শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

খেলাধুলা

জয়ের দেখা পেল শেখ জামাল ও আরামবাগ

স্পোর্টস রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ৮:০৩ পিএম | আপডেট : ৯:০৯ পিএম, ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২০

ঘরোয়া ফুটবলের মর্যাদাপূর্ণ আসর বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) দ্বাদশ সংস্করণ হার দিয়ে শুরু করলেও দ্বিতীয় ম্যাচে এসে ঘুরে দাঁড়িয়েছে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব ও আরামবাগ ক্রীড়া সংঘ। মঙ্গলবার গোপালগঞ্জের শেখ ফজলুল হক মনি স্টেডিয়ামে শেখ জামাল ২-১ গোলে হারায় মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্রকে। বিজয়ী দলের হয়ে গাম্বিয়ার ফরোয়ার্ড ওমর জবি ও সলোমন কিং একটি করে গোল করেন। মুক্তিযোদ্ধার পক্ষে একমাত্র গোলটি শোধ দেন ক্যামেরুনের ফরোয়ার্ড পল এমিল। এই জয়ে দুই ম্যাচে ৩ পয়েন্ট পেল শেখ জামাল। আগের ম্যাচে তারা ২-০ গোলে হেরেছিল চট্টগ্রাম আবাহনীর বিপক্ষে। অন্যদিকে চলতি লিগে মুক্তিযোদ্ধার এটা প্রথম ম্যাচ। যে ম্যাচে হেরে পয়েন্টশূণ্য থাকল তারা। একই দিন সন্ধ্যায় চট্টগ্রামের এমএ আজিজ স্টেডিয়ামে আরামবাগ ২-১ গোলে হারায় স্বাগতিক চট্টগ্রাম আবাহনীকে। আরামবাগের পক্ষে নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড এলিটা কিংসলে একাই দু’গোল করেন। চট্টগ্রাম আবাহনীর হয়ে এক গোল শোধ দেন ফরোয়ার্ড সাখাওয়াত হোসেন রনি। এবারের লিগে নিজেদের প্রথম ম্যাচে আরামবাগ ১-০ গোলে মোহামেডানের কাছে হারলেও চট্টগ্রাম আবাহনী ২-০ ব্যবধানে হারিয়েছিল শেখ জামালকে।

ক’মৌসুম আগেও দাপুটে দল ছিল শেখ জামাল। ২০১০-১১ মৌসুমে নতুন নামে আতœপ্রকাশ করেই বিপিএল শিরোপা ঘরে তুলেছিল দলটি। এরপর ২০১৩-১৪ ও ২০১৪-১৫ টানা দু’মৌসুম লিগ চ্যাম্পিয়ন হলেও পরের তিন মৌসুম শিরোপার নাগাল পায়নি শেখ জামাল। সাম্প্রতিক সময়ে যেন জৌলুস হারিয়েছে অভিজাত পাড়ার ক্লাবটি। গেল তিন মৌসুম ধরে ধুকছে সাবেক চ্যাম্পিয়নরা। বলা যায় বিপিএলে কোন রকমে টিকে আছে তারা। তবে এবার শিরোপা পুনরুদ্ধারের মিশন তাদের। কিন্তু মাঝারী মানের দল নিয়ে চ্যাম্পিয়ন রেসে থাকার লড়াইয়ে নেমে শুরুতেই চট্টগ্রাম আবাহনীতে হোঁচট খেয়েছে শেখ জামাল। আশার কথা পরের ম্যাচেই জয়ে ফিরেছে তারা। যদিও মুক্তিযোদ্ধার বিপক্ষে সহজ জয় পায়নি ধানমন্ডির ক্লাবটি। মঙ্গলবার ম্যাচের শুরু থেকেই গোলের জন্য মরিয়া ছিল শেখ জামাল। ফলে আক্রমণাতœক ফুটবল উপহার দিয়েই প্রথমার্ধে গোল আদায় করে নেয় তারা। মুক্তিযোদ্ধাও পাল্টা আক্রমণে গিয়ে গোলের সুযোগ সৃষ্টি করে। কিন্তু একটির বেশী গোল জুটেনি তাদের ভাগ্যে। ম্যাচের ৪৪ মিনিটে এগিয়ে যায় শেখ জামাল। এসময় ডান দিক থেকে জাহিদ হোসেনের ক্রসে ওমর জবির হেড মুক্তিযোদ্ধার গোলরক্ষক মাহফুজ হাসান প্রিতম ফিরিয়ে দিলেও ফিরতি বলে সেই ওমর জবিই শট করে গোল করেন (১-০)। পরের মিনিটেই বিরতিতে যায় দুই দল। তবে দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই সমতায় ফেরে মুক্তিযোদ্ধা। ম্যাচের ৪৭ মিনিটে সোহেল রানার থ্রু পাস ধরে বুদ্ধিদ্বীপ্ত শটে লক্ষ্যভেদ করেন ক্যামেরুনের ফরোয়ার্ড পল এমিল। শটে গতি না থাকলেও জামাল গোলরক্ষক জিয়াউর রহমান জিয়া বুঝে উঠতে পারেননি। বল তার পাশ দিয়ে গড়িয়ে জালে জড়ায় (১-১। অবশ্য মিনিট ২৬ পরে ফের এগিয়ে যায় শেখ জামাল। ম্যাচের ৭৩ মিনিটে ডান দিক থেকে মোজাম্মেল হোসেন নিরা ক্রস করলে গাম্বিয়ান ফরোয়ার্ড সলোমন কিং হেডে গোলরক্ষক প্রিতমকে পরাস্ত করেন (২-১)। বাকি সময় আর কোন গোল না হওয়ায় এই ব্যবধানের জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে শেখ জামাল ধানমন্ডি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন