শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সম্পাদকীয়

কোরবানির বর্জ্য পরিষ্কারে সচেতন হতে হবে

চিঠিপত্র

| প্রকাশের সময় : ২৫ জুলাই, ২০২১, ১২:০২ এএম

নগর-মহানগরগুলোতে কোরবানির বর্জ্য পরিষ্কারে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্তৃপক্ষের পাশাপাশি যৌথভাবে বা সমন্বিতভাবে স্বেচ্ছাসেবীরাও অংশ নিতে পারেন। এর জন্য ঈদের আগেই নিজেদের মতো করে ব্যবস্থা নিতে হবে। কোরবানি হয়ে যাওয়ার পরে যেসব বর্জ্য তৈরি হবে সেসব যাতে সাথে সাথে ব্লিচিং পাউডার ও অন্যান্য পরিষ্কারক দ্রব্য ব্যবহার করে পরিষ্কার করা যায়। গ্রাম-মহল্লাতে পরিচ্ছন্ন কর্মী না থাকলে ব্যক্তি পর্যায়ে পদক্ষেপ নিয়ে বর্জ্য অপসারণ করা যেতে পারে। খেয়াল রাখতে হবে, কোরবানির বর্জ্য যেন নদীতে ফেলা না হয়। যারা নিজেদের বাড়িতে কোরবানি করবেন তাদেরকে অবশ্যই নিজ দায়িত্বে বর্জ্য পরিষ্কার করতে হবে। কোরবানির পর এই বর্জ্য নিজের বাসা/বাড়ির সামনে ফেলে রাখা যাবে না। এতে বর্জ্যগুলো পচে গন্ধ ছড়ায় এবং মশা-মাছির চারণক্ষেত্রে পরিণত হয়, যা পরিবেশের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। জবাইকৃত পশুর গোবর ও উচ্ছিষ্ট আলাদা করে খোলাভাবে না ফেলে সেগুলো ব্যাগে ভরে নির্ধারিত স্থান যেমন নিকটস্থ ডাস্টবিন বা মাটির ভিতর গর্ত করে রাখতে পারেন। পশু জবাইয়ের স্থানে কোরবানির পর পশুর রক্ত জীবাণুনাশক মিশ্রিত পানি দিয়ে ধুয়ে দিতে পারেন যাতে করে দুর্গন্ধ বা জমে থাকা পানিতে মশা ডিম পারতে না পারে। আসুন, সকলে মিলে কোরবানির বর্জ্য যথাসময়ে পরিষ্কার করে স্বাস্থ্যকর, পরিচ্ছন্ন ও দুর্গন্ধমুক্ত পরিবেশ তৈরি করতে উদোগী হই।

সোহেল ইসলাম জাফর
দর্শন বিভাগ, ঢাকা কলেজ, ঢাকা।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন