আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনায় উভয়পক্ষ মামলা দায়ের করেছে। ভুলতা ইউনিয়নের ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি হামজালার পক্ষে তার স্ত্রী মুন্নি আক্তার ও ছাত্রলীগ নেতা খন্দকার তারেক আহম্মেদ বাদী হয়ে মামলা দুটি করেন। গত বৃহস্পতিবার রাতে রূপগঞ্জ থানায় উভয়পক্ষের মামলা রুজু করা হয়। এ ঘটনায় উভয়পক্ষের নয় জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা হল- মেহেদী হাসান বাপ্পি, জিসান, রফিক, সুমন, দ্বীন ইসলাম, দ্বীপ বিশ্বাস, সোহাগ, আসাদ ও মেহেদী হাসান রনি।
গত মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এসময় এক পক্ষ আরেক পক্ষের দলীয় কার্যালয় ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। অফিসে থাকা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, পাট ও বস্ত্রমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজীর ছবি ভাঙচুর করা হয়। এ ঘটনায় হামজালার পক্ষে তার স্ত্রী মুন্নি আক্তার বাদী হয়ে রূপগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল আলম শিকদার, উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মাসুম, আব্দুল্লাহ ও ইমরানসহ ৫০/৬০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে মামলা দায়ের করেন।
অপরদিকে ছাত্রলীগ নেতা খন্দকার তারেক আহম্মেদ বাদী হয়ে হামজালা, সিয়াম, মানিক, সৌরভ, ইসমাইল, সোহাগ, মেহেদীসহ অজ্ঞাত আরো ১০/১২ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। পুলিশ অভিযান পরিচালনা করে সংঘর্ষের ঘটনায় জড়িত নয় জনকে গ্রেফতার করে। রূপগঞ্জ থানার ওসি মাহমুদুল হাসান জানান, এ ঘটনায় উভয়পক্ষ মামলা দায়ের করেছে। যারা প্রকৃত দোষী তাদের কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন