চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার ১৮৫নং তেঁত্রিশ রশিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রদের পিটানোর অভিযোগ উঠেছে। জানা গেছে, তেঁত্রিশ রশিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র নয়ন আলী স্কুলে গেলে প্রধান শিক্ষক আবদুল লতিফের ছেলের সাথে ভুল বুঝাবুঝি হয়। এ নিয়ে প্রধান শিক্ষক কোন কিছু না শুনে নয়ন আলীকে বেধড়ক পিটাতে শুরু করে। ফলে আতঙ্কে রয়েছে শিক্ষার্থীসহ অভিভাবকরা। প্রতিকার চেয়ে গোলাব হোসেনসহ বেশ কয়েকজন অভিভাবক গত ১১ জুলাই শিবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার, উপজেলা শিক্ষা অফিসার ও উপজেলা চেয়ারম্যান বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। বিষয়টি তদন্ত করেন শিবগঞ্জ উপজেলা শিক্ষা অফিস। সহকারি শিক্ষা অফিসার ও তদন্ত কর্মকর্তা মো. তরিকুল ইসলাম গত বছরের ৭ আগস্ট উপজেলা শিক্ষা অফিসার বরাবর প্রতিবেদন দাখিল করেন। সেখানে তিনি শিক্ষার্থী নয়নকে নির্যাতনের প্রমাণ পান এবং শিক্ষক আবদুল লতিফের বিরুদ্ধে আরো ৭টি অভিযোগের সত্যতা পান। এছাড়াও তিনি তার লিখিত মতাতমে উল্লেখ করেন, শিক্ষক আবদুল লতিফ সাহেবের বিরুদ্ধে দাখিলকৃত শিশুদের শারীরিক নির্যাতন সম্পর্কিত অভিযোগ সন্দেহাতিথভাবে প্রমাণিত হয়েছে। বিদ্যালয়ে পাঠদান সুষ্ঠ পরিবেশ সংরক্ষণ ও কোমলমতি শিশুদের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে প্রধান শিক্ষক আবদুল লতিফকে জরুরী ভিত্তিতে প্রশাসনিক কারণে অন্যত্র বদলি করা প্রয়োজন। সরকারি আদেশ অমান্য করে শিশুদের শারীরিক নির্যাতন করার জন্য তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ জরুরী। তার মতামত ও তদন্ত প্রতিবেদনের উপর ভিত্তি করে গত বছরের ২১ আগস্ট বিভাগীয় উপ-পরিচালক প্রাথমিক শিক্ষা, রাজশাহীর কাছে শিবগঞ্জ উপজেলার ১৮৫নং তেঁত্রিশ রশিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবদুল লতিফের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ ও বিভাগীয় মামলা রজু করতে অনুরোধ করে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আবদুল কাদের। শিক্ষা অফিসের তদন্ত প্রতিবেদনের পরেও এখনো প্রধান শিক্ষক পদে বহাল তবিয়তে রয়েছে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক আবদুল লতিফ। ফলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ভূক্তভোগী শিক্ষার্থীর পরিবারসহ স্থানীয়রা। তারা অবিলম্বে প্রধান শিক্ষক আবদুল লতিফকে অন্যত্র বদলির দাবি জানিয়েছে। অন্যথায় কঠোর কর্মসূচি দেয়ারও কথা বলা হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন