রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থেকে কাঁচপুর সেতুৃর ওপাড় পর্যন্ত বেশ কয়েকটি বাস চলে যেগুলোর কোনো ফিটনেস সনদ নেই। মতিঝিল থেকেও বিকালের পর ফ্লাইওভার হয়ে সানারপাড় পর্যন্ত চলে বেশ কয়েকটি ফিটনেসবিহীন বাস। পরিবহন শ্রমিকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, পুরো প্রক্রিয়া চলে পুলিশের সাথে লেনদেনের বিনিময়ে। আবার ফিটনেসের যোগ্য না হয়েও লক্করঝক্করমার্কা গাড়িকে ফিটনেস দেয়া হচ্ছে টাকার বিনিময়ে। যার নেপথ্যে বিআরটিএ-এর দুর্নীতিবাজ কিছু কর্মকর্তা। বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজ্জাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, পুলিশ ও বিআরটিএ-এর কর্মকর্তাদের যোগসাজশে এখনও ঢাকায় ফিটনেসবিহীন গাড়ির সংখ্যা তিন লাখের উপরে। এগুলো বন্ধ করার জন্য ফলপ্রসূ কোনো উদ্যোগ নেই। বরং ফিটনেসিবিহীন গাড়ির সংখ্যা ক্রমে বাড়ছে।
রাজধানীতে চলাচলকারী ফিটনেসবিহীন গাড়ির সংখ্যা কতো সে হিসাব কারও জানা নেই। বিআরটিএ-এর ওয়েবসাইডেও এ বিষয়ে হালনাগাদ কোনো তথ্য নেই। আবার সনদ থাকলেও কার্যত ফিটনেস নেই। কারণ মাত্র এক মিনিটেই মেলে ফিটনেস সার্টিফিকেট। চোখের দেখাতেই কাজটি সারতে হয় বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) মোটরযান পরিদর্শকদের। জনবল পরিসংখ্যান অনুযায়ী, মিরপুর সার্কেলে বিআরটিএর একমাত্র ডিজিটাল ইন্সপেকশন সেন্টারে (ডিভিআইসি) প্রতিদিন একজন পরিদর্শককে ফিটনেস যাচাই করতে হয় ১০০টির মতো গাড়ি- যা কার্যত অসম্ভব। এটাকে লুকোচুরি আখ্যায়িত করে যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, কিছুদিন আগে অভিযানের সময় দিনে ১২/১৩শ’ গাড়ির ফিটনেস হয়েছে। এটা কি করে সম্ভব! একটা ফিটনেসের কাগজ প্রিন্ট হতে যদি এক মিনিট করেও সময় লাগে ১২শ গাড়ির জন্য তবুও কমপক্ষে ২০ ঘণ্টা লাগার কথা। আরেকটি লুকোচুরির বিষয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, উচ্চ আদালতে ফিটনেসবিহীন গাড়ির বিরুদ্ধে অভিযানের যে পরিসংখ্যান তুলে ধরা হয়েছে তাও সঠিক নয়। নিয়মিত মামলাকে ফিটনেসের বিরুদ্ধে মামলা বলে চালিয়ে দেয়া হয়েছে।
এদিকে, সড়ক-মহাসড়কে চলাচলের অনুপযোগী, ফিটনেসবিহীন ও অনিবন্ধিত যান চলাচল তদারকি ও বন্ধে দেশের সব জেলায় টাস্কফোর্স গঠনের নির্দেশ দিয়েছে হাই কোর্ট। জনপ্রশাসন, স্বরাষ্ট্র, সড়ক ও সেতু সচিবকে এই নির্দেশ দিয়ে আদালত বলেছে, জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে পুলিশ, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, বিআরটিএর সমন্বয়ে এ টাস্কফোর্স গঠন করতে হবে।
হাইকোর্টের নির্দেশে আদালতের দাখিলকৃত পুলিশের প্রতিবেদনে বলা হয়, গত বছর ২৩ অক্টোবর হাই কোর্টের নির্দেশের পর বিভিন্ন তেলের পাম্প কর্তৃপক্ষকে চিঠি দেওয়া হয়েছে, যাতে ফিটনেসবিহীন যানবাহনে তেল দেওয়া না হয়। আদালতের আদেশ অনুযায়ী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এ অনুযায়ী কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। আর বিআরটিএর প্রতিবেদনে বলা হয়, গত বছর ২৩ অক্টোবর হাই কোর্টের আদেশের পর থেকে ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত সারাদেশে নিবন্ধিত চার লাখ গাড়ির মধ্যে থেকে এক লাখ ৬৫ হাজার ৭৬৪ গাড়ির ফিটনেস নবায়ন সনদ ছিল। আর নতুন নিবন্ধিত ১৯ হাজার তিনটি গাড়ির ফিটনেস সার্টিফিকেট দেওয়া হয়েছে। এর আগে গতবছর ২৩ অক্টোবর আদালত ফিটনেসবিহীন গাড়িতে তেল-গ্যাস- পেট্রোলসহ সব ধরনের জ্বালানি সরবরাহ বন্ধ করতে নির্দেশ দিয়েছিল।
এতকিছুর পরেও ফিটনেসবিহীন গাড়ি অবাধে চলছে রাজধানীসহ সারাদেশেই। শুধু তাই নয়, কোনোভাবেই ফিটনেসের যোগ্য হবে না এমন গাড়িও খোদ রাজধানীতেই চলছে। যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী জানান, ঢাকার মিরপুরে যে পদ্ধতিতে ফিটনেস সার্টিফিকেট দেয়া হয় তাতে ১০ শতাংশ সঠিকভাবে যাচাই করা হয় না। এর মধ্যে ৯০ শতাংশই ব্যক্তিগত গাড়ি। তিনি বলেন, মিরপুরে ইন্সপেক্টর আছেন মাত্র চার জন। এই চারজনের পক্ষে একটি কার্যদিবসে ৭০ থেকে ৮০ টা গাড়ির ফিটনেস পরীক্ষা করা সম্ভব। অথচ দিনে এর চেয়ে অনেক বেশি গাড়িকে সনদ দেয়া হচ্ছে টাকার বিনিময়ে। বিআরটিএ-এর উপ-পরিচালক (এনফোর্সমেন্ট) মো. আব্দুর রাজ্জাক ইনকিলাবকে বলেন, মিরপুরে এখন ডিজিটাল ভেহিকল ইন্সপেকশন সেন্টার (ডিভিআইসি) স্থাপন করা হয়েছে। তাতে মোটামুটি কম সময়ে ফিটনেস পরীক্ষা করা যায়। তিনি জানান, মিরপুরে ডিভিআইসিতে ঘণ্টায় ১৫টি গাড়ির ফিটনেস যাচাই করা যায়। এ হিসাবেও দিনে সর্বোচ্চ ১২০টি যানবাহন পরীক্ষা করা সম্ভব, এর বেশি নয়। অথচ প্রতিদিন ফিটনেস হালনাগাদ করতে আসা হাজারো গাড়ির বাকিগুলো চোখের দেখাতেই সনদ পেয়ে যাচ্ছে।
কয়েকদিন আগে সরেজমিনে মিরপুর বিআরটিএ তে গিয়ে দেখা গেছে, এখনও সেখানে দালালদের দৌরাত্ম থেমে নেই। ট্যাক্সটোকেনের জন্য কেউ গেলেই দালালরা কাছে এসে কানে কানে বিনা ঝামেলায় স্বল্প সময়ে ফিটনেস করার প্রস্তাব দেয়। কেউ তাদের দিকে মনোযোগ দিলেই তারা একটু সাইডে নিয়ে দামদর শুরু করে। ভুক্তভোগিরা জানান, মিরপুরে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের সিন্ডিকেটই নিয়ন্ত্রণ করছে এই দালালচক্র। সে কারণে প্রশাসন সবকিছু দেখেও না দেখার ভান করে। আর কেরানীগঞ্জের ইকুরিয়ার বিআরটিএ তো আগের মতোই নিয়ন্ত্রণহীন। সেখানেও ছাত্রলীগ, যুবলীগ আর স্বেচ্ছাসেবকলীগের দখলে সবকিছু।
সরকারি হিসাবেও দেশে ফিটনেসবিহীন গাড়ির সংখ্যা ৩ লাখের বেশি। আবার সনদ থাকলেই গাড়িটির সত্যিকারের ফিটনেস রয়েছে এমনটি মনে করার কারণ নেই। ঝুঁকিপূর্ণ এবং লক্কড়ঝক্কড় গাড়ি রাজস্ব খাতে ফি জমার বিনিময়ে পাচ্ছে ফিটনেস। মানে টাকার বিনিময়ে মিলছে ফিটনেস। এ তো গেল বৈধ টাকার বিষয়। পাশাপাশি অতিরিক্ত অর্থের বিনিময়ে গাড়ি না দেখেই মেলে ভৌতিক পরিদর্শন। যানবাহনের ফিটনেস সনদ প্রাপ্তির একমাত্র মাপকাঠি এখন রাজস্ব ফি দেওয়া, না-দেওয়া। উপেক্ষিত থাকে গাড়ির কারিগরি ও বাহ্যিক দিক। তাই গাড়ি না দেখে ফিটনেস সনদ দেওয়ার অভিযোগ বাড়ছে। সে সুযোগে র্দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়ছে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। বিআরটিএর কিছু কর্মকর্তার অবৈধ অর্থ উপার্জনের এ সুযোগ বন্ধ হচ্ছে না কোনোভাবেই।
জানা গেছে, গাড়ির কারিগরি ও বাহ্যিক অন্তত ৬০টি বিষয় বিবেচনায় এনে ফিটনেস সনদ দেয়ার নিয়ম। অথচ বছর শেষে গাড়ি নবায়নে প্রথমে নেওয়া হয় ফি ও ট্যাক্সটোকেনের অর্থ। এর পর গাড়ি হাজির করার কথা বলা হয়। সে ক্ষেত্রে তদবির বা অবৈধ অর্থের মাধ্যমে গাড়ি না দেখিয়ে পরিদর্শকের সই নেওয়ার অভিযোগ বহু। বিআরটিএর সংশ্লিষ্ট সার্কেল অফিসে গাড়ি হাজির করলেও এক মিনিটের মধ্যেই সেরে ফেলা হয় পরিদর্শনপর্ব। নিয়মানুযায়ী এ ক্ষেত্রে প্রায় ৬০ মিনিট সময় লাগার কথা। এ নিয়ে কর্মকর্তাদের অজুহাত- জনবল কম; গাড়ি বেশি। তাই দ্রুত সময়ে যাচাই সম্পন্ন করতে হয়। অবশ্য ব্যক্তিমালিকানার গাড়ি হাজির করার কিছুটা প্রবণতা আছে। সেখানে দালাল-কর্মচারীদের ‘ম্যানেজ’ না করলে হয়রানি করা হয়। আর পরিবহন নেতা কিংবা কোনো কোম্পানির সহায়তায় গেলে গাড়ির বদলে কাগজ হাজির করলেই চলে।
ভুক্তভোগিরা জানান, গাড়ি নবায়নের একটি বড় সমস্যা হচ্ছে, নিবন্ধনপ্রাপ্ত বিআরটিএর সংশ্লিষ্ট অফিসে গাড়ি হাজির করে নবায়ন করাতে হবে। দেখা যায়, রেজিস্ট্রেশনের পর গাড়ি ঢাকার বাইরে কোনো এলাকায় চলাচল করছে। ফিটনেস নবায়নের জন্য আবার আনা ‘কঠিন’ বিবেচনায় সার্কেল অফিসে হাজির করতে নিরুৎসাহী থাকেন গাড়ি মালিকরা। বিকল্প পন্থায় ‘আন সিন’ গাড়ি নবায়নের জন্য তখন অনৈতিক পথ খোঁজেন মালিকপক্ষ। আবার গাড়ি সার্কেল অফিসের কাছাকাছি থাকলেও উপার্জনের ক্ষতি বা অন্য কাজে ব্যস্ত রাখার কারণেও গাড়ি হাজির করতে অনাগ্রহ দেখা যায়। কেউ কেউ সময় বাঁচানোর অজুহাত দেখান। এ প্রেক্ষাপটে সড়ক পরিবহন আইন, ২০১৮-এর ১২৪ (১) (খ) এর ক্ষমতাবলে বিআরটিএর যে কোনো সার্কেল থেকে ফিটনেস নবায়নের সুযোগ দিয়ে নতুন প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার।
সংশ্লিষ্টরা জানান, নবায়নের জন্য গাড়ি হাজির করলেই র্দুর্নীতি বন্ধ হয়ে যাবে এমনটি নয়। কারণ দেশের মোট ৪৩ লাখ গাড়ির বিপরীতে মোটরযান পরিদর্শক রয়েছেন মাত্র ১২৫ জন। ফিটনেস সনদ দিতে হলে সংশ্লিষ্ট যানবাহন কারিগরি ত্রুটিমুক্ত হতে হবে। এ জন্য অন্তত ৬০ মিনিট সময় লাগে। খতিয়ে দেখতে হয় গাড়ির ৬০টি দিক। এর মধ্যে রয়েছে- গাড়ির ধরন, ইঞ্জিন অ্যাসেম্বলি (পাওয়ার ইউনিট), ধোঁয়া নির্গমনের অবস্থা, চাকা মান, টায়ারের ধরন ও আকার, বাম্পারের অবস্থান, অতিরিক্ত চাকা রাখার ক্যারিয়ার, গাড়ির আকার, যাত্রীর দরজা, চালক ও জরুরি প্রয়োজনে বহির্গমনের পথ, চালকের আসন ও তার সামনের যন্ত্রাংশ, গাড়ির বডির নিরাপত্তা, গাড়ির ভেতর ও বাইরের খুঁটিনাটি সব দিক, চালকের নিয়ন্ত্রণ যন্ত্রের মান, স্টিয়ারিং ও ব্রেক সিস্টেমের ধরন এবং মান, সতর্কতা ব্যবস্থা, ব্রেক সিস্টেমের সব দিক, ইঞ্জিন ও চেসিসের অবস্থান ও মান, তেল রাখার ট্যাংকির ত্রুটিমুক্ত অবস্থা, ফুয়েল ট্যাংক সিস্টেম, লুকিং গ্লাস, সব ধরনের বাতির কার্যকারিতা, মিটার, ইন্ডিকেটর, এক্সেল লোড, পাওয়ার স্টিয়ারিং। এসব পরিদর্শনের কাজ শেষ করার পর মেলার কথা ফিটনেস সনদ। কিন্তু চোখের দেখায় মিনিটখানেকের মধ্যেই দেওয়া হয় ফিটনেসের বৈধতা। বিশেষজ্ঞদের মতে, এ রকম অবৈজ্ঞানিক পন্থায় ফিটনেস সনদপ্রাপ্তির দৃষ্টান্ত বিশ্বে বিরল।
এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণের জন্য দক্ষিণ কোরিয়ার সহযোগী প্রতিষ্ঠান কোইকার অর্থায়নে ৫টি ভেহিক্যাল ইন্সপেকশন সেন্টার (ভিআইসি) স্থাপন করা হয়। এর মধ্যে চালুর আগেই সব কটি অচল হয়ে পড়ে। পরবর্তী সময়ে একটি আবার মেরামত করে একমাত্র ঢাকার মিরপুর অফিসে চালু করা হয়। বাণিজ্যিক পরিবহন যাচাইয়ের কাজটি করে এ ভিআইসি। আর ব্যক্তিগত ও হালকা যানবাহনের ফিটনেস পরীক্ষা করা হয় খালি চোখে।
ভিআইসির মাধ্যমে পরিদর্শনকর্মী চালকের আসনে বসে ওজন, টায়ারের বিট বা ঘনত্ব, গতি ও গতিরোধক বা ব্রেক পরীক্ষা দেড় মিনিটের মধ্যে শেষ করেন। নামার আগে ভেতরের আসন, রং ঠিক আছে কি না, সেটি পরীক্ষা করে নেন। ভিআইসিতে পরিদর্শনের ধাপে চার ধরনের পরীক্ষা হয়। ওজন স্কেলে ‘এক্সেল লোড’ পরীক্ষা করা হয়। দেখা হয় টায়ারের ঘনত্ব। এরপর পরীক্ষা করা হয় গতি। সবশেষে গাড়ির গতিরোধক বা ব্রেক পরীক্ষা করা হয়। পরিদর্শন ধাপটি শেষ করতে ১৮-২০ মিনিট লাগে। সব মিলিয়ে ১ ঘণ্টা লাগার কথা।
অথচ মিরপুর অফিসে ভিআইসির মাধ্যমে দেখা হয় এতে সময় লাগে কয়েক মিনিট। আর খালি চোখে অন্য গাড়ি দেখতে সময় যায় মিনিটখানেক। এভাবেই বিআরটিএর ৫৭ সার্কেল অফিসজুড়ে গাড়ি পরিদর্শন চলছে।
এ প্রসঙ্গে দুর্ঘটনা গবেষণা ইনস্টিটিউটের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, ফিটনেস সনদ দেওয়ার পুরো প্রক্রিয়াই অবৈজ্ঞানিক। যে প্রক্রিয়ায় ফিটনেস দেওয়া হয়, তাতে গাড়ির ত্রুটি নজরে আসার কথা নয়। এসব অভিযোগের বিষয়ে বিআরটিএ-এর উপ-পরিচালক মো. আব্দুর রাজ্জাক গতকাল ইনকিলাবকে বলেন, আগের চেয়ে বিআরটিএ-এর অবস্থা অনেকটাই উন্নত হয়েছে, কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে। এখন গাড়ি না এনে ফিটনেস সার্টিফিকেট পাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। ঢাকায় এখনও ফিটনেসবিহীন গাড়ি চলছে একথা স্বীকার করে তিনি বলেন, দিনে অভিযানের ভয়ে অনেক গাড়ি চলে না। বিকালের পর চলে। তবে পুলিশ সচেষ্ট হলে এগুলো চলতে পারতো না। আব্দুর রাজ্জাক বলেন,ফিটনেস পরীক্ষা ম্যানুয়ালি হয় বলে এ নিয়ে পুরোপুরি দুর্নীতি রোধ করা সম্ভব নয়। আগামীতে স্বয়ংক্রিয় মেশিন স্থাপন করা গেলে মাধ্যমে দুর্নীতি রোধ করা সম্ভব হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন