শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

বিচার বিভাগীয় তদন্ত চেয়ে রিট

কবরস্থানে নড়ে ওঠা ‘মৃত’ শিশু

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৯ অক্টোবর, ২০২০, ১২:০০ এএম

জীবিত শিশুকে ‘মৃত’ হিসেবে দাফনের সময় নড়ে ওঠার ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্ত চেয়ে রিট হয়েছে। গতকাল রোববার ১০ আইনজীবীর পক্ষে রিটটি করেন অ্যাডভোকেট শিশির মনির। রিটে এ ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের সংশ্লিষ্ট চিকিৎকদের দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগ তুলে দায়ীদের বিরুদ্ধে কেন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে না- এ মর্মে রুল চাওয়া হয়েছে।

গত ১৪ অক্টোবর ৬ মাস ১৬ দিনের অন্তঃসত্ত্বা অসুস্থ স্ত্রী শাহিনুর বেগমকে ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে আসেন নবজাতকটির বাবা বাসচালক ইয়াসিন। তাকে গাইনি বিভাগের ২১২ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসকরা জানান, তার প্রেসার অনেক হাই। বাচ্চাটিকে ডেলিভারি না করালে তার প্রেসার কমবে না। চিকিৎসকদের কথায় সম্মতি দেয়ার পর ওইদিন রাতেই তাকে লেবাররুমে নিয়ে নরমাল ডেলিভারির চেষ্টা করা হয়। ডেলিভারি না হওয়ায় তাকে ১১০ নম্বর ওয়ার্ডে রাখা হয়। সেখানে চিকিৎসকরা দুইদিন চেষ্টার পর ১৬ অক্টোবর ভোরে তার আবার ব্যথা শুরু হয়। এরপর ভোর পৌনে ৫টার দিকে তার স্ত্রী এক কন্যাসন্তান প্রসব করেন।

চিকিৎসকরা জানান, বাচ্চাটি মৃত অবস্থায় হয়েছে। এরপর হাসপাতালের আয়া মৃত বাচ্চাটিকে প্যাকেট করে বেডের নিচে রেখে দেন এবং কোথাও নিয়ে দাফন করার জন্য বলেন। সকাল ৮টার দিকে নবজাতকটির বাবা নবজাতককে দাফন করার জন্য আজিমপুর কবরস্থানে নিয়ে যান। সেখানে ১ হাজার ৫০০ টাকা সরকারি ফি দিতে না পারায় তাদের পরামর্শে রায়েরবাজার বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে নিয়ে যান। সেখানে ৫০০ টাকা ফি ও কিছু বকশিস দেয়ার পর মৃত নবজাতকটির জন্য কবর খোঁড়া শুরু হয়।

কবর খোঁড়ার প্রায় শেষ পর্যায়ে শিশুর কান্নাকাটির শব্দ শুনতে পান। তিনি আশপাশে কোথাও কিছু না পেয়ে, পরে পাশে রাখা নবজাতকটির দিকে খেয়াল করেন। এরপর প্যাকেট খুলে দেখেন বাচ্চাটি নড়াচড়া ও কান্নাকাটি করছে। পরে নবজাতককে দ্রুত আবার ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসকরা দেখে নবজাতক বিভাগে ভর্তি করেন।

ইয়াছিন-শাহিনুর দম্পতির এটি দ্বিতীয় সন্তান। এর আগে তার ১০ বছরের ইশরাত জাহান নামে আরেকটি মেয়ে আছে। তাদের বাড়ি গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার মালঙ্গা গ্রামে। তুরাগ ধউর নিসাতনগর এলাকায় তাদের বাস। শাহিনুর বেগম পেশায় একজন গৃহিণী। ইয়াছিন বিআরটিসির বাসচালক। রিটে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্ট দফতর প্রধানদের বিবাদী করা হয়।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন