পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সংলগ্ন গভীর বঙ্গোপসাগর থেকে বিপুল পরিমান ভারতীয় শাড়ি, থ্রিপিচসহ ১৩ চোরাকারিকে আটক করেছে নিজামপুর কোস্টগার্ড সদস্যরা। এসময় এফ.বি শিপশা নামের একটি ট্রলার জব্দ করা হয়। গত বৃহস্পতিবার দুপুরে অভিযান চালিয়ে এসব কাপড় জব্দ করা হলেও সঠিক কি পরিমান কাপড় জব্দ করা হয়েছে তা দুই দিনেও নিশ্চিত করতে পারেনি কোষ্টগার্ড। তবে ধারনা করা হচ্ছে জব্দকৃত এসব কাপড়ের মূল্য আনুমানিক তিন কোটি টাকা হতে পারে।
আটককৃতরা হলো রবিউল (৩৪), নজরুল ইসলাম (৪০), ইসমাইল গাজী (৩৪), আল-আমীন (২২), সাইফুল ইসলাম (২৭), দেলোয়ার (৩২), আসাদুল ইসলাম (৩৫), রাব্বি (১৮), সেলিম গাজী (৩৫), খাদিমুল ইসলাম (৪২), জাকির (৪২) এবং জামাল সরদার (৪০) এবং লিটন হোসেন হাওলাদার (৩৯)। আটকৃত জামাল সরদারের বাড়ি খুলনা এবং লিটন হোসেনের বাড়ি পটুয়াখালী জেলায়। বাকি ১১ জনের বাড়ি সাতক্ষীরা জেলোর বিভিন্ন এলাকায়।
নিজামপুর কোষ্টগার্ডের চিফ প্যাটি অফিসার ফারুক আহম্মেদ জানায়, গত বুধবার চোরাকারবারির সদস্যরা ট্রলার নিয়ে কলকাতার কাকদিপ এলাকায় যায়। সেখান থেকে ভারতীয় কাপড় নিয়ে মূল হোতাদের নির্দেশে কুয়াকাটা থেকে ১৮ কিলোমিটার পূর্ব দিকে গভীর বঙ্গোপসাগর থেকে খুলনা-সাতক্ষিরার দিকে যাওয়ার চেষ্টা করে। এসময় কোষ্টগার্ড সদস্যের টহলরত অবস্থায় সন্দেহ হলে ধাওয়া করে তাদের আটক করে। কি কারনে এখনও এসব জব্দকৃত কাপড়সহ চোরাকারবারিদের পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়নি সেটা তিনি নিশ্চিত বলতে পারেননি। তবে আজকের মধ্যে এসব মালামাল হস্তান্তর করা হবে বলে তিনি নিশ্চিত করেছেন।
মহিপুর থানার ওসি তদন্ত মাহবুবুল আলম জানান, সাংবাদিকদের মাধ্যমে জানতে পেরে কোষ্টগার্ড সদস্যদের কাছে ফোন দিয়ে জানতে পারি কাপড়সহ ১৩ চোরাকারবারীকে আটক করা হয়েছে। এখনও তারা কাপড়সহ চোরকারবীদের আমাদের কাছে হস্তান্তর করেনি। তবে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে বলে তিনি জানান।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন