্যাটে। তবে সম্মিলিত পারফরম্যান্সে তারা জিতে যায় অনায়াসেই। ৪৯ বলে ৬০ রানে অপরাজিত থেকে যান তামিম। আগের দিন ২৯ বলে ৫৯ রানের ইনিংসের পর এবার মেহেদি করেন ২৮ বলে ৫৬।
ম্যাচের শুরুতেই আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান আন্দ্রে ফ্লেচার ম্যাচের প্রথম বলেই আউট! মেহেদি হাসানের লেগ-মিডলে থাকা বল ক্রস ব্যাটে খেলতে গিয়ে ধরা পড়েন বোলারের হাতেই। এরপর অপ্রতিরোধ্য গতিতে ছুটেছেন জনসন। বল সীমানা পেরিয়েছে প্রায় প্রতি ওভারেই। হাসান মাহমুদকে চার-ছক্কা, মেহেদির ওভারে চার-ছক্কা, শাদাব-আফ্রিদি-ওয়াহাব রিয়াজ, পার পাননি কোনো বোলার। ছক্কার নেশাতেই শেষ পর্যন্ত জনসন আউট হন শাদাবের বলে। ৪ ছক্কায় ৩১ বলে ৪৯ রানে অপরাজিত থেকে যান মিঠুন। বিপিএল অভিষেকে রাদারফোর্ড ৩৮ করেন ২৮ বলে। ঢাকার বোলিংয়ে দুটি করে উইকেট পান দুই লেগ স্পিনার শাদাব ও আফ্রিদি।
বোলিংয়ে শেষের হতাশা ঢাকা পুষিয়ে দেয় ব্যাটিংয়ের শুরুতে। জয়ের ভিত গড়ে দেয় তামিম ও এনামুল হকের উদ্বোধনী জুটি। সোহাগ গাজীর প্রথম ওভারে দুটি বাউন্ডারিতে ছুটতে শুরু করেন এনামুল। সোহাগের পরের ওভারে বেরিয়ে এসে দুটি ছক্কা মারেন তামিম। উদ্বোধনী জুটিতে দুজন তোলেন ৫৮ রান। ২৩ বলে ৩২ করে ফেরেন এনামুল। মেহেদী নেমেই সোহাগকে চার ও ছক্কা মেরে জানান দেন, আরেকটি ম্যাচ জেতানো ইনিংস আসছে। তার ব্যাটে রান আসে ঝড়ের গতিতে, তামিম খেলে গেছেন পরিস্থিতি বুঝে। দুজনের ৫০ বলে ৮৭ রানের জুটি গড়ে দেয় ম্যাচের ভাগ্য। ৮ ওভারে যখন ঢাকার প্রয়োজন ৭২, রাদারফোর্ডের এক ওভারে তিনটি চার মারেন তামিম। পরের ওভারে নাজমুল অপুর বাঁহাতি স্পিনে মেহেদি ওড়ান দুটি ছক্কায়। ম্যাচের উত্তেজনা অনেকটা শেষ ওখানেই।
৫ চার ও ৩ ছক্কায় ৫৬ করে মেহেদি বোল্ড হন ইবাদত হোসেনকে স্কুপ করতে গিয়ে। জয় তখন নাগালেই। তামিম ও জাকের বাকি পথটুকু পাড়ি দেন সহজেই। ১১ বলে ২২ রানে অপরাজিত থেকে যান জাকের। ক্যারিয়ারের ৩৫তম টি-টোয়েন্টি ফিফটির পথে তামিম প্রথম ব্যাটসমান হিসেবে বিপিএলের স্পর্শ করেন ২ হাজার রান। প্রথম ওভারে উইকেট ও ঝড়ো ফিফটিতে ম্যাচের সেরা মেহেদি। ২৫ বছর বয়সী অলরাউন্ডার ম্যাচসেরা হলেন টানা দুই ম্যাচে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর :
সিলেট থান্ডার : ২০ ওভারে ১৭৪/৪ (ফ্লেচার ০, মজিদ ৮, চার্লস ৭৩, মিঠুন ৪৯*, মোসাদ্দেক ২, রাদারফোর্ড ৩৮*; মেহেদি ১/৩৩, হাসান ০/২৯, শাদাব ১/২৩, আফ্রিদি ২/২৬, ওয়াহাব ০/৩৫, মাশরাফি ০/২৭)।
ঢাকা প্লাটুন : ১৮.৩ ওভারে ১৭৫/২ (এনামুল ৩২, তামিম ৬০*, মেহেদি ৫৬, জাকের ২২*; সোহাগ ০/৪৭, সান্তোকি ০/১৬, মোসাদ্দেক ১/৩০, ইবাদত ১/২৪, নাজমুল মিলন ০/১৭, রাদারফোর্ড ০/২৫, নাজমুল অপু ০/১৬)।
ফল : ঢাকা প্লাটুন ৮ উইকেটে জয়ী।
ম্যাচসেরা : মেহেদি হাসান।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন