শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

অভ্যন্তরীণ

বাঘাবাড়ি নৌবন্দর অচল

উত্তরাঞ্চলে সার সরবরাহ বিঘ্ন : বেকার শ্রমিকদের দুরবস্থা

সৈয়দ শামীম শিরাজী, সিরাজগঞ্জ থেকে | প্রকাশের সময় : ২৭ মার্চ, ২০২০, ১২:২০ এএম

করোনাভাইরাসের প্রভাবে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার বাঘাবাড়ি নৌবন্দরে কোন জাহাজ না আসায় বন্দরটি কর্মহীন ও অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এক সপ্তাহ ধরে সারবাহী কোনো জাহাজ না আসায় বন্দরের প্রায় সাতশ শ্রমিক বেকার হয়ে পড়েছে। এ ছাড়া সার সরবরাহ বন্ধ থাকায় চলতি সেচ মৌসুমে উত্তরাঞ্চলের ১৬ জেলায় কৃত্রিম সংকটের আশঙ্কায় কৃষকরা।

বাঘাবাড়ি নৌবন্দর শ্রমিক আজিবর খান, আলাউদ্দিন, আল মাহমুদ বলেন, করোনাভাইরাসের প্রভাবে গত ১ সপ্তাহ ধরে এ নৌবন্দরে সারবাহী কার্গোজাহাজ আসা বন্ধ রয়েছে। ফলে এখানে কর্মরত প্রায় ৭শ’ শ্রমিক বেকার হয়ে পরিবার-পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছি।
বাঘাবাড়ি নৌবন্দরের লেবার এজেন্ট আব্দুস সালাম ব্যাপারী বলেন, করোনার প্রভাবে প্রায় এক মাস বাঘাবাড়ি নৌবন্দরে জাহাজ চলাচল কমে গেছে। সর্বশেষ এক সপ্তাহে সারবাহী কার্গো-জাহাজ আসা একেবারে বন্ধ। এ অবস্থায় শ্রমিকরা কর্মহীন, উপার্জনহীন। এ পরিস্থিতি চললে সার সরবরাহ বন্ধ হয়ে চলতি সেচ মৌসুমে উত্তরাঞ্চলের ১৬ জেলায় সারের সংকট তৈরি হতে পারে।
শাহজাদপুর উপজেলার চরাচিথুলিয়া গ্রামের কৃষক আব্দুল আলীম, সোহেল রানা, ইউসুফ আলী বলেন, বাঘাবাড়ি নৌবন্দরে সারবাহী জাহাজ না এলে উত্তরাঞ্চলের ১৬ জেলায় ইরিবোরো আবাদে সার সংকট সৃষ্টি হয়ে এ বছর উৎপাদন কমে যাওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিতে পারে।
বাঘাবাড়ি নৌবন্দরের উপপরিচালক সাজ্জাদ আলম ইনকিলাবকে জানান, করোনার প্রভাবে বাঘাবাড়ি নৌবন্দরে জাহাজ চলাচল সীমিত হলেও উত্তরাঞ্চলে পর্যাপ্ত পরিমাণে সার মজুদ রয়েছে। ফলে সার সংকটের কোনো আশঙ্কা নেই। তিনি কৃষকদের এ বিষয়ে শঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।
এছাড়া বাঘবাড়ি নৌবন্দরের বাফার গুদামের ইনচার্জ সোলায়মান হোসেন জানান, বাঘাবাড়িসহ উত্তরাঞ্চলের ১৪টি বাফার গুদামে পর্যাপ্ত সার মজুদ রয়েছে। সার সংকটের কোনো সম্ভবনা নেই বলে তিনি জানান।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন