নেত্রকোনা জেলা সংবাদদাতা : জুমার খুৎবা-বয়ান নজরদারির বিষয়ে সরকারের মন্ত্রিপরিষদের সিদ্ধান্তে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে খেলাফত যুব আন্দোলন। গতকাল এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, জুমার খুৎবা-বয়ান নজরদারির সিদ্ধান্তের নামে কি ওলামায়ে কেরামদের কণ্ঠ স্তব্ধ করার পাঁয়তারা করা হচ্ছে? এরূপ কোনো চক্রান্ত হলে তা বুমেরাং হবে। গুলশানের হোটেলে এবং শোলাকিয়া ঈদগাহ মাঠের পাশে সম্প্রতি সন্ত্রাসী জঙ্গি হামলার পরবর্তী বিভিন্ন পদক্ষেপ ইসলামী কর্মকা- নিয়ন্ত্রণে কাজে লাগানো হচ্ছে। বাংলাদেশ খেলাফত যুব আন্দোলন অবিলম্বে এসব অপতৎপরতা বন্ধে সরকারের প্রতি জোর দাবি জানায়।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও পুলিশের পক্ষ থেকে জুমার নামাজের খুৎবা ও ওলামা-মাশায়েখদের ওয়াজ মাহফিল বা ধর্মীয় সভার ওপর নজরদারির কথা বলা হয়েছে। এমনটা মসজিদ তথা ইসলামী কর্মকান্ডের ওপর সরাসরি হস্তক্ষেপ। গতকাল এক বিবৃতিতে খেলাফত যুব আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটির শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক গাজী আব্দুর রহিম বলেন, গুলশান ও শোলাকিয়ায় যারা সন্ত্রাস করেছে তাদের সাথে মসজিদ-মাদরাসা বা কোনো আলেম-ওলামার সম্পর্ক নেই।
জুমার নামাজে খুৎবা-বয়ান নজরদারির নামে কোনো মহল যদি ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে চায়, তাহলে দেশের আলেম ওলামা মাশায়েখগণ তা মেনে নেবে না। তিনি অবিলম্বে এ ব্যাপারে সরকার প্রধানের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করে বলেন, জুমার খুৎবায় খতিবগণ ইসলামের প্রকৃত শিক্ষা দেন, তাদের বয়ানে কেউ সন্ত্রাসী বা জঙ্গি হয় না। ইতিহাস সাক্ষী মসজিদের মিম্বর থেকে আজ পর্যন্ত কোনো উস্কানিমূলক বক্তব্য দেয়া হয়নি। তিনি হুশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে ইসলামের কণ্ঠরোধে কোনো পদক্ষেপ নিলে দেশের আলেম-ওলামা ও দ্বীনদার মুসলমানরা তা মেনে নেবে না। তিনি যেসব বিশ্ববিদ্যালয় থেকে জঙ্গি সন্ত্রাসী বের হচ্ছে তা খুঁেজ বের করার জোর দাবি জানান।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন