সোমবার ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

শান্তি ও সমৃদ্ধির পথ ইসলাম

দরূদ শরীফ পাঠ একটি গুরুত্বপূর্ণ আমল

মাওলানা আব্দুল কুদ্দুছ | প্রকাশের সময় : ২৯ এপ্রিল, ২০২০, ১২:০৩ এএম

দুরূদ শরীফ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি আমল। দ্বীনি কোনো মজলিসে বা হাদিসের তা’লীমে হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নাম আসতে পারে। তখন আমরা অবশ্যই দুরূদ পাঠ করব। গাফলত ও উদাসীনতায় যেন তা ছুটে না যায়। আর দুরূদ শরীফ পড়তে হবে ভক্তি ও শ্রদ্ধাসহকারে শুদ্ধভাবে। তাড়াহুড়ো করে যেন উচ্চারণ না করি।

আদব ও মহব্বতের সঙ্গে মুখ ভরে বলতে হবে- সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। মনে রাখতে হবে, দুরূদ শরীফ দ্বারা হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কোনো ফায়দা হয় না। দুরূদের ফায়দা ও উপকারিতা আমাদের নিজেদের। কারণ, আমরা সকলে মিলে আজীবন দরূদ পড়লেও হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর যে মর্যাদা রয়েছে তা একটুও বৃদ্ধি পাবে না।

আল্লাহপাকের পরই হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর মর্যাদা ও অবস্থান। আমাদের দুরূদের দ্বারা তাঁর মর্যাদা বৃদ্ধি পাবে না। তদ্রুপ কেউ যদি দুরূদ না পড়ে, তা হলে হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর মান-মর্যাদা ক্ষুন্ন হবে না বা তাঁর কোনো ক্ষতি হবে না; বরং ক্ষতি হবে আমাদের নিজেদেরই। যেমনটা উল্লিখিত হাদিসে বলা হয়েছে।

এছাড়া অপর এক হাদিসে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, প্রকৃত কৃপণ তো সে যার সামনে আমার নাম আলোচিত হয় অথচ সে আমার প্রতি দুরূদ পাঠ করে না। (শুআবুল ঈমান : ১৫৬৮)। এ জন্য আমাদের দুরূদ শরীফ পাঠে গুরুত্ব দেয়া উচিত। দুরূদ পড়ার ফায়দাগুলো জানা থাকলে তা পড়ার প্রতি আমাদের আগ্রহ জাগবে। দুরূদের অনেক ফায়দা রয়েছে।

দুরূদের ফায়দা : হযরত আনাস রাযি. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, যে ব্যক্তি আমার প্রতি এক বার দুরূদ পাঠ করবে আল্লাহ তাআলা তার প্রতি দশটি রহমত নাযিল করবেন, দশটি গোনাহ মাফ হবে এবং তার দশটি মর্যাদা বৃদ্ধি পাবে। (সুনানে নাসাঈ : ১২৯৭)।

উল্লিখিত হাদিসে দুরূদ পাঠের তিনটি ফায়দা বর্ণিত হয়েছে, ১. দশটি রহমত নাযিল হবে। ২. দশটি গোনাহ ক্ষমা করা হবে। ৩. দশটি মর্যাদা বৃদ্ধি পাবে। মাত্র একবার দুরূদ পাঠ করলেই এ উপকার ও ফায়দা! তা ছাড়া দুরূদের দ্বারা দুশ্চিন্তা দূর হয়। যে ব্যক্তি চায় তার দুশ্চিন্তা ও পেরেশানী দূর হোক সে যেন বেশি বেশি দুরূদ পাঠ করে।
দুরূদের দ্বারা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সঙ্গে হৃদয়ের সম্পর্ক সুদৃঢ় হয়, গভীর ভালোবাসা ও মহব্বত সৃষ্টি হয়। আমরা বেশি বেশি দুরূদ পাঠে সচেষ্ট হই। বিশেষত রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নাম নেয়া হলে অবশ্যই দুরূদ পড়ব।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (7)
গোলাম কাদের ২৯ এপ্রিল, ২০২০, ১:৪৬ এএম says : 0
বিশ্বনবীর আদর্শ জীবন অনুসরণ ও অনুকরণের পাশাপাশি তার প্রতি দরূদ পাঠ করা প্রত্যেক ঈমানদারের আবশ্যক কর্তব্য।
Total Reply(0)
রিপন ২৯ এপ্রিল, ২০২০, ১:৪৬ এএম says : 0
রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, কিয়ামাতের দিন সেই ব্যক্তিই আমার সবচেয়ে নিকটবর্তী হবে যে আমার প্রতি বেশি বেশি দরূদ পাঠ করে। (তিরমিজি)
Total Reply(0)
নোমান ২৯ এপ্রিল, ২০২০, ১:৪৭ এএম says : 0
রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উম্মাতকে সতর্ক করে দিয়ে বলেন, যে ব্যক্তির উপস্থিতিতে আমার নাম উচ্চারিত হবে, কিন্তু আমার প্রতি দরূদ পাঠ করবে না, সে বড় কৃপণ। (তিরমিজি)
Total Reply(0)
লোকমান ২৯ এপ্রিল, ২০২০, ১:৪৭ এএম says : 0
অপর বর্ণনায় রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, ‘যে ব্যক্তি আমার প্রতি একবার দরূদ পাঠ করে। আল্লাহ তার প্রতি দশবার রহমত নাযিল করেন, এবং তার দশটি গোনাহ (ছগিরা) মাফ করা হয়, ও তার দশটি মর্যাদা বৃদ্ধি করা হয়। (নাসাঈ)
Total Reply(0)
সাদ্দাম ২৯ এপ্রিল, ২০২০, ১:৪৮ এএম says : 0
আসুন আল্লাহ তাআলার নির্দেশ পালন এবং রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের জীবনাদর্শ বাস্তবায়ন করি। পাশাপাশি তাঁর প্রতি ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ স্বরূপ দরূদ পাঠ করে তার শাফায়াত লাভে স্বচেষ্ট হই।
Total Reply(0)
মাসুম ২৯ এপ্রিল, ২০২০, ১:৪৮ এএম says : 0
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে বেশি বেশি দরূদ পাঠ করার তাওফিক দান করুন। আমিন।
Total Reply(0)
Md Abdul Mannan ২৯ এপ্রিল, ২০২০, ৫:২০ এএম says : 0
I like your islamic page. I also want to send islamic articles. Give me an e-mail number to send islamic articles, please.
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন