ধর্ম প্রতিমন্ত্রী আলহাজ অ্যাডভোকেট শেখ মো.আব্দুল্লাহ বলেছেন, বাংলাদেশে তাবলীগ জামাতের বিশ্ব ইজতেমা আয়োজন আমাদের জন্য অত্যন্ত গৌরবের বিষয়। তাবলীগ জামাত দ্বীনের মেহনতে নিবেদিত। ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের নিঃস্বার্থ স্বেচ্ছাশ্রম ও অনুদানে পরিচালিত হয়। সারা পৃথিবীতে ইসলামের প্রচার এবং মানুষকে দ্বীনের পথে দাওয়াতের ক্ষেত্রে তাবলীগ জামাতের খেদমত একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
প্রতিমন্ত্রী মঙ্গলবার রাতে ঢাকা আশকোণা হজ ক্যাম্পে স্বল্প সময়ের জন্য অবস্থানরত বিশ্ব ইজতেমার ১ম পর্বে আগত বিদেশী মুসুল্লিদের সাথে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন। এ সময় তিনি বিদেশী মেহমানদের সাথে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে সালাম ও কুশল বিনিময় করে খোঁজ খবর নেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তার দূরদর্শিতা দিয়ে ইসলামের খেদমতে অরাজনৈতিক সংগঠন তাবলীগ জামাতের গুরুত্ব ও তাৎপর্য যথাযথভাবে বুঝতে পেরেছিলেন। একজন সত্যিকারের ঈমানদার হিসেবে বঙ্গবন্ধু তাবলীগ জামাতের দাওয়াতি কাজের সুবিধার্থে টংগীতে বিশ্ব ইজতেমা আয়োজনের জন্য বিশাল জায়গা বরাদ্দ করেছিলেন। যার ফলে আজকে বিশ্ব ইজতেমা আয়োজন করা সম্ভব হচ্ছে। তাবলীগ জামাতের মারকাজ এবং মসজিদ নির্মাণের জন্য বঙ্গবন্ধু কাকরাইলেও জমি বরাদ্দ দিয়েছিলেন। ধর্ম প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যিনি একজন ধার্মিক মুসলিম মহিয়সী নারী। তিনি তাবলীগ জামাতের বিষয়ে অত্যন্ত আন্তরিক ও বিশেষ অনুরাগী।
আগামী ১৭ জানুয়ারি থেকে ২য় পর্বেও যাতে মুসল্লিরা নিরাপদ ও নির্বিঘেœ ইজতেমায় আসতে পারেন সেজন্য সরকার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে এবং ইনশাআল্লাহ অত্যন্ত সুন্দরভাবেই এবছরের ইজতেমার ২য় পর্বও সফলভাবে সম্পন্ন হবে। ধর্ম প্রতিমন্ত্রী বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, তুরস্ক, ইতালী, সউদী আরবসহ বিভিন্ন দেশের তাবলীগ জামাতের মুরুব্বীদের সাথে আন্তরিক ও খোলামেলা পরিবেশে মতবিনিময় করেন। এ সময় বিদেশি মেহমানগণ সুন্দর ও সফলভাবে বিশ্ব ইজতেমার ১ম পর্ব সম্পন্ন করায় বাংলাদেশ সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন এবং সার্বিক ব্যবস্থাপনায় সন্তোষ প্রকাশ করেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন