শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

সম্পাদকীয়

চিঠিপত্র

| প্রকাশের সময় : ২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ১২:০৮ এএম

ভাষাশহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা

বাংলা আমাদের মাতৃভাষা। এ ভাষার রয়েছে কতগুলো বর্ণমালা। বিশ্বের অনেক ভাষার নিজস্ব বর্ণমালা নেই। অনেক ভাষা হারিয়ে গেছে কিংবা হারিয়ে যেতে বসেছে। রক্তে অর্জিত বাংলা ভাষা কখনো হারিয়ে যাবার নয়। পৃথিবীর ইতিহাসে মায়ের ভাষার জন্য কোনো জাতিকে জীবন দিতে হয়েছে এমন ইতিহাস বিরল। আমাদের সে ইতিহাস আছে। কিন্তু রক্ত দিয়ে কেনা ভাষার প্রতি আমরা কী পেরেছি যথার্থ সম্মান দিতে? আমরা কি পেরেছি সর্বত্র বাংলা ভাষার প্রয়োগ ঘটাতে? আনুষ্ঠানিকভাবে দেশের রাষ্ট্রীয় ক্ষেত্রে সর্বত্র বাংলার প্রয়োগ আবশ্যিক বলে ঘোষিত হওয়ার পরও প্রকৃত অবস্থার তেমন কোনো হেরফের হচ্ছে না। বিশ্বের প্রায় ৩০ কোটি মানুষের মাতৃভাষা বাংলা। মাতৃভাষা দিবস পালিত হয় বিশ্বের প্রায় ১৮৮ দেশে। ১৯৫২ সালের একুশে ফেব্রুয়ারি বাঙালির জাতীয় জীবনে এক হৃদয়বিদারক অথচ গৌরবময় দিন। মাতৃভাষায় কথা বলার অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে রক্তে রঞ্জিত হয় বাংলার রাজপথ। তাই এ দিনের গুরুত্ব বিবেচনা করে ইউনেস্কো ১৯৯৯ সালে ২১ ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ঘোষণা করে। তাই ভাষার মাসে সকল ভাষা শহীদের প্রতি রইলো আঘাত ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা।
মো. ইলিয়াছ হোসাইন
শিক্ষার্থী, ঢাকা কলেজ


শিশুপার্কের বেহাল অবস্থা
বাংলাদেশে বিশেষত শহরগুলোতে শিশুদের বিনোদনের ব্যবস্থা তেমন একটা নেই, এ কথা মোটাদাগে বলাই যায়। শিশু পার্ক যেগুলো আছে সেগুলোতে ছোটদের চেয়ে বড়দের আনাগোনাই বেশি। শিশুদের নিয়ে ঘুরতে যাওয়ার নানা ব্যবস্থা রয়েছে। প্রয়োজনের তুলনায় কম হলেও শিশুপার্কের পাশাপাশি বড় বড় শপিং মলগুলোতে রয়েছে শিশুদের জন্য আলাদা বিনোদন পার্ক। সারাদেশে এরকম অসংখ্য পার্ক রয়েছে। কিন্তু রাজধানীর তুলনায় কম গুরুত্বপূর্ণ শহরগুলোতে শিশুদের জন্য ঘরের বাইরে চিত্তবিনোদনের ব্যবস্থা বলতে শুধু শিশু পার্ক। শিশুপার্ক গুলোতে শিশুদের নানা রাইড রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে ব্যবহার অনুপোযোগী হয়ে পড়লেও দর্শনার্থীর তেমন একটা অভাব হয় না। ইদানিং আবার তরুণ-তরুণীদের আনাগোনা সেখানে বেশি। শিশু পার্কে শিশুদের সামনেই তাদের অতিঘনিষ্ঠ হওয়ার দৃশ্য দৃষ্টিকটু বটে! কিন্তু পার্ক কতৃপক্ষ যেন চোখ থাকতেও অন্ধ। পার্কগুলো নামে শিশু পার্ক হলেও সেটি যে আসলে এক একটি ‘ডেটিং স্পট’ হয়ে উঠেছে। তাই, অভিভাবকরা সেসব পার্কে না যাওয়াকেই শ্রেয় মনে করেন। ফলে বঞ্চিত হয় শিশুরা। এ ব্যাপারে কতৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
শাকিবুল হাসান
শিক্ষার্থী, বরেন্দ্র কলেজ রাজশাহী

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন