শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

লকডাউনের মাঝে জানাজায় জনসমুদ্র, সামাজিক মাধ্যমে প্রতিক্রিয়া

আবদুল মোমিন | প্রকাশের সময় : ১৮ এপ্রিল, ২০২০, ৮:৩৫ পিএম

চলমান করোনা পরিস্থিতিতে লকডাউন উপেক্ষা করে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নামাজে জানাযায় হাজার হাজার মানুষ অংশ নেয়ায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে সামাজিক মাধ্যমে। এ নিয়ে নানা মন্তব্য করেছেন নেটিজেনরা।

শনিবার বাংলাদেশ খেলাফত মজলিশের সিনিয়র নায়েবে আমীর আর্ন্তজাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ইসলামী আলোচক মাওলানা জুবায়ের আহমদ আনসারীর নামাজে জানাযায় মানুষের ঢল নামে। সকাল ১০ টায় নিজের প্রতিষ্ঠিত সরাইলের জামিয়া রহমানিয়া বেড়তলা মাদ্রাসায় এই জানাযা অনুষ্ঠিত হয়। মাদ্রাসার প্রান্তর ছাড়িয়ে জানাযার সারি দীর্ঘ হয় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে। ফলে করোনা ঝুঁকির মধ্যে গুরুতরভাবে ব্যাহত হয় সামাজিক দুরত্ব বিধি।

ফেইসবুকে মেহেদী হাসান পলাশ লিখেছেন, ‘‘যে জাতি করোনার ভয় মাকে জঙ্গলে ফেলে আসে, বাবার লাশ হাসপাতালে রেখে পালায়, স্ত্রীর জানাজায় অংশ নেয় না, ডাক্তারদের ঘরে উঠতে দেয় না। সেই জাতি পীরের জানাজায় অংশ নেয়ার জন্য উন্মাদ!! এই জাতিকে বোঝা কার সাধ্য!’’

ফয়সাল রহমান খান লিখেছেন, ‘‘তিনি একজন বড় আলেম।তাই তার জানাযায় মানুষকে আটকে রাখা কঠিন হইত, এখন এখান থেকে কোন রোগ না হলেই হয়, আমাদের দেশে এরকমই হবে, এটাই স্বাভাবিক, সামনেই তারাবি এর নামাজ এর ব্যাপার ও আসবে, বাংগালী মুসুল্লিরা ফরজ পরুক বা না পরুক, তারাবি এর জন্য জীবন দিতেও রাজি থাকবে। তাই অনেক মসজিদে লুকিয়েও তারাবি হইতে পারে, তাই লকডাউন দিয়ে আপাতত আমাদের দেশে হয়ত করনা ঠেকানো সম্ভব হবে না।’’

জনি বাগমার লিখেছেন, ‘‘জানাজা নামাজ ফরজে কিফায়া, মসজিদের ফরজ নামাজে যেখানে বিধিনিষেধ এবং অনেকে সেটা মেনে চলছেন, সেখানে ফরজে কিফায়া নামাজের জন্য মানুষের জমায়েত হওয়া একদম উচিৎ হয়নি। মহামারীর সময় হুজুরের জন্য বাসায় বসে দোয়া করলে পারতেন।’’

খান মুন্তাসির মামুন লিখেছেন, ‘‘দোষ সব ব্রাহ্মনবাড়িয়ার, তাই না! ...আজকে যদি ভাতের কিংবা ভোটের দাবীতে এতো লোক পথে নামতো, তাহলে দেখতেন বীর রাষ্ট্রের বাহুবল! তাহলে দেখতেন সংক্রামক ব‌্যাধি আইন কাকে বলে!’’

নাসির উদ্দিন আসিক লিখেছেন, ‘‘ওরা হুজুগে বাঙালি, জানাজা পড়া হচ্ছে ফরজে কেফায়া অর্থাৎ দেশের পরিস্থিতি অনুযায়ী কম লোকের মাধ্যমে দুরত্ব বজায় রেখে ও জানাজা পড়া যেত,,, লকডাউন অমান্য করে দেশে খারাপ পরিস্থিতি হলে এর দায়ভার কে নেবে? প্রশাসনকে দোষারোপ করে কি লাভ,,আমরা নিজেরা ঠিক নেই।’’

কাজী সাইফুদ্দিন লিখেছেন, ‘‘এই অন্ধ আবেগে সর্বনাশ ডেকে আনছেন ওনারা। কোথায় সামাজিক দূরত্ব । যেখানে মানুষ জুমমার নামাজ আদায় করতে পারছেন না করোনা ভাইরাস থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য। সেখানে এনাদের দেখে মনে হচ্ছে যে তারা সাধারন জ্ঞান আর কাণ্ডজ্ঞান দুটোই হারিয়ে ফেলেছেন। অন্যদের জন্য তো বটেই নিজেদের সর্বনাশ ডেকে আনছেন।’’

মো. ইসমাইল লিখেছেন, ‘‘মরহুমের প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা থাকাটা স্বাভাবিক। তাই বলে এই দূর্যোগের সময় আলেম সমাজ দায়িত্বহীনতার যে উদাহরণ সৃষ্টি করলেন তা অনভিপ্রেত। আল্লাহই জানেন কেনা জানি, আশেপাশের লোকদের সংক্রমিত করার দায়িত্ব নিয়ে ফিরে গেছেন।’’

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (4)
Dr Abdul Momin ১৮ এপ্রিল, ২০২০, ৯:৫০ পিএম says : 0
Very Very Sad.....Innalillah
Total Reply(0)
Md Rafiqul Islam ১৮ এপ্রিল, ২০২০, ১১:২৭ পিএম says : 0
all attender in namaje janaja seem to be mad because their bahujur said musalli bounden is under saria law and my question is todays crowd undesr saria law?.
Total Reply(0)
রেজাউল করীম ৪ মে, ২০২০, ৪:২৮ এএম says : 0
শুধু আপনাদের মনমতো বাছাই করে কমেন্ট আনছেন। কেন হিন্দুদের মন্দীরে এত করোনা রোগী পাওয়া গেল, তা নিয়ে আপনাদের কোন মাথাব্যাথা নাই!!
Total Reply(0)
রেজাউল করীম ৪ মে, ২০২০, ৪:৫৫ এএম says : 0
শুধু আপনাদের মনমতো বাছাই করে কমেন্ট আনছেন। কেন হিন্দুদের মন্দীরে এত করোনা রোগী পাওয়া গেল, তা নিয়ে আপনাদের কোন মাথাব্যাথা নাই!!
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন