শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সম্পাদকীয়

চিঠিপত্র

| প্রকাশের সময় : ৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ১২:০১ এএম

ধূমপানের পক্ষে কোনো ভালো যুক্তি দাঁড় করানো সম্ভব নয়। ধূমপান স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। এটাই সত্য। তারপরও জেনেশুনে ধূমপানে আসক্ত মানুষ আমাদের সমাজ, রাষ্ট্র ও ঘরেই বিরাজমান। আপনপর বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ ধূমপান করে থাকে। তাদের ধূমপানের ক্ষতির প্রভাব পড়ে সমাজ, রাষ্ট্র ও ঘরে। জনসমক্ষে ধূমপান নিষিদ্ধ। বাংলাদেশের আইনে আর্থিক জরিমানার বিধানও আছে। নিজ ঘরে আপনজনের সামনে ধূমপানের আইন কী বলে জানা নেই। যদিও ধূমপানকারীর ধোঁয়া তার আপনজনের ওপরও ক্ষতির প্রভাব ফেলে। ধূমপান করা অধিকার। ধূমপায়ীর ধোঁয়ামুক্ত থাকাও তো অধূমপায়ীর অধিকার। ধূমপান শুধু স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকরই নয়, একটি বিরক্তিকর অবস্থারও তৈরি করে। রাস্তায় চলাচলের সময় কোনো ভদ্রলোক একটি সিগারেট জ্বালিয়ে সামনে দিয়ে হেঁটে যাচ্ছেন। তিনি স্বাধীনভাবে ধোঁয়া ছেড়ে যাচ্ছেন। একবারও কি ভেবেছেন, পেছনের চলমান অধূমপায়ী পথচারীরা কতটা বিরক্তিবোধ করছেন! ভদ্রলোককে নিয়ে তাদের মাঝে নিশ্চয়ই বাজে ধারণা তৈরি হয়েছে। ঠিক গণপরিবহনেও এই বিরক্তিকর অবস্থা নিত্য। অসংখ্য যাত্রী গিজগিজ করছে পুরো যানবাহনে। এ অবস্থায় দু›একজন সিগারেট জ্বালিয়ে বসেন। ভদ্রলোকদের আচরণে নিশ্চয়ই এই কাজটা শোভা পায় না। শ্রমজীবী মানুষজন না হয় অন্যের অসুবিধা কম অনুভব করে। তারা ধূমপানে নিতান্তই আসক্ত। শিক্ষিত সমাজে দায়িত্বশীলদের কাছে ধূমপান ফ্যাশন। তাদের অনুসরণ করে স্কুল-কলেজে পড়ুয়া উঠতি কিশোররা ধূমপানকে ফ্যাশন ভেবে ধূমপানচর্চায় আগ্রহী হয়ে ওঠে। এটা সমাজের ভবিষ্যৎ অন্ধকারকেই নির্দেশ করে।
মির্জা আবু হেনা কায়সার টিপু
উত্তরা, ঢাকা

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন