আইন ও বিচার বিভাগে বরাদ্দ বাড়ানোর দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয় আইনজীবী সমিতি। বরাদ্দ বাড়ানো হলে মামলা জট কমবে বলেও মনে করে সংগঠনটি। গতকাল বুধবার সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ভবনের ল’ রিপোর্টার্স ফোরাম (এলআরএফ) কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান জাতীয় আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও সিনিয়র আইনজীবী শাহ মোঃ খসরুজ্জামান।
লিখিত বক্তব্যে শাহ মোঃ খসরুজ্জামান বলেন, গত ২৯ এপ্রিল এক সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় আইনজীবী সমিতি ৫ দফা সুপারিশ করেছিল। ওই সুপারিশ অনুযায়ী অপ্রদর্শিত অর্থ শিল্প ও কলকারাখানায় বিনিয়োগ এবং আবাসন খাতে বিনিয়োগের ওপর বিদ্যমান কর কমানোয় অর্থমন্ত্রীকে ধনাব্যদ জানাচ্ছি।
তিনি বলেন, আমাদের স্পষ্ট মতামত হলো অপ্রদর্শিত অর্থের বিনিয়োগের সুযোগ দিয়ে ৫ শতাংশের অতিরিক্ত করারোপ ঠিক হবে না। এটা মোটেই সময়োপযোগী নয়। কারণ ইতোপূর্বে সরকারের ১০ শতাংশ হারে কর নিয়ে অপ্রদর্শিত অর্থ বৈধ করার সুযোগে সফলতা আসেনি। বিত্তশালীরা গোপনীয় অর্থ প্রদর্শনে উৎসাহিত হয়নি। অপরদিকে শিল্পায়নের জন্য এলাকা সীমিতকরণ বর্তমান অর্থনেতিক পরিপ্রেক্ষিতে সমীচীন হবে না। এছাড়া আবাসন খাতে কর বেশি বলে নাগরিকরা উৎসাহিত হয়না।
এজন্য আবাসন খাতে কর কমানো উচিৎ। তিনি আরো বলেন, সারা দেশের আদালতে আইনজীবীদের দেয়া কোর্ট ফি থেকে ১ শতাংশ প্রত্যেক আইনজীবী সমিতির বেনাভোলেন্ট ফান্ডে সরকারি কোষাগার থেকে সরাসরি জমা হওয়ার বিষয়টি আইনজীবীদের প্রাণের দাবি।
আশা করি প্রধানমন্ত্রী এটি সহানভূতির সঙ্গে বিবেচনা করবেন।
শাহ খসরুজ্জামান আরো বলেন, ২০১৯-২০ সালের প্রস্তাবিত বাজেটটি বৈষম্যমূলক বলে কেউ কেউ হতাশা প্রকাশ করেছেন। আমরা দ্বিমত পোষণ করে বলতে চাই, অপ্রদর্শিত আয়ের ওপর কর আরোপ করে বিত্তশালীদের মধ্যে এবং অনিয়মিত কর দাতাদের বিরাজমান বৈষম্য কমে আসবে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সমিতির সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট সামসুল জালাল চৌধুরী ও অ্যাডভোকেট কে এম জাবির, সহকারী সেক্রেটারী অ্যাডভোকেট মোঃ কামাল হোসেন মিয়া ও নির্বাহী সদস্য অ্যাডভোকেট সাবিনা ইয়াসমিন লিপি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন