ইতালির উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে ছোট্ট উপক‚লীয় শহর লাভাগনা। প্রায় ১২ হাজার মানুষের বসবাস সেখানে। লাভাগনার ৮৭ বছর বয়সী সাবেক মৌমাছি পালক রেনাটা ক্যাফেরাটার বাড়িটি আড্ডার প্রাণকেন্দ্র।
প্রতিদিন বাড়িতে তিনি বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিতেন। একসঙ্গে চা ও মধু খেতেন। করোনাভাইরাসের প্রকোপের কারণে ইতালিতে এখন লকডাউন চলছে। রেনাটা ক্যাফেরাটার বাড়িটি এখন তাই একেবারেই ফাঁকা। এখন একাকিত্বের জীবন কাটাতে হচ্ছে এ বৃদ্ধাকে। তিনি বলেন, ‘আমার জীবন পুরোপুরি পাল্টে গেছে। এ একাকিত্বের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়াটা সত্যিই খুব কঠিন।’
ইতালির জাতীয় স্বাস্থ্য ইউনিটের (এনআইএইচ) তথ্য অনুযায়ী, তাদের দেশে করোনায় মৃতদের ৫৬ শতাংশের বেশি মানুষের বয়স ৮০ এর বেশি। রেনাটা ক্যাফেরাটা বলেন, ‘আমি জানি, আগে কিংবা পরে সবাইকেই মরতে হবে। তবে এভাবে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মরতে চাই না। আমি আরও কিছুদিন বাঁচতে চাই।’
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার আতঙ্কের পাশাপাশি ধারাবাহিক একাকিত্বের ভীতি ভর করেছে তাকে। ‘আমি খুব একা বোধ করছি।’ বয়স্ক লোকদের সেবাপ্রদানকারী সংগঠন এইউএসইআর-এর একটি স্বেচ্ছাসেবী দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন এমানুয়েলা চাভেদাগনা।
তিনি জানান, করোনাভাইরাস নিয়ে দ্বিধা-দ্ব›দ্ব এবং কবে এ সঙ্কট থেকে মুক্তি মিলবে তা নিয়ে অনিশ্চয়তার কারণে বয়স্ক মানুষরা আতঙ্ক আর উদ্বেগের মধ্যে আছেন। তারা ফোন করছেন, তারা শুনে আশ্বস্ত হতে চাইছেন যে তারা একা নন। সূত্র : আলজাজিরা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন