ফিটনেসবিহীন গাড়িতে জ্বালানি সরবরাহ না করার রিটে পক্ষভুক্ত হয়েছে ‘বাংলাদেশ সিএনজি ফিলিং স্টেশন অ্যান্ড কনভারসন অ্যাসোসিয়েশন’। বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার এবং বিচারপতি কেএম হাফিজুল আলমের ডিভিশন বেঞ্চে আগামি ১ জুন এ বিষয়ে শুনানির তারিখ ধার্য করা হয়েছে।
সংগঠনটির আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল সোমবার এ তারিখ ধার্য করেন আদালত।
পক্ষভুক্তির আবেদনকারী ‘বি-বাড়িয়া সিএনজি ফিলিং সেটশনের মালিক মো. রফিকুল ইসলাম। তারপক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মো.ওবায়দুর রহমান। সরকারপক্ষে শুনানিতে অংশ নেন ডেপুটি এটর্নিজেনারেল (ডিএজি) একেএম আমিনউদ্দিন মানিক। বিআরটিএ’র পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন অ্যাডভোকেট রাফিউল ইসলাম।
ডিএজি মানিক জানান, গত ১৬ ফেব্রুয়ারি সারাদেশে ফিটনেসবিহীন, নিবন্ধনহীন, চলাচলের অযোগ্য অবৈধ গাড়ির বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা এবং এসব গাড়ি বন্ধে আইন অনুসারে পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। এ জন্য নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, বিআরটিএ এবং পুলিশের সমন্বয়ে সব জেলায় একটি টাস্কফোর্স গঠন করতে বলা হয়।
এছাড়া টাস্কফোর্সের জন্য নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দিতে ডিসিদের প্রতি নির্দেশ দেয়া হয়। এর আগে গত বছরের ২৩ অক্টোবর ফিটনেস নবায়ন না করা গাড়িকে পেট্টোল পাম্প থেকে জ্বালানি না দিতে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।
গাড়ি ও চালকের লাইসেন্স এবং ফিটনেসবিহীন গাড়ি সংক্রান্ত একটি ইংরেজি দৈনিকে গতবছর ২৩ মার্চ একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। সেটি সংযুক্ত করে আদালতের দৃষ্টিতে আনেন অ্যাডভোকেট সৈয়দ মামুন মাহবুব। ওইদিন আদালত রুলসহ আদেশ দেন।
রুলের বিবাদীরা হলেন, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব, পুলিশের আইজি, চেয়ারম্যান বিআরটিএ, ঢাকার ডিসি ট্রাফিক (উত্তর ও দক্ষিণ), বিআরটিএ ডিরেক্টর ( রোড নিরাপত্তা) ও দুদক চেয়ারম্যান।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন