শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

উচ্চ তাপমাত্রা ও আর্দ্রতায় বাধাপ্রাপ্ত হতে পারে করোনা

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৫ মার্চ, ২০২০, ১২:০৯ এএম

করোনার বিরুদ্ধে লড়াই কেবল সংক্রমণের সংখ্যা গুণে যাওয়া এবং তাপমাত্রা দেখার চেয়ে আরও বহু কঠিন। তবে আপাতদৃষ্টিতে এই মহামারীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে চীনের অন্যান্য প্রচেষ্টার থেকে আবহাওয়ার ভ‚মিকাই অপেক্ষাকৃত সফল বলে প্রতীয়মান হচ্ছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, উচ্চ তাপমাত্রা এবং আর্দ্রতা করণোভাইরাসের বিস্তারকে উল্লেখযোগ্যভাবে কমিয়ে দিতে পারে। তবে তা এই মহামারীকে পুরোপুরি রোধ করতে পারবে না বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

পূর্ববর্তী এক সমীক্ষায় দেখা গেছে যে, করোনাভাইরাস ৮৬ ডিগ্রি ফারেনহাইট তাপমাত্রায় বাঁচতে পারে না।
সম্প্রতি চীনা গবেষকরা আবিষ্কার করেছেন যে, প্রতি ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা বা ১ শতাংশ আর্দ্রতা বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ হার হ্রাস পায়। বেইহাং বিশ্ববিদ্যালয় এবং সিংহুয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে, উচ্চ তাপমাত্রা এবং উচ্চ আপেক্ষিক আর্দ্রতা করোনা সংক্রমণ উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস করে।

গত ফেব্রুয়ারিতে চীনে এই মহামারীটি চরমে পৌঁছে। সেখানে একই দিনে ১৫ হাজারেরো বেশি সংক্রমণ শনাক্ত করা হয়। তবে আনুষ্ঠানিকভাবে এখন সেখানে বসন্ত। শীতের প্রস্থানের সাথে সাথে দেশটিতে করোনার প্রকোপ উল্লেখযোগ্যভাবে কমে গিয়েছে।

চীনের ১০০ টি শহরের আবহাওয়া উষ্ণতর ও বেশি আর্দ্র হওয়ার সাথে সাথে করোনা মহামারীর বিস্তারের হার হ্রাস পেয়েছে। এবং তাপমাত্রা বাড়ার সাথে সাথে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের সংখ্যা গড়ে ২.৫ থেকে কমে ১.৫ শতাংশে চলে এসেছে।

গত সপ্তাহে চীন স্থানীয় ট্রান্সমিশন থেকে করোনাভাইরাস সম্পর্কিত কোনও নতুন সংক্রমণের রিপোর্ট করেনি। সূক্ষ¥ দৃষ্টিতে দেখলে এটি একটি আশাব্যঞ্জক উন্নতি।
চীন ‘আর গুণাঙ্ক ব্যবহার করে সংক্রমণ বিস্তারের হারকে ট্র্যাক করে যা করোনাভাইরাস সংক্রমিত প্রতিটি লোকের গড় সংখ্যার পরিমাপ করে ।

এই সংখ্যাগুলি এমনভাবে সামঞ্জস্য করা, যা সংক্রমণ হারকে প্রতিটি শহরের ঘনবসতি বা প্রাচুর্যের মাত্রার সাথে মোলাতে সক্ষম। যেমন, এটি করার পরে গবেষকদল করোনা ভাইরাস সংক্রমিত প্রতিটি ব্যক্তির সাথে সম্পর্কতি মানুষের গড় সংখ্যা অনুমান করে।

এই মাসের শুরুর দিকে প্রকাশিত চীনা গবেষকদের মতে, ‘তাপমাত্রায় এক ডিগ্রি সেলসিয়াস বৃদ্ধি এবং অপেক্ষাকৃত আর্দ্রতায় করোনা ভাইরাস যথাক্রমে ০.০৩৮৩ এবং ০.০৩৩৪ শতাংশ কম থাকে’।

গবেষণায় বলা হয় যে, প্রাদুর্ভাবের প্রথমদিকে তুলনাম‚লকভাবে কম তাপমাত্রা এবং কম আর্দ্রতাযুক্ত দেশগুলি (যেমন কোরিয়া, জাপান এবং ইরান) উষ্ণ এবং বেশি আর্দ্র দেশগুলির (যেমন সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া এবং থাইল্যান্ড) তুলনায় মারাত্মকভাবে আক্রান্ত হয়েছিল।

গবেষকদের মতে এটি করোনার বিরুদ্ধে একটি সামান্য উন্নতি; তবে নিরাশাজনক নয়।
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা এবং নতুন সমীক্ষা পরামর্শ দিয়েছে যে, যদিও উষ্ণ তাপমাত্রায় ভাইরাসটি বিকাশ লাভ করে না, তাপ এবং আর্দ্রতা সংক্রমণের হারকে হ্রাস কেবল করবে কিন্তু করোনাকে পুরোপুরি থামিয়ে দেবে না। সূত্র : ডেইলি মেইল।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (6)
Monsur Ahmed Talukder ২৫ মার্চ, ২০২০, ১:০২ এএম says : 0
আল্লাহ পাকের করুনা বিনে কোন উপায় নাই,হে প্রিয় ইনকিলাব!!!!!!! মাওলানা এম এ মান্নান রঃ প্রতিষ্ঠিত হে প্রিয় ইনকিলাব আল্লাহকে ডাক।
Total Reply(0)
Aminul Islam Mamun ২৫ মার্চ, ২০২০, ১:০৩ এএম says : 0
২/৩ টা দেশ ছাড়া বাকী সব যে এত সত্যবাদী করোনা না আসলে তা প্রকাশই হত না,আর প্রায় দেশেরই সব প্রস্তুতি ছিল,আল্লাহ পাক যদি যথেষ্ট দয়ালু না হতেন তবে হয়ত এই বারই কেল্লা ফতে হয়ে যেত
Total Reply(0)
Tonoy Bnik ২৫ মার্চ, ২০২০, ১:০৩ এএম says : 0
CORONA VIRUS বিস্তার রোধে...অবশ্যই ঠান্ডা পানি ব্যবহার কমিয়ে ফেলতে হবে। কারন এটি অতি ছোয়াচে ঠান্ডা জনিত রোগ। তাই অব্যশই গোসুল করার আগে গরম পানি নিবেন। এবং সেই সাথে বারির চারপাশ পরিষ্কার রাখুন ও নিজেও থাকুন। ১৪ দিন হোমকোয়ারান্টাইনে থাকুন। আশা করি আকান্তের সংখ্যা কবে আসবে আর সব আগের অবস্থায় ফিরে আসবে,,,,, ধ্যনবাদ সবাইকে।
Total Reply(0)
Ziared Rahman ২৫ মার্চ, ২০২০, ১:০৪ এএম says : 0
আজকে বাস,ট্রেনে মানুষের বাড়ি ফেড়ার অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে ঈদের ছুটিতে বাড়ি যাচ্ছে। বাংলাদেশে আগামী সপ্তাহের প্রথম দিকে অস্বাভাবিক ভাবে বেড়ে যেতে পারে, যে মানুষ গুলা এখন আক্রান্ত আছে কিন্তু তারা বুঝতে পারছে না।
Total Reply(0)
Hossain Dalowar ২৫ মার্চ, ২০২০, ১:০৪ এএম says : 0
শুধু ভুলে ভুলে জীবন শেষ। সরকার কী কাজ করল দেখেন। আগে লকডাউন না করে সাধারণ ছুটি। করোনা এবার শহর থেকে গ্রামে মহামারীকারে নিয়ে আসতেছে। এটা হচ্ছে সরকারের ভুলনা কৌশল। কারণ শহর নিরাপদ থাকবে। গ্রামে গ্রামে মানুষ সব মরে সাফ। করোনার চিকিৎসা একমাত্র শহরে আছে গ্রামে নাই। তাই কেউ শহরে নিতে পারবেনা করোনা রোগিকে গ্রাম থেকে। একেই বলে বুদ্ধি এবং কৌশল।
Total Reply(0)
Anwar Hossain Hridoy ২৫ মার্চ, ২০২০, ১:০৪ এএম says : 0
গার্মেন্টসে কর্মরত থাকলে করোনায় আক্রান্ত হবেন না ( বাংলাদেশে প্রমাণিত )
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন