শুক্রবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১, ১২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

শান্তি ও সমৃদ্ধির পথ ইসলাম

আসরা বা মি’রাজে নবুবী সা.-২

এ কে এম ফজলুর রহমান মুন্শী | প্রকাশের সময় : ২২ মার্চ, ২০২০, ১২:০১ এএম

বিশ্বনবী হযরত মোহাম্মাদ মোস্তফা আহমাদ মুজতাবা সা.-এর সায়েরে মালাকুতের দ্বিতীয় অংশটি মি’রাজ নামে খ্যাত। মি’রাজ শব্দটি আরবী ‘উরূজ’ মূলধাতু থেকে উদগত। যেহেতু হাদীস শরীফে রাসূলুল্লাহ সা. ‘উরিজা লী’ অর্থাৎ আমাকে উর্ধজগতে আরোহন করানো হয়েছে, শব্দটি ব্যবহার করেছেন, এজন্য সায়েরে মালাকুতের সমগ্র ঘটনাকে মি’রাজ নামে অভিহিত করা হয়েছে। মোট কথা, যখন ইসলামের সবচেয়ে নাজুক ও সঙ্কটপূর্ণ যুগ সমাপ্ত হওয়ার পথে ছিল এবং হিজরতের পর হতে শান্তি ও নিরাপত্তার এক নতুন যুগের শুভ সূচনা অত্যাসন্ন ছিল, তখন সেই বরকতময় রাতের আগমন ঘটল এবং সে মুবারক রাতে সৌভাগ্যের সে সময় এগিয়ে আসল, যা মহাশূন্যের বাগানে রাসূলুল্লাহ সা.-এর ভ্রমণের জন্য নির্দিষ্ট ছিল। যার মাঝে আল্লাহর দরবার হতে নির্দিষ্ট আহকামের বিধিবদ্ধ হওয়া এবং তা কাজে পরিণত করার নির্দেশাবলী ছিল। তাই জান্নাতের দারোগা রিদওয়ান ফিরিশতাকে হুকুম দেয়া হলো, যেন আজ অদৃশ্য জগতের মেহমান খানাকে নতুন সাজ-সরঞ্জামে সুসজ্জিত করা হয়। আজ হাবীবে কিবরিয়া মোহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ সা. সারা বিশ্ব প্রত্যক্ষকারী মেহমান হয়ে আগমন করলেন।

ফিরিশতাদের সর্দার জিব্রাঈল ফিরিশতাকে নির্দেশ দেয়া হলো বিদ্যুৎ হতে দ্রুতগামী আলো হতে অধিক গতিশীল যানবাহন যা লাহুত ও হাপুত জগতের মুসাফিরদের জন্য নির্ধারিত হেরেমে কাবায় যেন তা নিয়ে উপস্থিত হন। একই সাথে কার্যকরী উপাদানসমূহকে নির্দেশ দেয়া হলো নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলের যাবতীয় বস্তুভিত্তিক নিয়ম-নীতি যেন কিছুক্ষণের জন্য নিস্ক্রিয় করে দেয়া হয় এবং স্থান-কাল, ভ্রমণ, একামত, দর্শন, শ্রবণ ও বাক্য বিন্যাসের সকল সহজাত নিয়মালী যেন উঠিয়ে নেয়া হয়। ফলে তাই করা হলো, যেমনটি আল্লাহর মর্জি ছিল।

বস্তুত: এক লক্ষ চব্বিশ হাজার আম্বিয়ায়ে কেরামের রূহানী হালত এবং জীবনের ঘটনাবলীর প্রতি গভীর দৃষ্টিতে তাকালে স্পষ্টতঃই বোঝা যায় যে, উলুল আযম অর্থাৎ শ্রেষ্ঠ মর্যাদাশালী পয়গাম্বরদের নবুওতের প্রারম্ভে বা নবুওতের দায়িত্ব পালনকালে কোনো নির্দিষ্ট লগ্নে ও সময়ে এই সায়েরে মালাকুতের বুলন্দ মর্তবা নসীব করা হয়েছে। এবং সে সময়ে দর্শনের যাবতীয় বস্তুভিত্তিক শর্তাবলীর পর্দা তাদের চোখের সম্মুখ থেকে অপসারণ করা হয়েছে। স্থান ও কালের যাবতীয় কাল্পনিক প্রতিবন্ধকসমূহ তাদের যাত্রাপথ হতে দূরীভ‚ত করা হয়েছে।

এতে করে নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলের গোপনীয় দৃশ্যাবলী উন্মুক্তভাবে তাদের সামনে হাজির হয়েছে এবং তারা এরপর নূরের বেহেশতী জামা পরিধান করে ফিরিশতাদের রূহানী শোভাযাত্রার সাথে আল্লাহর সান্নিধানে উপস্থিত হয়েছেন এবং নিজ নিজ মর্তবা ও পর্যায় অনুসারে অনুকূল অধিষ্ঠানে দাঁড়িয়ে ফয়েজে রাব্বানী দ্বারা পরিপূর্ণতা লাভ করত: নূরের দরিয়ায় আবগাহন করেছেন। এমনকি কোনো কোনো খাস মোকাররাবীনকে এমন মর্যাদাও দান করা হযেছে যে, তারা পবিত্র দর্শনের সংরক্ষিত অধিষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে কাবা কাউসাইনের চেয়েও কম দূরত্বে থেকে দায়িত্ব ও কর্তব্যের নির্দিষ্ট ফরমান নিয়ে এই মাটি ও পানির রঙ্গমঞ্চে প্রত্যাবর্তন করেছেন।

হযরত ইব্রাহীম আ.-কে যখন নবুওত প্রদান করা হয়, তখন ফয়েজে রাব্বানী দ্বারা পরিপূর্ণতা লাভ করত: নূরের দরিয়ায় আবগাহন করেছেন। এমনকি কোনো কোনো খাস মোকাররাবীনকে এমন মর্যাদাও দান করা হযেছে যে, তারা পবিত্র দর্শনের সংরক্ষিত অধিষ্ঠানে উপস্থি হয়ে কাবা কাউসাইনের চেয়েও কম দূরত্বে থেকে দায়িত্ব ও কর্তব্যের নির্দিষ্ট ফরমান নিয়ে এই মাটি ও পানির রঙ্গমঞ্চে প্রত্যাবর্তন করেছেন।

হযরত ইব্রাহীম আ.-কে যখন নবুওত প্রদান করা হয়, তখন ইরশাদ হয়েছে, ‘এবং এভাবেই আমি ইব্রাহীম আ.-কে নভোমন্ডল এবং ভূমন্ডলের বাদশাহী দেখিয়েছি।’ এই সায়েরে মালাকুত অর্থাৎ, আসমান ও জমিনের বাদশাহী প্রত্যক্ষ করার নামই কোরআন ও হাদীসের ভাষায় আসরা বা মি’রাজ। হযরত ইয়াকুব আ. সম্পর্কে তাওরাতে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ইয়াকুব আ. বিরে সাকা (সপ্ত কুয়া) হতে বের হলেন এবং হারাম উপত্যকার দিকে রওয়ানা হলেন। সেখানে পৌঁছে একস্থানে শয্যা গ্রহণ করলেন। কেননা, সূর্য অস্ত গিয়েছিল এবং সেখানে তিনি কিছু পাথর মাথার নীচে স্থাপন করেছিলেন এবং তন্দ্রভিভূত হয়ে পড়ে ছিলেন।

এমতাবস্থায় তিনি স্বপ্নে দেখলেন যে, আকাশ হতে জমীন পর্যন্ত একটি সিঁড়ি লাগানো হয়েছে, যার মাধ্যমে ফিরিশতাগণ উঠানামা করছেন এবং এর ওপরে আল্লাহপাক দাঁড়িয়ে আছেন এবং বলছেন, আমি তোমার প্রতিপালক, আমি তোমার স্রষ্টা, ইব্রাহীম ও ইসহাকের স্রষ্টা। তুমি যে ভূখন্ডে ঘুমিয়ে আছ তা তোমাকে এবং তোমার বংশধরদের দান করব। (তাওরাত ; তাকবীন ২৮)। হযরত মূসা আ. তুর পর্বতে সেই সত্য নূরের প্রতিচ্ছবি দর্শন করেছিলেন, সেখানেই তার মি’রাজ সংঘটিত হয়েছিল।

মোটকথা, এই নাতিদীর্ঘ বিশ্লেষণের উদ্দেশ্য হচ্ছে এই যে, সর্বদাই এই সায়েরে মালাকুত আম্বিয়া আ., আল্লাহর মুকাররাব বান্দাহগণ এবং আল্লাহর নৈকট্য অর্জনকারীদের জীবনেতিহাসের একটি অংশ হয়ে আসছে, এবং প্রত্যেকেই নিজ নিজ পদমর্যাদা ও মর্তবা মোতাবেক এই জগতকে মোসাহাদা করেছেন। কোরআন ও সুন্নাহ এই মহামূল্যবান শক্তিকে এতই সহজসাধ্য করে দিয়েছে যে, ঈমানদারেদের জন্য দৈনিক পাঁচবার সেই সায়েরে লাহুতির ও হাগুতির পরিমন্ডলের কোনো না কোনো অংশে বিচরণ করাকে সম্ভাব্য করে তুলেছে। তাই সুস্পষ্টভাবে ঘোষণা করা হয়েছে, আস সালাতু মি’রাজু মুমিনীন। অর্থাৎ নামাযই হচ্ছে মুমিনের জন্য মি’রাজ।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (6)
Sathi Khondoker ২২ মার্চ, ২০২০, ১:২৪ এএম says : 0
কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন: ‘তিনি পবিত্র (আল্লাহ) যিনি তাঁর বান্দাকে রাত্রিভ্রমণ করিয়েছেন মসজিদুল হারাম থেকে মসজিদুল আকসা পর্যন্ত। যার আশপাশ আমি বরকতময় করেছি। যাতে আমি তাকে আমার নিদর্শনসমূহ দেখাতে পারি। নিশ্চয় তিনিই সর্বশ্রোতা, সর্বদ্রষ্টা।’ (সুরা-১৭ [৫০] ইসরা-বনি ইসরাইল, রুকু: ১, আয়াত: ১, পারা: ১৫, পৃষ্ঠা ২৮৩/১)।
Total Reply(0)
মশিউর ইসলাম ২২ মার্চ, ২০২০, ১:২৪ এএম says : 0
মেরাজ হয়েছিল সশরীরে জাগ্রত অবস্থায়। এর প্রকৃষ্ট প্রমাণ হলো কাফের, মুশরিক ও মুনাফিকদের অস্বীকৃতি ও অবিশ্বাস। যদি আধ্যাত্মিক বা রুহানিভাবে অথবা স্বপ্নযোগে হওয়ার কথা বলা হতো, তাহলে তাদের অবিশ্বাস করার কোনো কারণ ছিল না।
Total Reply(1)
সৈয়দ আরিফুল হক ২২ মার্চ, ২০২০, ১২:১৭ পিএম says : 0
যথার্থ বলেছেন।
তোফাজ্জল হোসেন ২২ মার্চ, ২০২০, ১:২৫ এএম says : 0
মেরাজের বিবরণ পবিত্র কোরআনের সুরা নাজমে সুরা ইসরায় বিবৃত হয়েছে। হাদিস শরিফ, বুখারি শরিফ, মুসলিম শরিফ, সিহাহ সিত্তাসহ অন্যান্য কিতাবে এই ইসরা ও মেরাজের বিষয়টি নির্ভরযোগ্য বিশুদ্ধ সূত্রে বিস্তারিত বর্ণিত হয়েছে।
Total Reply(0)
কায়সার মুহম্মদ ফাহাদ ২২ মার্চ, ২০২০, ১:২৫ এএম says : 0
মেরাজের রজনীতে হাবিব ও মাহবুবের একান্ত সাক্ষাতে ১৪টি বিষয় ঘোষণা হয়েছে। যথা ১. আল্লাহকে ছাড়া কারও ইবাদত করবে না, ২. পিতা-মাতার সঙ্গে সদ্ব্যবহার করবে, ৩. নিকট স্বজনদের তাদের অধিকার দাও; ৪. মিসকিনদের ও পথসন্তানদের (তাদের অধিকার দাও); ৫. অপচয় কোরো না, অপচয়কারী শয়তানের ভাই, ৬. কৃপণতা কোরো না, ৭. সন্তানদের হত্যা করবে না, ৮. ব্যভিচারের নিকটেও যেয়ো না, ৯. মানব হত্যা কোরো না, ১০. এতিমের সম্পদের কাছেও যেয়ো না, ১১. প্রতিশ্রুতি পূর্ণ কোরো, ১২. মাপে পূর্ণ দাও, ১৩. অবস্থান কোরো না যাতে তোমার জ্ঞান নেই, ১৪. পৃথিবীতে গর্বভরে চলো না। এ সবই মন্দ, তোমার রবের কাছে অপছন্দ। (সুরা-১৭ [৫০] ইসরা-বনি ইসরাইল, রুকু: ৩-৫, আয়াত: ২২-৪৪, পারা: ১৫, পৃষ্ঠা ২৮৫-২৮৭/৩-৫)। নবীজি (সা.) জান্নাত-জাহান্নামও পরিদর্শন করেছেন।
Total Reply(0)
সত্য হক ২২ মার্চ, ২০২০, ১:২৬ এএম says : 0
নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বিভিন্ন অপরাধের শাস্তি দেখানো হলো। বেনামাজির শাস্তি দেখলেন, বড় পাথর দিয়ে তার মাথায় আঘাত করা হচ্ছে, আঘাতে মাথা ছিন্নভিন্ন হয়ে যাচ্ছে, পুনরায় ভালো হয়ে যাচ্ছে, আবার আঘাত করা হচ্ছে। জাকাত না দেওয়ার শাস্তি দেখলেন। তাদের সম্মুখে ও পশ্চাতে পাওনাদারেরা থাকবে। তারা পশুবৎ চরবে এবং নোংরা আবর্জনা ময়লা ও পুঁজ এবং কাঁটাযুক্ত আঠালো বিষাক্ত ফল খাবে, জাহান্নামের উত্তপ্ত পাথর ভক্ষণ করবে। চোগলখোরের শাস্তি দেখলেন, তাদের পার্শ্বদেশ হতে গোশত কেটে তাদের খাওয়ানো হচ্ছে; আর বলা হচ্ছে, যেভাবে তোমার ভাইয়ের গোশত খেতে, সেভাবে এটা ভক্ষণ করো। অনুরূপ দেখলেন গিবতকারীদের শাস্তি। তাদের অগ্নিময় লোহার নখর দিয়ে তারা তাদের চেহারা ও বক্ষ বিদীর্ণ করছে। বললেন, হে জিবরাইল! (আ.) এরা কারা? তিনি বললেন, এরা হলো সেসব লোক যারা পশ্চাতে মানুষের গোশত খেত (আড়ালে সমালোচনা করত)। দেখলেন সুদখোরদের বড় বড় পেট, যার কারণে তারা তাদের অবস্থান থেকে নড়াচড়া করতে পারছে না। তাদের সঙ্গে রয়েছে ফেরাউন সম্প্রদায়, তাদেরকে অগ্নিতে প্রবিষ্ট করানো হচ্ছে। জেনাকার বদকার নারী, যারা ব্যভিচার করেছে এবং ভ্রূণ ও সন্তান হত্যা করেছে, তাদের দেখলেন পায়ে আংটা লাগিয়ে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে; তারা আর্তচিৎকার করছে। ব্যভিচারী জেনাকার পুরুষের শাস্তি দেখলেন। এক সম্প্রদায় তাদের সামনে একটি উত্তম পাত্রে উপাদেয় তাজা ভুনা গোশত এবং অন্য নোংরা একটি পাত্রে পচা মাংস। তারা উত্তম পাত্রের উন্নত তাজা সুস্বাদু গোশত রেখে নোংরা পাত্রের পচা মাংস ভক্ষণ করছে। বললেন, হে জিবরাইল! (আ.) এরা কারা? তিনি বললেন, এরা হলো ওই সব পুরুষ যারা স্বীয় বৈধ স্ত্রী রেখে অন্য নারী গমন করেছে এবং ওই সব নারী যারা স্বীয় বৈধ স্বামী রেখে পরপুরুষগামিনী হয়েছে। দেখলেন এক লোক বিশাল লাকড়ির বোঝা একত্র করেছে, যা সে ওঠাতে পারছে না; কিন্তু আরও লাকড়ি তাতে বৃদ্ধি করছে। বললেন, হে জিবরাইল! (আ.) এটা কী? তিনি বললেন, এ হলো আপনার উম্মতের সে ব্যক্তি যে মানুষের আমানত আদায় করেনি; বরং আরও অধিক গ্রহণ করেছে। দেখলেন অশ্লীল বাক্য ব্যবহারকারী ও ফেতনা সৃষ্টিকারীদের শাস্তি। তাদের জিহ্বা ও ঠোঁট অগ্নিময় লোহার কাঁচি দ্বারা কর্তন করা হচ্ছে, পুনরায় তা আগের মতো হয়ে যাচ্ছে এবং আবার কাটা হচ্ছে; এভাবেই চলছে। দেখলেন ছোট্ট একটি পাথর হতে বিশাল এক ষাঁড় বের হলো; পুনরায় ওই ষাঁড় সে পাথরের ভেতরে প্রবেশ করার চেষ্টা করছিল; কিন্তু তা সম্ভব হচ্ছিল না। বললেন, হে জিবরাইল! (আ.) এটা কী? তিনি বললেন, এটা হলো সেসব লোকের দৃষ্টান্ত যারা বড় বড় দাম্ভিকতাপূর্ণ কথা বলে লজ্জিত হয়, পরে আর তা ফিরিয়ে নিতে পারে না। এতিমের সম্পদ আত্মসাৎকারীদের দেখলেন। তাদের ওষ্ঠ-অধর যেন উটের ঠোঁটের মতো। তাদের মুখে আগুনের জ্বলন্ত কয়লা প্রবিষ্ট করানো হচ্ছে এবং তা তাদের পায়ুপথ দিয়ে বের হয়ে আসছে। মদ, মাদক ও নেশা গ্রহণকারীদের শাস্তি দেখলেন। তারা জাহান্নামিদের শরীর থেকে নির্গত বিষাক্ত নোংরা পুঁজ পান করছে। নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মালিক নামে জাহান্নামের রক্ষী ফেরেশতাকে দেখলেন। সে মলিন মুখ, হাসি নেই, বলা হলো জাহান্নাম সৃষ্টির পর থেকে সে কখনো হাসেনি। (বুখারি ও মুসলিম)।
Total Reply(0)
সাইফ ২২ মার্চ, ২০২০, ১২:০৮ পিএম says : 0
দয়াময় আল্লাহ্‌ জনাব এ কে এম ফজলুর রহমান মুন্শী সাহেবকে এবং ইনকিলাব সংশ্লিষ্ট সকলকে এর উত্তম প্রতিদান অবশ্যই দেবেন এবং দুনীয়া ও আখেরাতে আপনাদের সন্মান উত্তর উত্তর বৃদ্ধি করবেন। এই উত্তম ও মহান ঘটনাথেকে আমাদের সাধারন মানুষের ছেয়ে সন্মানীত আলেম সমাজের অনেক বেশি শিক্ষা গ্রহন করা উতচিত, আর বিশেষ করে যারা ইলমুল গায়েব নিয়ে শানে রিসালাত নিয়ে বাহাস করেন এবং মুর্খদেরমত ওয়াজ করেন, যার ফলশ্রুতিতে সাধারন উম্মত দ্ধিধান্নিত হয়। আল্লাহ্‌ পাক আমাদেরকে সেই সব বিষয় থেকে তাঁর আস্রয় প্রধান করুণ ও তাঁর ও তাঁর হাবীব (সাঃ) এর অনুগত বান্দাদের উসিলায় তাঁদের দলভুক্ত করুণ।
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন