গাজীপুরের কৌলটিয়ায় ভার্গো সিগারেট ফ্যাক্টরিতে গত রোববার মধ্যরাতে ভ্যাট গোয়েন্দারা অভিযান চালায়। এতে অবৈধ ব্যান্ডরোলসহ বিপুল পরিমাণ সিগারেট আটক করা হয়। গতকাল সোমবার ভ্যাট গোয়েন্দা সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।
অভিযোগ রয়েছে এই সিগারেট ফ্যাক্টরিটি দীর্ঘদিন ধরে কোটি কোটি টাকার ভ্যাট ফাঁকি দিয়ে আসছে। ভ্যাট আইন অনুযায়ী লো ব্রান্ডের সিগারেটে বিক্রয়মূল্যের উপর ৭৩ শতাংশ ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্ক প্রযোজ্য। ভ্যাট ফাঁকির সুনির্দিষ্ট অভিযোগে ভ্যাট গোয়েন্দা অধিদফতর এই অভিযান পরিচালনা করে। সংস্থাটির উপপরিচালক তানভীর আহমেদ এ অভিযানে নেতৃত্ব দেন। প্রাথমিকভাবে হিসাব করে অবৈধ সিগারেট পাওয়া যায় প্রায় দুই লাখ শলাকা।
অন্যদিকে, ফ্যাক্টরি প্রাঙ্গণে জাল সন্দেহে দুই কার্টন ব্যান্ডরোল পাওয়া যায়। এতে গণনা করে দেড় লাখ পিস ব্যান্ডরোল পাওয়া গেছে। এছাড়া ফ্যাক্টরির গোপন কক্ষ থেকে আরো দুই কার্টন উদ্ধার করা হয়। ধারণা করা হয়, উদ্ধার করা এই জাল ও অবৈধ ব্যান্ডরোল উৎপাদিত সিগারেটে ব্যবহার করে বাজারজাতকরণ করা হতো।
এই ভার্গো সিগারেট ফ্যাক্টরিটি গাজীপুর সদরের কৌলটিয়া এলাকায় অবস্থিত। ফ্যাক্টরির প্রধান প্রধান ব্র্যান্ড হলো পার্টনার, দেশ গোল্ড ও দেশ বø্যাক। জব্দ সিগারেটের মধ্যে ৫৬ হাজার শলাকা পার্টনার ব্র্যান্ড, ৮৩ হাজার শলাকা দেশ গোল্ড এবং ৬০ হাজার শলাকা দেশ বø্যাক।
এসব লো ব্রান্ডের সিগারেট সিলেট, বরিশাল ও কুমিল্লার প্রত্যন্ত এলাকায় বাজারজাত করা হয়। প্রতিষ্ঠানটি ভার্গো টোব্যাকো লিমিটেড নামে ভ্যাট নিবন্ধন নিয়েছে এবং এটি ঢাকা উত্তর ভ্যাট কমিশনারেটের আওতায় ভ্যাট দিয়ে আসছিল। এর ভ্যাট নিবন্ধন নম্বর: ০০০৩৭৯২৬৮০১০৩।
ভ্যাট আইন ভঙ্গের দায়ে ভ্যাট গোয়েন্দা অধিদফতরে তদন্ত চলমান। এই তদন্তের অংশ হিসেবে বারিধারা ডিওএইচএস এলাকার বাসা: ১৭৬ ও ১৭৮, রোড: ২ এ ভ্যাট গোয়েন্দার আরেকটি দল গত সোমবার সকালে অভিযান চালায়। এই বাসাটি সিগারেট ফ্যাক্টরির হেড অফিস হিসেবে ব্যবহার হয়। অভিযানে তদন্ত সংশ্লিষ্ট কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্যাদি জব্দ করা হয়।
অন্যদিকে, ভার্গো সিগারেট ফ্যাক্টরির তিনটি ব্যাংক আ্যকাউন্ট হিসাব তলব করা হয়েছে। এই তিনটি ব্যাংক হলো ট্রাস্ট ব্যাংক, পূবালী ব্যাংক ও ব্র্যাক ব্যাংকে। বিস্তারিত তদন্ত সম্পন্ন করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন