শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

মহানগর

মেয়র প্রার্থী ইশরাকের প্রচারণায় হামলা: নেটিজেনদের নিন্দা

শাহেদ নুর | প্রকাশের সময় : ২৭ জানুয়ারি, ২০২০, ২:১১ পিএম

ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দক্ষিণের বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী ইশরাক হোসেনের নির্বাচনী প্রচারণায় হামলার ঘটনা ঘটেছে। এসময় দুই দলের সমর্থকদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। রোববার দুপুর ১টার দিকে রাজধানীর গোপীবাগের আর কে মিশন রোডে শুরু হওয়া এই সংঘর্ষে ৩ সাংবাদিকসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। সংঘর্ষ চলাকালে কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়া হয়েছে বলেও জানা গেছে। বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রয়া ব্যক্ত করেছে নেটিজেনরা। নিন্দা জানানোর পাশাপাশি তারা দোষীদের গ্রেফতারপূর্বক যথাযথ শাস্তির দাবি জানান। এধরনের হামলা সুষ্ঠ নির্বাচনের জন্য অন্তরায় বলেও মনে করেন তারা।

এ হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে মেয়র প্রার্থী ইশরাক হোসেন বলেন, ‘হামলা-গুলি করে জনগণকে দমিয়ে রাখা যাবে না। আমাদের নেতাকর্মীরা এতে বিন্দুমাত্র বিচলিত নয়।’ কর্মী-সমর্থকদের শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়ে ইশরাক বলেন, আপনারা শান্ত থাকুন, বিচলিত হবেন না। এতে জনগণ বিভ্রান্ত হবে না।

আফরোজ উজ্জামান তার ফেইসবুকে লিখেন, ‘এর মানে হলো, নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে নৌকা আতংকিত! নতুবা হামলা কেন? পুলিশ নীরব, নির্বাচন কমিশন নীরব, নীরব বিবেক।’

‘নির্বাচন যে রাতে হবে তার আগাম নমুনার বহিঃপ্রকাশ! আসলেই দেশে প্রশাসন নেই, নেই নির্বাচন কমিশন, নেই স্বাধীনতা, ইশরাক ভাই ও তাবিথ ভাই যতই আপনাদের জনপ্রিয় থাকুক না কেন এতে ভাই কোন লাভ নেই। কারন সরকারের বিবেক মরে গেছে! ভোট ৩১ তারিখ রাতে ঘন কুয়াশার মধ্যেই হবে অর্থাৎ পরের দিন বেসরকারিভাবে তাপস ও আতিক সাহেবদের জয়ী ঘোষণা করবে ... নির্বাচন কমিশন। - এমডি সাইফুন নুরের মন্তব্য।

নিন্দা জানিয়ে সাদ্দাম হোসাইন লিখেন, ‘আমরা ধিক্কার জানাই এই হামলাকারীদেরকে। অবিলম্বে তাদের গ্রেফতার করে শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।’

শংকা প্রকাশ করে মাহবুবুল ইসলাম লিখেন, ‘নির্বাচন কমিশনের কী কোন ভূমিকা নাই? আমাদের পুলিশ ভাইয়েরাও এগুলো দেখেন না। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে ইট পাটকেল ছুড়ছে, লাঠি চেয়ার হাতে, ইট পাটকেল হাতে, হেলমেট পরিহিত কয়েকজন ধাওয়া করছে। এটা কী সুষ্ঠু নির্বাচনের নমুনা। ভোট যে আগের মতই হবে এতে কোন সন্দেহ নাই। হায়রে নির্বাচন!’

ঘটনা শেষে সাংবাদিকরা এক পুলিশকে প্রশ্ন করেন, এখানকার পরিস্থিতি এখন কি? উত্তরে তিনি বলেন, ‘এখন নরমাল আছে। ইশারেক পার্টি চলে গেছে তাদের মতিঝিল এলাকায়। আমাদের পার্টিরা সেন্ট্রাল উইমেন্সের সামনে আছে।’

এই কথার ভিডিওটিও ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে মিলি আক্তার মন্তব্য করেন, ‘সত্যি কথা এভাবে নিজের অজান্তেই বেরিয়ে পরে।’

আনোয়ার তালুকদার লিখেন, ‘এই ধরনের পুলিশ দিয়ে দেশের কোনো উপকার হতে পারে না। এরা দেশের আসল শত্রু । এদেরকে আইনের আওতায় এনে সঠিক বিচার করা হোক।’

মারুফ হোসেনের প্রশ্ন, ‘প্রশাসনের একজন সরকারি লোক কিভাবে কোন দলকে নিজের দল বলতে পারে?’

‘এই পুলিশের সমালোচনা করে লাভ নেই। সে সত্য কথা বলেছে। আর খুব শিঘ্রই এর প্রোমশন হবে।’ - আদিতি রায়ের মন্তব্য।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
Md Shahidul Islam ২৭ জানুয়ারি, ২০২০, ৩:৩০ পিএম says : 0
নির্বাচন কমিশনের কী কোন ভূমিকা নাই? আমাদের পুলিশ ভাইয়েরাও এগুলো দেখেন না। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে ইট পাটকেল ছুড়ছে, লাঠি চেয়ার হাতে, ইট পাটকেল হাতে, হেলমেট পরিহিত কয়েকজন ধাওয়া করছে। এটা কী সুষ্ঠু নির্বাচনের নমুনা। ভোট যে আগের মতই হবে এতে কোন সন্দেহ নাই। হায়রে নির্বাচন!’
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন