শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সম্পাদকীয়

চিঠিপত্র

| প্রকাশের সময় : ৫ এপ্রিল, ২০২০, ১২:০২ এএম

করোনা নিয়ে গুজব
সম্প্রতি বিশ্বের অনেক দেশের মতো বাংলাদেশও করোনা ভাইরাস সংক্রমণের শিকার হয়েছে। ইতোমধ্যে বেশ কয়েকজন মারা গেলেও সরকার অনেক সীমাবদ্ধতার মধ্যেও সক্ষমতার সর্বোচ্চ ব্যবহার করে ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধের চেষ্টা করছে। সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি ও ব্যক্তি উদ্যোগেও চলছে সংক্রমণ প্রতিরোধে জনসচেতনতা বৃদ্ধির কার্যক্রম। ইতোমধ্যে দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, হোটেল-মোটেল ও পর্যটনকেন্দ্রগুলো বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। জনসমাগম হয় এমন যে কোন কার্যক্রমের উপর আপদকালীন নিষেধাজ্ঞাও দেওয়া হয়েছে। দেশ ও জাতি যখন এমন অপ্রত্যাশিত গভীর সংকট মোকাবেলায় ব্যস্ত তখন সেই করোনাকেই পুঁজি করে দেশের কুচক্রী মহল ছড়াচ্ছে গুজব। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ‘ফেইসবুক’ হয়ে গেছে গুজব প্রচার ও প্রসারের শক্তিশালী মাধ্যম। বিভিন্ন ব্যক্তিগত আইডি, বিভিন্ন গ্রুপ ও ম্যাসেঞ্জার ব্যবহার করে রটানো হচ্ছে নানা মিথ্যা ও ভিত্তিহীন তথ্য ও ছবি। অনেক সাধারণ ফেইসবুক ব্যবহারকারী তথ্য ও ছবির সত্যতা যাচাই না করেই এসব শেয়ার করছেন কিংবা পরিচিতদের বলছেন। ফলে ভার্চুয়াল দুনিয়া থেকে গুজবের বিস্তৃতি ঘটছে বাস্তবেও। হেলিকপ্টার ব্যবহার করে আকাশ থেকে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধের ওষুধ ছিটানো, ফার্মের মুরগি ও বিভিন্ন মাছের মাধ্যমে ভাইরাস সংক্রমণের অত্যধিক সম্ভাবনা, ভোরে নামায আদায় করে থানকুনি পাতা খেলে করোনার শিকার না হওয়া, সদ্যোজাত শিশুর মুখে বলা রং চা করোনা থেকে মুক্তির উপায় এসবই গত কয়েকদিনের মধ্যে ছড়ানো হয়েছে। বলার অপেক্ষা রাখে না সবকয়টিই নির্ভেজাল গুজব। সর্বশেষ প্রধানমন্ত্রীর উদ্ধৃতি দিয়েও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব রটানো হয়েছে! যাবতীয় ব্যাংক ঋণের কিস্তি কয়েক মাসের জন্য বন্ধ, বেসরকারি চাকরিজীবীদের এক মাসের বেতনসহ ছুটি, দুই মাসের জন্য দেশের সকল ভাড়াটিয়া থেকে বাসাভাড়া না নেওয়া, একলক্ষ দিনমজুরের জন্য একমাসের খাবার সেনাবাহিনীর মাধ্যমে বিতরণ ইত্যাদিসহ ১৭টি নির্দেশনা সংবলিত একটি গুজব গত কয়েকদিন আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। এছাড়া দেশে করোনা সংক্রমণের শুরু হতে অদ্যাবধি বিভিন্ন আইডি, গ্রুপ ও নামসর্বস্ব সংবাদ পোর্টাল করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যুর মতো ভিত্তিহীন ও বানোয়াট সংবাদ গুজব হিসেবে প্রচার করে আসছে। এসব গুজব সাধারণ মানুষদের অস্বাভাবিক আতঙ্ক ও উদ্বেগের মাত্রা নিশ্চিতভাবেই বাড়িয়ে দিচ্ছে। সেইসাথে, সরকারের গৃহীত নানা সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত ও পদক্ষেপকে করছে প্রশ্নবিদ্ধ। গুজব রটনাকারী ও তার প্রচারকারীদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারকারী ও সমাজের সচেতন মহলের দৃঢ় অবস্থান প্রত্যাশিত।
আবু ফারুক
সহকারী শিক্ষক, ভাগ্যকুল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বান্দরবান।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন