ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল ডিগ্রী কলেজে গত ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে ২লক্ষ টাকা ব্যয়ে বঙ্গবন্ধুর মুরালটি নির্মান কাজ শুরু করলেও তা সম্পন্ন হওয়ার আগেই ধসে পড়েছে বেশ কিছু অংশ। ফলে লোকলজ্জার ভয়ে জরাজীর্ণ অবস্থায় মুরালটিকে কাপড় দিয়ে ঢেকে রেখেছে বলে দাবি স্থানীয় জনগনের।
এ ব্যপারে প্রতিবাদ জানিয়ে ১ মার্চ সকালে কলেজ কর্তৃপক্ষকে ২৪ ঘন্টার আল্টিমেটাম সহ প্রেসক্লাব ও সরকারী দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছে স্থানীয় ছাত্রলীগ ও যুবলীগ।
অভিযোগ প্রসংঙ্গে ঠাকুরগাঁও-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও রাণীশংকৈল ডিগ্রী কলেজের অধ্যাপক ইয়াসিন আলী বলেন, তৎকালিন সময়ে তিনি জেলা পরিষদ থেকে ২ লক্ষ টাকার বরাদ্দ দিয়েছেন এবং ১ লক্ষ টাকা উত্তোলন করেছে কলেজ কর্তৃপক্ষ।
মুরাল নির্মান কমিটির সম্পাদক ও কলেজ অধ্যক্ষ তাজুল ইসলাম বলেন, মুরাল নির্মাণের জন্য এমপির দেয়া ১ লক্ষ টাকা পেয়েছি এবং ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকায় কাজটি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের এক মুরাল আর্টিষ্টকে কনট্রাক দেয়া হয়েছে, তার গাফিলতির জন্যই কাজটির এমন অবস্থা।
মুরাল নির্মাণ কমিটির সভাপতি ও উপজেলা আ’লীগের সভাপতি অধ্যাপক সইদুল হক বলেন, জেলা পরিষদ থেকে ২ লক্ষ টাকা বরাদ্দ হলেও এ পর্যন্ত ১ লক্ষ টাকা পাওয়া গেছে বাকী এক লক্ষ টাকা এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি, তবে ১০ মার্চের মধ্যে বঙ্গবন্ধুর মুরালটি সম্পন্ন হবে।
এ বিষয়ে সংরক্ষিত আসনের সাবেক এমপি সেলিনা জাহান লিটা বলেন, সেসময় আমি উপজেলায় জাতির পিতার কোন মুরাল না থাকায় একটি মুরাল তৈরীর উদ্যোগ নিলে রাতারাতি রাণীশংকৈল ডিগ্রী কলেজ মুরাল নির্মাণের ঘোষণা দেয়। ফলে আমি আর এ বিষয়ে অগ্রসর হইনি। কিন্তু একটি মুরাল তৈরী করতে দুই বছর পেরিয়ে গেলেও তা সমাপ্ত না হওয়া এবং কাজ সম্পন্ন হওয়ার আগেই ধ্বসে পড়া অত্যান্ত দূ:খজনক বিষয়। সর্বোপরি সেই কলেজে সম্পৃক্ত রয়েছেন উপজেলা আ’লীগের সভাপতি এবং মুরাল নির্মাণ কমিটির সভাপতি, তিনি থাকতে এ ধরণের কাজ কিভাবে সম্ভব তা ভাবতে অবাক লাগছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন