পারিবারিক বিরোধ সামাজিকভাবে নিষ্পত্তি হওয়ার পর পুনরায় আদালতে মামলা দিয়ে অহেতুক হয়রানির ঘটনা ঘটেছে। কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার বাঙ্গরাবাজার থানাধীন আন্দিকুট ইউনিয়নের হায়দরাবাদ গ্রামে ওই ঘটনা ঘটে। ভূক্তভোগি পরিবারটি বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি জানিয়ে গত শনিবার সকালে মুরাদনগর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে প্রশাসনের নিকট আকুতি জানিয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে দক্ষিণ বাঙ্গরা গ্রামের শেখ সামছুল হক বলেন, ২০১৯ সালের ২৩ নভেম্বর আমার ছেলে শেখ আব্দুর রশিদের সাথে হায়দরাবাদ গ্রামের সোহেল রানা সরকারের মেয়ে ঐশী রানী সরকারের সামাজিকভাবে বিয়ে হয়। ১১ মাস সংসার করার পর ছেলে কালো তাই তাকে পছন্দ হয় না মেয়ের। তাই মেয়ের পরিবারের কথামতো সালিশ বৈঠকের মাধ্যমে বিয়ে বিচ্ছেদ হয়। অথচ তারাই আবার আদালতে গিয়ে আমাদেরকে আসামি করে মামলা করলো। আমরা হয়রানি থেকে রক্ষা পেতে বিচার বিভাগীয় তদন্তের জন্য প্রশাসনের নিকট জোর দাবি জানাচ্ছি। মুরাদনগর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ হারুন আল রশীদ বলেন, মেয়ের বাবার দীর্ঘদিনের পিড়াপিড়িতে আমার বাড়িতে সালিশ বসে। উপস্থিত গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ সংসার টিকিয়ে রাখার জন্য চেষ্টা করেন। মেয়ে ও তার বাবা কোন মতেই আমাদের কথা কর্নপাত করে নাই। শেষে বিয়ের সময় দেয়া ৩ ভরি স্বর্ণালঙ্কার ও আড়াই লাখ টাকা পেয়ে স্বইচ্ছায় তালাকনামায় স্বাক্ষর করেন ঐশি রানী সরকার। পরে শুনলাম মেয়ে নাকি আদালতে মামলা করেছেন, বিষয়টি দু:খজনক।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন