রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন বলেছেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা প্রতিটি ট্রেন ও স্টেশনে সতর্কতা ব্যবস্থা নিয়েছি। এই মুহূর্তে কমলাপুর, বিমানবন্দর, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা, সিলেটসহ বড়বড় রেল স্টেশনে যাত্রী প্রবেশ করার আগে হ্যান্ড মেশিনে যাত্রীর শরীরের তাপমাত্রা মাপা হচ্ছে, তারপর ট্রেনে উঠতে বলা হচ্ছে। এসব স্টেশনগুলোতে চিকিৎসকসহ রেলওয়ে স্টাফরা সহযোগিতা করছেন।
ট্রেনগুলো জীবাণুমুক্ত করতে যাত্রী ওঠার আগে আসন ও হাতলগুলো পরিষ্কার করা হচ্ছে দাবি করে বার্তা সংস্থা ইউএনবিকে মন্ত্রী বলেন, ‘ট্রেনগুলো জীবাণুমুক্ত করতে পর্যাপ্ত জীবাণুনাষক ওষুধ নেই। এ বিষয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সাথে কথা বলা হবে। ট্রেনে যাতায়াত করার আগে যাত্রীদের মাস্ক ব্যবহার করার জন্য আহ্বান করা হচ্ছে। সচেতনতা সৃষ্টিতে স্টেশনে স্টেশনে মাইকিং করা হচ্ছে।
রেলপথমন্ত্রী বলেন, ‘করোনাভাইরাস সংক্রমণ যদি খুবই খারাপ অবস্থায় যায়, তখন সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রয়োজনে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দেয়া হবে।
এ বিষয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী প্রতিটি বাসে যাত্রী চলাচলে সতর্ক করা হচ্ছে। প্রতিটি বাস মালিককে এমন নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। তাদের এখন প্রতিটি বাস জীবাণুমু্ক্ত করে যাত্রী পরিবহন করতে বলা হবে। প্রয়োজনে আন্তজেলা যাত্রীবাহী যান চলাচল বন্ধের ব্যবস্থা নেয়া হবে।
তিনি বলেন, পরিবহন মালিকরা হতাশ প্রকাশ করেছেন, তাদের যাত্রী কমে গেছে। এগুলো অটোমেটিকালি কমে যাবে। পরিস্থিতি কমিয়ে ফেলবে। তারপরও যদি প্রয়োজন হয়, আমরা ব্যবস্থা নেব।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন