তানিয়া বেগম (২০) নামে এক গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তার স্বামীর বিরুদ্ধে । গতকাল শুক্রবার রাতে জয়পুরহাট জেলার কালাই উপজেলার কাজীপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
ঘটনার পর থেকে স্বামীসহ বাড়ির সবাই পলাতক। তানিয়ার স্বামী ফেরদাউস হোসেন ওই মহল্লার বাক্কার হোসেনের ছেলে।
স্থানীয়রা জানায়, দু'বছর আগে ফেরদাউস হোসেনের সঙ্গে ক্ষেতলাল উপজেলার বুড়ইল গ্রামের জিয়াউর রহমানের মেয়ে তানিয়ার বিবাহ হয়। এরপর তাদের সংসারে একটি কন্যা সন্তান জন্ম নেয়। গত এক মাস আগে ফেরদাউস আবারও দ্বিতীয় বিবাহ করেন। এরই জেরে কয়েকদিন ধরে স্বামী-স্ত্রীর মাঝে ঝগড়া-বিবাদ লেগেই থাকতো। গতকাল শুক্রবার বিকেলে ফেরদাউস ও তানিয়ার মাঝে আবারও ঝগড়ার একপর্যায়ে মারপিটের ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় তানিয়া মারা যায়।
বিষয়টি ধামাচাপা দিতে তড়িঘড়ি করে স্বামীসহ পরিবারের সবাই মিলে তানিয়ার লাশ দড়ি বেঁধে নিজ ঘরে ঝুলিয়ে রাখে। এরপর ঘরের গেটে তালা-চাবি ঝুলিয়ে বাইরে গিয়ে চিৎকার করে প্রতিবেশীদের জানান তানিয়া গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তানিয়ার মাথায় আঘাতসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম দেখতে পায়। এ ঘটনায় তানিয়ার স্বামীসহ পরিবারের লোকজন পালিয়ে যায়।
প্রতিবেশী আনোয়ার ও তোহিদুল বলেন, যেহেতু ফেরদাউস এর আগে অন্য লোককে হত্যা করে জেল খেটেছে, আর স্ত্রীকে হত্যা করা তার কাছে কোন বিষয় না। সে একজন নেশাখোর।
আরেক প্রতিবেশী বাবু বলেন, দ্বিতীয় স্ত্রীর জন্য তানিয়াকে মারধর করে হত্যা করা হয়েছে। সে আত্মহত্যা করেনি।
তানিয়ার বাবা জিয়াউর রহমান বলেন, আমার নিরাপরাধ মেয়েকে নির্যাতন করে সবাই মিলে হত্যা করেছে। আমি ওদের সবার বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করব। মেয়ে হত্যার বিচার চাই।
কালাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল লতিফ খাঁন বলেন, আসলে এটা হত্যা না আত্মহত্যা, এই মুহূর্তে বলা যাচ্ছে না। তবে লাশেল বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। ময়নাতদন্ত রিপোট হাতে পেলেই আসল রহস্য জানা যাবে। তবে ঘটনার পর থেকে ওই পরিবারের সবাই পলাতক। মেয়ের বাবা বাদী হয়ে একটি অভিযোগ দাখিল করেছেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন