কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত ৮৯ হাজার পরিবারকে খাদ্য ও অর্থ সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। এছাড়াও ৯০হাজার শিশু খাদ্য মজুদ আছে বলে জেলা ত্রাণ ও পূণর্বাসন অফিস সূত্রে জানা গেছে।
জেলা ত্রাণ ও পূণর্বাসন অফিস সূত্রে জানা যায়, করোনা পরিস্থিতিতে কর্মহীন সাধারণ মানুষকে সহযোগিতা করতে জেলা প্রশাসন থেকে ৯টি উপজেলায় ৭৯ হাজার পরিবারকে খাদ্য সহায়তা এবং ১০ হাজার ২২৩টি পরিবারকে নগদ ৩০ লাখ ৬৭ হাজার টাকা বিতরণ করা হয়।
এরমধ্যে সদর উপজেলায় ৯ হাজার ৯শ’ পরিবারকে ৯৯ মে.টন খাদ্য এবং ২ হাজার ৪৩৭ পরিবারকে নগদ ৭ লক্ষ ৩০ হাজার ৯৫০টাকা বিতরণ করা হয়। নাগেশ^রী উপজেলায় ১৪ হাজার ৯৫০ পরিবাওে ১৪৯ দশমিক ৫০ মে.টন খাদ্য ও ১ হাজার ৭২৮ পরিবারকে নগদ ৫ লক্ষ ১৮ হাজার ২৫০ টাকা, ভুরুঙ্গামারী উপজেলায় ১০ হাজার ৫৩০ পরিবারকে ১০৫ দশমিক ৩ মে.টন খাদ্য এবং ১ হাজার ১৬৮ পরিবারকে নগদ ৩লক্ষ ৫০ হাজার ৫শ’ টাকা, ফুলবাড়ি উপজেলায় ৬ হাজার ৩৬০ পরিবারকে ৬৩ দশমিক ৬০ মে.টন খাদ্য এবং ৭০৩ পরিবারকে নগদ ২লক্ষ ১০ হাজার ৯শ’ টাকা, রাজারহাট উপজেলায় ৭ হাজার ৪১০ পরিবারকে ৭৪ দশমিক ১০ মে.টন খাদ্য এবং ৮২৭ পরিবারকে নগদ ২লক্ষ ৪৮ হাজার ৫০ টাকা, উলিপুর উপজেলায় ১৩ হাজার ৯শ’ পরিবারকে ১৩৯ মে.টন খাদ্য এবং ১ হাজার ৬০৪ পরিবারকে নগদ ৪লক্ষ ৮১হাজার ১শ’ টাকা, চিলমারী উপজেলায় ৬ হাজার ৩৬০ পরিবারকে ৩৬ দশমিক ৬০ মে.টন খাদ্য এবং ৭০৩ পরিবারকে নগদ ২লক্ষ ১০ হাজার ৯শ’ টাকা, রৌমারী উপজেলায় ৬ হাজার ৩৬০ পরিবারকে ৩৬ দশমিক ৬০ মে.টন খাদ্য এবং ৭০৩ পরিবারকে নগদ ২লক্ষ ১০ হাজার ৯শ’ টাকা এবং চর রাজিবপুর উপজেলায় ৩ হাজার ২৩০ পরিবারকে ৩২ দশমিক ৩০ মে.টন খাদ্য এবং ৩৫২ পরিবারকে নগদ ১লক্ষ ৫হাজার ৪৫০ টাকা বিতরণ করা হয়।
এছাড়াও তিনটি পৌরসভার মধ্যে কুড়িগ্রাম পৌরসভায় বরাদ্দ ২০ মে.টন খাদ্য সামগ্রীর মধ্যে ১৮ মে.টন, নাগেশ^রী পৌরসভায় বরাদ্দ ১৯ মে.টনের মধ্যে ১ মে.টন এবং উলিপুর পৌরসভায় ১৭মে.টন খাদ্য সামগ্রির মধ্যে ১১ মে.টন বিতরণ করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল করিম জানান, আমরা সার্বক্ষণিকভাবে উপজেলাগুলোতে খোঁজখবর রাখছি। চলমান এই পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে সরকার সজাগ রয়েছে। তবে করোনা প্রতিরোধে সকলকে সচেতন হতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে এবং সকলকে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন