সড়কে মৃত্যুর মিছিল যেন থামছেই না। ওভারটেকিং, ত্রুটিপূর্ণ যানবাহন, বেপরোয়া গতি, চালকের শারীরিক মানসিক অসুস্থতা, বেতন ও কর্মঘণ্টা নিদিষ্ট না থাকা, যাত্রী ও পথচারীদের অসচেতনতা, সরকারের অব্যবস্থাপনা যার মূল কারণ। রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের ‘সড়ক দুর্ঘটনার বার্ষিক প্রতিবেদন-২০২০’র তথ্য মতে ২০১৯ সালের তুলনায় ২০২০ সালে সড়ক দুর্ঘটনার সংখ্যা শূন্য দশমিক ৮৯ শতাংশ বেড়েছে। প্রাণহানি বেড়েছে চার দশমিক ২২ শতাংশ। করোনার সংক্রমণের কারণে ২০২০ সালে দুই মাস সড়কে পরিবহন চলাচল বন্ধ থাকার পরেও দুর্ঘটনা ২০১৯ সালের তুলনায় বেড়েছে বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। বর্তমান সময়ে সড়ক দুর্ঘটনা এক ভয়াবহ কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে। অন্যদিকে সড়ক পরিবহন খাতে শান্তি ও শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠায় সরকারের দৃশ্যমান অগ্রগতি নেই বললেই চলে। দুর্নীতি, চাঁদাবাজি, অসুস্থ রাজনীতি পরিবহন খাতের জন্য এক নিত্য নৈমিত্তিক ব্যাপার। এমতাবস্থায় সড়কে শান্তি শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে সরকারের অবশ্যই উদ্যোগ নিতে হবে। দক্ষ চালকের সংখ্যা যেমন বাড়াতে হবে তেমনি চালকের বেতন ও কর্মঘণ্টা নির্দিষ্ট করতে হবে। গণপরিবহনে চাঁদাবাজি বন্ধ করতে হবে। পরিবহনের মালিক-শ্রমিক, যাত্রী-পথচারীদের ট্রাফিক আইন মানতে বাধ্য করতে হবে। বিআরটিএ ও সরকারের তদারকি বাড়াতে হবে। ‘সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮’র সুষ্ঠু প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে।
মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন
শিক্ষার্থী, ঢাকা কলেজ
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন