সোমবার, ১৩ মে ২০২৪, ৩০ বৈশাখ ১৪৩১, ০৪ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

খেলাধুলা

গিবসের ‘বাউন্সারে’ নাঈমের ‘ছক্কা’

‘তাহলে ডমিঙ্গোদের ভাষা বোঝে কি করে?’

স্পোর্টস রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৪ জানুয়ারি, ২০২০, ১২:০০ এএম

এবার বঙ্গবন্ধু বিপিএলে সিলেট থান্ডারের পারফরম্যান্সের বেহাল দশা। ক্রমাগত হারতে থাকা দলটি নয় ম্যাচ খেলে জিতেছে কেবলে একটিতে। দক্ষিণ আফ্রিকার নামডাকওয়ালা আগ্রাসী ব্যাটসম্যান হার্শেল গিবসকে কোচ করে এনেও এমন বেহাল দশা কেন, প্রশ্ন উঠেছিল। টুর্নামেন্টের প্লে-অফে ওঠার লড়াই থেকে ছিটকে গিয়ে সিলেট পর্বে খেলতে আসার পর গণমাধ্যমে নিজের আগ্রহেই এমন কারণ জানান গিবস। স্থানীয় ক্রিকেটারদের যা বোঝান, তারা তা বোঝেন না। এমনকি বেশির ভাগের খেলা বোঝার মতো মানসিকতাও নেই বলে হতাশা জানিয়েছিলেন গিবস। তবে তার কথার সঙ্গে একমত নন থান্ডারের হয়ে খেলা বাংলাদেশি অফ স্পিনার নাঈম হাসান।

বাংলাদেশে কোচিং করানো প্রথম দক্ষিণ আফ্রিকান হার্শেল গিবস নন। জাতীয় দলের ব্যাটিং কোচ নিল ম্যাকেঞ্জি দুই বছর ধরে কাজ করছেন বাংলাদেশ। প্রধান কোচ রাসেল ডমিঙ্গো কাজ করছেন গত সেপ্টেম্বর থেকে। ফিল্ডিং কোচ রায়ান কুকও দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে এসেছে। সদ্য বিদায়ী বোলিং কোচ শার্ল ল্যাঙ্গেভেল্টও ছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকান। এই কোচদের ভাষা যদি বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা না-ই বোঝেন, তারা কাজ করছেন কীভাবে! এটা নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেছিলেন গিবসও, ‘ঠিক নিশ্চিত নই, নিল ম্যাকেঞ্জি (বাংলাদেশ জাতীয় দলের ব্যাটিং কোচ) যখন কথা বলে, ওরা কতজন ঠিকভাবে বুঝতে পারে। আমি তো তার মতোই দক্ষিণ আফ্রিকান, আমি ঠিক জানি না, সে যা বলতে চায়, তার সবটুকু ওদের কাছে বুঝিয়ে দিতে পারে কি না।’

টুর্নামেন্টের শুরু থেকেই দল গঠনের দুর্বলতা, সিলেটের খেলোয়াড়দের শরীরী ভাষা ছিল প্রশ্নবিদ্ধ। মাঠের ফলেও দেখা গেছে তার প্রতিফলন। সিলেটে এসেও বদলায়নি থান্ডারের দশা (গতরাতের ম্যাচ বাদে)। আগের দিন অল্প রান তাড়ায় কুমিল্লা ওয়ারিয়র্সের বিপক্ষে ম্যাচ জমিয়ে সুপার ওভারে গিয়ে হারে তারা। আরও একটি হারে ব্যর্থতার ভারী বোঝা মাথায় নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে আত্মপক্ষ সমর্থন করে গেছেন অফ স্পিনার নাঈম। অনুমিতভাবেই কোচের কথা না বোঝার প্রসঙ্গ উঠলে চেহারা অনেকটা শক্ত করে তরুণ এই অফ স্পিনারের জবাব, ‘জাতীয় দলেও কোচ আছে, ওরাও ইংরেজিতে কথা বলে, এখন বুঝে নেন আর-কি।’ কেন দলের এমন অবস্থা? দায়টা কার? এক্ষেত্রে অবশ্য নিজেদের ঘাড়েই দোষ তুলে নিয়েছেন নাঈম, ‘মাঠে তো আমরাই খেলছি, আমাদেরই দোষ।’ তবে তার দাবি দলের সবাই শতভাগই দিচ্ছেন, ‘সবাই শতভাগ দেওয়ার চেষ্টা করে। কখনো সফল হয়, কখনো হয় না। এটাও মানছি, সবাই ঠিকঠাক খেলতে পারলে টুর্নামেন্টে সিলেটের অবস্থা এত খারাপ হতো না।’

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন