নোভেল করোনাভাইরাস এ বার আঘাত হানল ব্রিটিশ রাজপরিবারেও। এ বার কোভিড-১৯ ভাইরাসে আক্রান্ত হলেন স্বয়ং প্রিন্স চার্লসই। বর্তমানে তাকে স্কটল্যান্ডের বালমোরাল প্রাসাদে আইসোলেশনে রয়েছেন তিনি। তার স্ত্রী ক্যামিলা, ডাচেস অব কর্নওয়ালেরও ডাক্তারি পরীক্ষা হয়েছে। তবে তার রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। তিনিও গৃহ পর্যবেক্ষণে রয়েছেন।
গতকাল প্রিন্সের বাসভবন ক্ল্যারেন্স হাউসের এক মুখপাত্র বলেন, ‘প্রিন্স চার্লসের রিপোর্ট পজিটিভ। হালকা কিছু উপসর্গ দেখা দিলেও, এত দিন সুস্থই ছিলেন তিনি। বাড়ি থেকে কাজও চালিয়ে যাচ্ছিলেন। ডাচেস অব কর্নওয়ালেরও ডাক্তারি পরীক্ষা হয়েছে। তবে ওর শরীরে ভাইরাস ধরা পড়েনি। চিকিৎসক এবং সরকারের পরামর্শে এই মুহূর্তে স্কটল্যান্ডে রয়েছেন তারা।’ গত ১০ মার্চ লন্ডনে একটি অনুষ্ঠানে মোনাকোর প্রিন্স অ্যালবার্টের সঙ্গে মুখোমুখি বসেছিলেন চার্লস। চলতি সপ্তাহেই প্রিন্স অ্যালবার্টের শরীরে কোভিড-১৯ ভাইরাস ধরা পড়েছে। তার পরই ৭১ বছর বয়সী প্রিন্স চার্লসের আক্রান্ত হওয়ার খবর সামনে এল। সম্প্রতি বাকিংহ্য়াম প্রাসাদের এক কর্মীর শরীরেও নোভেল করোনা ধরা পড়ে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রিন্স অ্যালবার্টের সঙ্গে সাক্ষাতের পরও চার্লসের মধ্যে করোনার উপসর্গ দেখা দেয়নি। যে কারণে ১২ মার্চ বাকিংহ্যাম প্রাসাদেও যান চার্লস। এমনকি বেশ কিছু অনুষ্ঠানেও যোগ দিতে দেখা যায় তাকে। যদিও সেখানে কারো সাথে হাত মেলাতে দেখা যায়নি তাকে।
তবে শারীরিক ভাবে কারও সংস্পর্শে না আসা সত্তে¡ও করোনায় আক্রান্ত হওয়ার নজির রয়েছে। বাকিংহ্যাম প্রাসাদের অন্দরে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। যে কারণে রানি এলিজাবেথ এই মুহ‚র্তে বাকিংহ্যাম প্রাসাদের বাইরেই রয়েছেন। ব্রিটেনে করোনা হানা দেয়ার কিছু দিন পরই স্বামী প্রিন্স ফিলিপের সঙ্গে উইন্ডসর ক্যাসলে সরে যান তিনি। ছেলেমেয়েদের নিয়ে অ্যামনার হলে রয়েছেন প্রিন্স উইলিয়াম এবং ডাচেস অব কেমব্রিজ কেট।
প্রসঙ্গত, শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ব্রিটেনে ৮ হাজারেরও বেশি মানুষ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত। এখনও পর্যন্ত ৪২৩ জন প্রাণ হারিয়েছেন। সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১৪০ জন। সূত্র : দ্য সান।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন