ঢাকার কেরানীগঞ্জে এক যুবককে অপহরণের পর মুক্তিপণের জন্য হত্যার তিনদিন পর লাশ উদ্ধার করেছে র্যাব-১০। নিহত যুবকের নাম মো. মোকসেদুল মমিন চৌকিদার (১৮)। তার বাবার নাম মো. সাহাবুদ্দিন চৌকিদার। তাদের বাসা জিনজিরা ইউনিয়নের বন্দ ডাকপাড়া এলাকায়।
এ ঘটনায় র্যাব-১০ গত বুধবার রাতে রাজধানীর নবাবপুর রোড থেকে মো. ফাহিম (১৯) নামে এক অপহরণকারীকে আটক করে। তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী গতকাল সকাল ১০টায় শুভাঢ্যা ইউনিয়নের রতনের খামার এলাকায় বালুর নিচ থেকে মোকসেদুল মমিনের লাশ উদ্ধার করা হয়। পরে নিহতের লাশের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়। আটক ফাহিমের বাবার নাম আব্দুর রহিম। বাসা শুভাঢ্যার হাবিব নগর এলাকায়।
নিহতের বাবা সাহাবুদ্দিন জানান, তার ছেলে গত সোমবার দুপুরে বাসা থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হয়। পরের দিন তার ছেলের মোবাইল ফোন থেকে তাকে জানানো হয় যে তার ছেলেকে অপহরণ করা হয়েছে। তাকে জীবিত পেতে হলে ২ কোটি টাকা মুক্তিপণ দিতে হবে। তিনি ওইদিনই কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় একটি জিডি করেন। তিনি দুই দফায় ১০ হাজার টাকা বিকাশের মাধ্যমে অপহরণকারীদের প্রদান করেন। পরে তিনি র্যাব-১০ কেরানীগঞ্জ কোম্পানী কমান্ডার বরাবর লিখিত একটি আবেদন করেন।
তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে র্যাব-১০ কেরানীগঞ্জ ক্যাম্পের এএসপি আবুল কালাম আজাদের নেতুত্বে একদল র্যাব সদস্য গত বুধবার রাতে রাজধানীর নবাবপুর রোড থেকে ৫ হাজার টাকাসহ অপহরণকারী মো. ফাহিমকে আটক করেন।
র্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে ফাহিম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে এবং তার দেখানো রতনের খামার এলাকায় বালুর নিচ থেকে গলাকাটা অবস্থায় মোকসেদুলের লাশ উদ্ধার করা হয়। কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ওসি কাজী মাইনুল ইসলাম জানান, থানায় মামলা হয়েছে এবং আসামি আটক আছে। বাকি আসামিদেরও দ্রুত গ্রেফতার করা হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন