শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

অমর একুশে বইমেলা

তৃতীয় দিনে বেড়েছে ভিড় বাড়েনি বিক্রি

নুর হোসেন ইমন | প্রকাশের সময় : ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ১২:০২ এএম

অমর একুশে গ্রন্থমেলার তৃতীয় দিন গতকাল মঙ্গলবার বিকাল গড়িয়ে সন্ধ্যা নামতেই বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণ ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বইপ্রেমীদের ভিড় লক্ষ করা গেছে। সোমবারের তুলনায় এদিন দর্শনার্থীদের আনাগোনা ছিল বেশি। তবে মেলা প্রাঙ্গণ দর্শনার্থী, লেখক ও প্রকাশকের সমাগমে মুখরিত হয়ে উঠলেও খুব একটা বইয়ের বেচাবিক্রি হয়নি বলে জানিয়েছে প্রকাশকরা। বিভিন্ন প্রকাশনীর কর্তা ব্যক্তিদের সাথে কথা বলে জানা যায় এদিন মেলায় আসা বেশিরভাগ দর্শনার্থীই বিভিন্ন স্টল ঘুরে ঘুরে বইয়ের মলাট উল্টেপাল্টে দেখছেন আর নতুন নতুন বইয়ের খোঁজ-খবর নিচ্ছেন। জানছেন দামও। তবে দিন যাওয়ার সাথে সাথে বেচাবিক্রি বাড়বে বলে আশাবাদ তাদের।
গতকাল বেলা ৩টায় মেলাপ্রাঙ্গণ দর্শনার্থীদের জন্য উন্মোক্ত করা হয়। এর আগে থেকেই দীর্ঘ লাইনে দাড়িয়ে থাকতে দেখা যায় বইপ্রেমিদের। বিকেল গড়াতে গড়াতে পাঠকের আনাগোনায় প্রাণের মেলা পরিণত হয় মানুষের মেলায়। এবার শুরু থেকেই লেখক প্রকাশকরা মেলায় আসছেন, আড্ডায় মেতে উঠছেন। তবে বেশির ভাগ প্রকাশকই জানালেন, বড় পরিসরে এখনো সব বই আনা হয়নি। দিন যাওয়ার সাথে সাথে পছন্দের বই মেলায় আনতে শুরু করবেন তারা। তৃতীয় দিন সরজমিনে মেলা প্রাঙ্গণ ঘুরে দেখা যায় এখনও কয়েকটি প্রকাশনী তাদের স্টল গোছানোর কাজ শেষ করতে পারেনি। তবে দু’একদিনের মধ্যেই সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে পারবেন বলে আশাব্যক্ত করে তারা।

বিক্রয়কর্মীরা বলছেন, শুরুর দিক হওয়ায় এখনও তেমন বই বিক্রি করতে পারেননি তারা। সাহিত্য প্রকাশনীর ম্যানেজার রাকিব জানান, শুরুর দিক হওয়ায় বেচাকেনা এখনও তেমন হচ্ছে না। তবে সময় বাড়তে বাড়তে বেচাকেনাও বাড়বে বলে জানান তিনি। প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় পড়–য়া শাহরিয়ার সাগর বলেন, লোকের ভিড় উৎসবের মেজাজ এনেছে। তবে অনেকেই চাহিদা মোতাবেক নতুন বই পাচ্ছেন না। প্রকাশকেরা নির্বাচিত বইগুলো একটু দেরিতে মেলায় নিয়ে আসেন, এটা ঠিক নয়।

ছুটির দিন ছাড়া প্রতিদিন বিকাল ৩টার পর থেকে লেখক, প্রকাশক ও পাঠকের আনাগোনায় মুখর থাকে মেলা প্রাঙ্গণ। বিক্রেতারা বলেছেন, মেলার শুরু থেকেই পাঠকদের আনাগোনা বাড়লেও বিক্রি তেমন বাড়েনি। তবে সামনের দিনগুলোতে বিক্রি বাড়ার প্রত্যাশা করছেন বিক্রেতারা। প্রতিদিনই পাঠকদের আনাগোনা বাড়ছে। বাবা-মায়ের কোলে চড়ে ও হাতে ধরে হেঁটে মেলায় বই কিনতে এসেছে অনেক কোমলমতি শিশু। অনেক তরুণীকে দেখা গেছে শাড়ি পড়ে চুলের খোঁপায় ফুল গুঁজে শেষ বিকালে কোকিলের ডাক শুনতে আর বই কিনতে প্রিয়জনের হাত ধরে মেলায় আসতে।

ঢাবি ইংরেজি বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী সাজিন চৌধুরী বলেন, বইমেলা আমাদের প্রাণের মেলা। ভালোবাসা আর প্রাণের টানে আমরা প্রতিবছরই বইমেলায় ছুটে আসি পছন্দসই বই কিনতে। তিনি বলেন, মায়ের ভাষা রক্ষা করতে বাংলার দামাল ছেলেরা পিছপা হয়নি। আমরা তা চিরদিন স্মরণীয় রাখতে চাই। কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে চাই তাদের প্রতি, আর নতুন প্রজন্মকে জানাতে চাই তাদের সাহসী ইতিহাস।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন