লকডাউনে যে যার মতো দিন কাটাচ্ছেন। তবে ভারতের আন্তর্জাতিক আম্পায়ার অনিল চৌধুরীর দশা বোধহয় সবার থেকে আলাদা। মোবাইলে কথা বলার জন্য গাছের মগডালে উঠতে হচ্ছে তাঁকে!
সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে হয়তো ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা ওয়ানডে সিরিজে আম্পায়ার হতেন তিনি। কিন্তু সেই সিরিজ ভেস্তে যাওয়ায় ১৬ মার্চ ছেলেকে নিয়ে উত্তরপ্রদেশে শামলি জেলায় পৈতৃক বাড়ি ডানগ্রোল গ্রামে এসেছিলেন। ইচ্ছে ছিল, সেখানে এক সপ্তাহ ছুটি কাটানোর। তারপরই লকডাউন হয়ে যায়। ফলে দিল্লিতে নিজের বাড়ি ফিরতে পারেননি। তার কথায়, ‘দুই ছেলেকে নিয়ে ১৬ মার্চ থেকে আমি এখানে। পরিকল্পনা ছিল, এখানে এক সপ্তাহ থাকব। এরপরই লকডাউন ঘোষণা করা হয়। আমি নির্দেশনাগুলো মানছি। আমার মা ও স্ত্রী আছে দিল্লিতে।’
অনিল জানান, দিল্লি থেকে এই গ্রামের দূরত্ব মাত্র ৮৫ কিলোমিটার হলেও গত এক বছর ধরে এখানে মোবাইল নেটওয়ার্ক সমস্যা কাটছে না, ‘সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো, এখানকার মোবাইল নেটওয়ার্ক। আমি কারও সঙ্গে কথা বলতে পারছি না, ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারছি না। তাই নেটওয়ার্ক পেতে গ্রামের বাইরে গিয়ে গাছের ওপর উঠতে হচ্ছে। কিংবা ছাঁদে উঠতে হচ্ছে। এরপরও সব সময় নেটওয়ার্ক পাওয়া যাচ্ছে না। কারও সঙ্গে ফোনে কথাও বলতে পারছি না।’
আম্পায়ারদের জন্য আইসিসি’র অনলাইন প্রোগ্রামগুলোতে ইন্টারনেট খুব দরকার বলে জানান অনিল। ইন্টারনেট না থাকায় তার এক ছেলের পড়াশোনারও ক্ষতি হচ্ছে বলেও জানান, ‘আমার এক ছেলে হিন্দু কলেজে পড়ে। অনলাইনে তার ক্লাস চলছে। কিন্তু সে এগুলোতে যোগ দিতে পারছে না।’
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন