পাবনার আটঘরিয়া উপজেলার একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সানশেড, দেয়াল এবং গাছে মৌমাছির ১০০টি চাক বেঁধেছে। পাবনার কোনো বিদ্যালয়ে মৌমাছির ১০০টি চাক এই প্রথম। এ নিয়ে এলাকার মানুষজনের মধ্যে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
ঐ উপজেলার মাজপাড়া ইউনিয়নের কাকমারি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বিভিন্ন দেয়াল, সানশেডে ও গাছে মৌমাছির এতো মৌচাক দেখতে প্রতিদিন মানুষজন ভীড় করছেন।
এলাকাবাসী বলছেন, প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এক সাথে ১০০টি মৌচাক থাকায় ঝুঁকিতে রয়েছে শিক্ষার্থীরা।
তবে এ নিয়ে মোটেও বিচলিত নয় খুদে শিক্ষার্থীরা। এতগুলো মৌচাক একসঙ্গে দেখে মজা পাচ্ছে তারা। কোনো শিক্ষার্থীর গায়ে এখন পর্যন্ত কোনো মৌমাছি হুল বিদ্ধ করেনি বলে জানিয়েছে তারা।
সূত্র মতে, গত বছর থেকে এই এলাকায় সরিষার আবাদ শুরু হয়েছে। এবারও প্রচুর সরিষার আবাদ হয়েছে। এজন্য বিদ্যালয়ের দেয়ালে এতগুলো বাসা বেঁধেছে মৌমাছি। মৌমাছি এখন সরিষা ফুল থেকে মধু আহরণ করার সময়।
অভিভাবকরা জানিয়েছেন, এত পরিমাণ মৌচাকের কারণে ক্ষুদে শিক্ষার্থীরা ঝুঁকিতে রয়েছে। তবে এসব মৌচাক দেখে ছেলে-মেয়েদের মধ্যে কোনো ভয়ভীতির দেখা যাচ্ছে না।
কাকমারি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক কাওসার আলী বলেন, অনেক দিন ধরে বিদ্যালয়ের চারপাশে শতটি মৌচাক বসেছে। চাকগুলো দেখতে খুব সুন্দর। বড় বড় মৌমাছির চাক। মৌমাছি কাউকে কামড়ায় না। বিদ্যালয়ের ছেলে-মেয়েরা দেখেও ভয় পায় না। বরং মৌচাক দেখে আনন্দ পায় তারা। কেউ মৌচাকে ঢিল মারে না।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রেবেকা সুলতানা বলেন, গত কয়েক মাসে সকালে ও বিকেলে হঠাৎ করে কোথায় থেকে মৌমাছি এসে প্রথমে ৩-৪টি বাসা বাঁধে। এরপর বিদ্যালয়ের চারপাশের দেয়ালে, সানশেডে ও কয়েকটি গাছে ১০০টির মতো চাক বেঁধেছে মৌমাছি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন