স্বাধীনতার পর প্রথম ও দেশের সপ্তম সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় হলো ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়। অনেক ইতিহাস ঐতিহ্য নিয়ে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠা। বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য ছিল, আধুনিক শিক্ষার পাশাপাশি ইসলামী শিক্ষার সংযোগ ও সমন্বয় সাধন। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্যি, এ সমন্বয় শুধু একটি অনুষদের মধ্যে সীমাবদ্ধ রয়েছে। অন্য অনুষদগুলোতে এ সমন্বয় না থাকায় অনেক সময় শিক্ষার্থীদের নৈতিকভাবে পদস্খলিত হতে দেখা যায়। এতে অনেক শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন সময় নানান ধরনের নেতিবাচক কর্মকান্ডে জড়িয়ে পড়তে দেখা যায়। সাম্প্রতিক সময়ে দেখা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষার্থী নেশা জাতীয় বিভিন্ন মাদকদ্রব্যে আসক্ত হয়ে পড়ছে। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো জায়গায় মাদকের ভয়াবহ ছোবল পুরো জাতিকে শঙ্কিত করে তোলে। একজন মাদকাসক্ত ব্যক্তি শারীরিক ও মানসিকভাবে বিকারগ্রস্ত হয়ে পড়ায় শুধু নিজের নয়, বরং পরিবার, সমাজ এমনকি রাষ্ট্রের জন্যও বোঝা হয়ে উঠে। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে এখনই মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করা দরকার। শিক্ষাঙ্গনে মাদকদ্রব্য কঠোরভাবে নিষিদ্ধ করতে হবে। ইবি ক্যাম্পাসে মাদকের বিরুদ্ধে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহন করে, মাদকমুক্ত ক্যাম্পাস গড়তে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে আরো তৎপর হওয়া প্রয়োজন।
তাসনীম আল রাজী
শিক্ষার্থী, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন