রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ইসলামী বিশ্ব

দেখলে বার বার মন চায় আবারও দেখি এমন ৫ মুসলিম স্থাপত্য

মোহাম্মদ আবদুল অদুদ | প্রকাশের সময় : ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ৫:০৯ পিএম | আপডেট : ৫:৩৯ পিএম, ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২০

হাজার বছর পেরিয়ে গেলেও কিছু মনোহরী মুসলিম স্থাপত্যের সৌন্দর্য ও আকর্ষণে কোনো রদবদল হয়নি। এই স্থাপত্যকর্মগুলো শিল্পকলা-চারুকলা এবং স্থাপত্যকলা-অলঙ্করণকলার বিবেচনায় সেরা ও মান উত্তীর্ণ বলেই কাল থেকে কালান্তর স্মরণীয় হয়ে আছে এবং থাকবে। এমন ৫টি স্থাপত্যের কথা নিয়ে এ প্রতিবেদন।

১. সুলায়মানিয়া মসজিদ, ইস্তাম্বুল, তুরস্ক : তুরস্কের ইস্তাম্বুুল শহরে অবস্থিত সবচেয়ে বড় এই মসজিদটি ১৫৫০ থেকে ১৫৫৭ সালের মধ্যবর্তী সময়ে নির্মিত হয়েছিল। উসমানীয় স্থাপত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ নিদর্শন হিসেবে এই স্থাপত্যটি আজও পৃথিবীর বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে। বাদশাহ প্রথম সুলাইমান এই মসজিদটি নির্মাণের আদেশ দিয়েছিলেন বলেই তাঁর নামেই এর নামকরণ করা হয়েছে। ঐতিহাসিকভাবে মসজিদে একটি মিনার বসানো হওয়ার রেওয়াজ রয়েছে। সুলায়মানি মসজিদই পৃথিবীর প্রথম মসজিদ, যেখানে প্রথমবারের মত চারটি মিনার স্থাপন করা হয়েছে। মসজিদটি ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ তালিকায় অন্তর্ভুক্ত।

২. শেখ জায়েদ গ্র্যান্ড মসজিদ, আবুধাবি, সংযুক্ত আরব আমিরাত : সংযুক্ত আরব-আমিরাতের সবচেয়ে বড় মসজিদ এবং এটি পৃথিবীর অষ্টম বৃহত্তম ও সুন্দরতম মসজিদ। সংযুক্ত আরব আমিরাতের সাবেক রাষ্ট্রপপ্রধান শেখ জায়েদ বিন সুলতান আল নাহিয়ানের নামানুসারে মসজিদটির নামকরণ করা হয়েছে। মসজিদটির নকশা নির্মাণের ক্ষেত্রে মার্বেল পাথর, মূল্যবান স্ফটিক পাথর ও মৃৎশিল্প ব্যবহৃত হয়েছে। লক্ষ লক্ষ স্বচ্ছ পাথরের দ্বারা তৈরি পৃথিবীর বৃহত্তম ঝাড়বাতিটি এই মসজিদে স্থাপিত রয়েছে। সাড়া বিশ্বের মুসলিম-অমুসলিম পর্যটকদের কাছে এই মসজিদটি অন্যতম জনপ্রিয় একটি দর্শনীয় স্থান ও স্থাপত্য নিদর্শন হিসেবে বিবেচিত।

৩. নাসির আল মুলক মসজিদ, শিরাজ, ইরান : এই ঐতিহ্যবাহী মসজিদ ইরানের শিরাজ নগরীতে অবস্থিত। ১৮৮৮ সালে নির্মিত এ মসজিদটি গোলাপী মসজিদ নামেও বেশ পরিচিত। স্থাপত্যটিতে ব্যবহৃত রঙিন গ্লাসের অলঙ্কার একটি বিশেষ আয়োজন এবং যখন এই জানালার মধ্য দিয়ে সূর্যের আলো প্রবেশ করে আলোকিত হয়, তখন পুরো স্থানটি ভীতিকর রঙিন আলো দিয়ে পূর্ণ হয়ে যায়। ইরানি স্থাপত্যশৌলীতে নির্মিত এই মসজিদ ইরানসহ গোটা মুসলিম বিশ্বের অন্যতম সুন্দর একটি মুসলিম স্থাপত্য।

৪. দ্য আল হাম্বরা, আন্দালুসিয়া, স্পেন : এটি মূলত একটি প্রাসাদ এবং যৌগিক দুর্গ, স্পেনের আন্দালুসিয়ার গ্রানাডাতে যা অবস্থিত। ত্রয়োদশ শতাব্দীর মধ্যবর্তী সময়ে স্পেনের মুসলিম নাসরি রাজবংশের শাসনামল চলাকালীন অত্যাশ্চর্য এই প্রাসাদটি নির্মাণ করা হয়েছিল। এটির সৌন্দর্য অসাধারণ। প্রাসাদটির ভিতরে রয়েছে বাগান, ঝরনা ও চমৎকার শিল্পসম্মত অলঙ্করণ। ১৯৮৪ সালে ২ নভেম্বর ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান নির্বাচন কমিটি আলহাম্বরাকে মানবতার সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হিসেবে ঘোষণা করেন। আলহাম্বরা প্রাসাদটির নামের উৎপত্তি খুঁজতে গিয়ে অনেক তত্ত্ব ও কাহিনি পাওয়া যায়।

৫. হাসান দ্বিতীয় মসজিদ, কাসাব্ল্যাংকা, মরক্কো : মরক্কোর উপকূলীয় শহর কাসাব্ল্যাংকায় অবস্থিত এই মসজিদটি ঐতিহাসিক মুসলিম স্থাপত্যের মাঝে অন্যতম নিদর্শন। আফ্রিকার সবচেয়ে বড় এ মসজিদটি স্থাপিত হয়েছিল ১৯৯৩ সালে। মসজিদটিকে ভাসমান মসজিদও বলা হয়। কারণ, মসজিদটির তিন ভাগের এক ভাগ আটলান্টিক মহাসাগরে অবস্থিত। এই মসজিদের মিনারের উচ্চতা ২১০ মিটার। প্রায় ৬০ তলা ভবনের সমান উচু এ মিনারের ওপরে স্থাপিত হয়েছে একটি বিশেষ লেজার রশ্মি, যা সমুদ্রপথে চলমান নাবিকদের পবিত্র কাবাশরিফের পথ প্রদর্শনে সহযোগিতা করে। বিশেষ এই রশ্মিটি ৩০ কিলোমিটার দূর থেকেও স্পষ্ট দেখা যায়। এই মসজিদের মিনারটি বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু মিনার হিসেবে স্বীকৃত।
সূত্র:পান্ডুট্রিপ.কম

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (4)
Sk mohammad ali ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ৮:০২ পিএম says : 1
I see
Total Reply(0)
** হতদরিদ্র দীনমজুর কহে ** ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ৮:০৬ পিএম says : 1
আলহামদুলিল্লাহ!আল্লাহর দরবার লেখো শুকুরিয়া।ইনকিলাব এর কল্যানে মসজিদের দৃস্যগুলো দেখলাম।
Total Reply(0)
Md.Nizam Ul Mulk ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ১১:১৩ এএম says : 1
আসসালামু আলাইকুম। কানাডার মন্ট্রিয়াল থেকে ২০১৯ সালে পরিবার সহ তুরস্কের ইস্তানবুল ও মরোক্কর কয়েকটি শহর ভ্রমণ করেছি। অপূর্ব সৌন্দর্য ,পরিচ্ছন্ন শহর ইস্তানবুলের সোলেমানিয়া মসজিদে সালাত আদায় করেছি। এই শহরে প্রচুর দৃষ্টি নন্দন মসজিদ আছে এবং বেশ কয়েকটি মসজিদে সালাত আদায় করেছি ও মসজিদের সম্মানিত ইমাম সাহেবদের সাথে কথা বলেছি ,ছবি তুলেছি। বিখ্যাত আয়া সোফিয়া মিউজিয়াম, পাশেই অন্য ১টি মিউজিয়ামে রক্ষিত হজরত মোহাম্মদ (সাঃ) এর পরিধেয় জুব্বা , হজরত আলী ,হজরত উমর,হজরত উসমান এর তরবারি ও হজরত মুসার মোজেজার সেই লাঠি দেখার সৌভাগ্য হয়েছিল, এখানে প্রেসিডেন্ট এরদোগানের কণ্ঠে পবিত্র কোরান মজিদ তেলোয়াতের রেকর্ড ২৪ ঘন্টা বাজতে থাকে। উল্লেখ্য এই শহরের মসজিদ ,পাহাড় ,পর্বতের উপর নির্মিত বাড়ি ঘরসমূহ মুসলিম স্থাপত্য শিল্পের বিখ্যাত নিদর্শন। মরক্কোর হাসান দ্বিতীয় কাসাব্লাঙ্কা মসজিদ (আটলান্টিকের তীরে নির্মিত),বিখ্যাত পুরাতন মারাকেচ শহরের মসজিদে সালাত আদায় করেছি, উল্লেখ্য কাসাব্লাঙ্কা থেকে এটলাস মাউন্টেন শহর ৩০০ কিঃমিঃ পর্যন্ত সব বিল্ডিংএর রং একই হালকা কমলা। পৃথিবীর ১ম বিশ্ব বিদ্যালয় মরক্কোর ফেজ নগরীতে ৮৭৯ সালে প্রতিষ্ঠিত। ইবনে বতুতার দেশ মরক্ক, ধন্যবাদ। মোহাঃ নিজাম উল মূলক ,এরোস্পেস ইঞ্জিনিয়ারিং প্রফেশনাল (অবঃ ), মন্ট্রিয়াল ,কানাডা।
Total Reply(0)
afsar shikder ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ১১:৩৫ এএম says : 1
attractive articles, thank you
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন