সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এবার কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাহমিদা আক্তার তার পরিচালনায় ভ্রাম্যমাণ আদালত চলাকালে জনসাধারণের ওপর লাঠিচার্জ, ধাওয়া করে বিতর্কের সৃষ্টি করেছেন।
অনেকে ভিডিওটি শেয়ার দিয়ে নেতিবাচক মন্তব্য করেছেন। এছাড়া ভ্রাম্যমাণ আদালত চলাকালে এসিল্যান্ড অফিসের ‘অফিস সহায়ক’ মো. সাইফুল ইসলাম লাঠি হাতে নিয়ে একাধিক লোককে পিটুনি, কানে ধরানো এবং ধাওয়া করতে দেখা যায়।
এ বিষয়ে বুড়িচং উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাহমিদা আক্তার গণমাধ্যমকে বলেন, যখন আমরা অভিযানে গিয়েছিলাম তখন সাইফুল ইসলাম নামে একজন অফিস সহকারী এ রকমটা করেছেন বলে আমি জানতে পারি। পরবর্তীতে ওই স্থানেই তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার কথা হলে তিনি ক্ষমা প্রার্থনা করেন।
জানা যায়, গত শুক্রবার দুপুরে বুড়িচং উপজেলার নিমসার ও কাবিলাসহ বেশ কয়েকটি বাজারে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন বুড়িচং উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাহমিদা আক্তার। ভ্রাম্যমাণ আদালত চলাকালে ধারণকৃত তিন মিনিটের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়ে যায়।
ভিডিও শেয়ার করে এইচএম নুরুল হুদা নামে একজন লিখেছেন, দেশকে লকডাউন করা হয়নি, যে বাসার বাইরে বের হলেই আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে হয়রানি বা নির্যাতনের শিকার হতে হবে। আপনাদের দায়িত্ব মানুষকে সচেতন করা, হয়রানি বা নির্যাতন করা নয়।
এর আগে, ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ওই তিন বৃদ্ধকে এ শাস্তি দিয়েছেন যশোরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাইয়েমা হাসান। একই সঙ্গে তিন বৃদ্ধকে কান ধরিয়ে দাঁড় করিয়ে রাখার ছবি মোবাইলে ধারণ করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। পরে এই ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে সমালোচনার ঝড় ওঠে। বিতর্কিত সেই কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন