পিরোজপুরের জেলা ও দায়রা জজ বদলির আদেশকে বিচার বিভাগের স্বাধীনতার ওপর নগ্ন হস্তক্ষেপ বলে অভিহিত করেছে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)। গতকাল সংস্থাটির সভাপতি এম হাফিজউদ্দিন খান ও সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে এ কথা বলা হয়েছে।
ওই বিবৃতিতে তারা বলেন, এ ঘটনা আদালতের ওপর রাজনৈতিক তথা ক্ষমতাশালীদের প্রভাব বিস্তারের নিকৃষ্ট দৃষ্টান্ত। বলার অপেক্ষা রাখে না যে, আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের এমন আচরণ রাষ্ট্রের বিচার ব্যবস্থার প্রতি অনাস্থার শামিল। সর্বোপরি-এর ফলে বিচারিক আদালতের সব সিদ্ধান্তকে প্রশ্নবিদ্ধ করা হলো।
এ ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ জানিয়ে সুজন সভাপতি ও সম্পাদক আরো বলেন, আশা করি, এই ধরনের অনাকাক্সিক্ষত ঘটনার পর আমাদের বোধদয় হবে এবং বিচার বিভাগকে প্রকৃত অর্থেই স্বাধীন করার ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট সবাই দ্রæত উদ্যোগ নেবে।
মাসদার হোসেন মামলার রায় অনুসরণ করে বিচার বিভাগকে সত্যিকার অর্থে স্বাধীন করার কোনো বিকল্প নেই বলেও মন্তব্য করেছেন তারা।
উল্লেখ, গত ৩ মার্চ পিরোজপুরের জেলা ও দায়রা জজ আব্দুল মান্নান দুর্নীতির মামলায় আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য ও পিরোজপুর জেলা কমিটির সভাপতি এ কে এম এ আউয়াল এবং তার স্ত্রী লায়লা পারভীনের জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। ওই দিন বেলা ৩টার দিকে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয় ফ্যাক্সযোগে জেলা ও দায়রা জজ আব্দুল মান্নানকে ওএসডির আদেশ পাঠায়। পরে তিনি যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ নাহিদ নাসরিনের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করেন। নাহিদ নাসরিন দুই আসামিকে জামিন দেন।
এরই মধ্যে জেলা ও দায়রা জজকে এই তাৎক্ষণিক প্রত্যাহারের আদেশের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন হাইকোর্ট।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন