করোনাভাইরাসজনিত পরিস্থিতিতে কোনো কোনো জায়গায় ওষুধ স্বল্পতা দেখা দিচ্ছে। বিশেষ করে জ্বর, সর্দি, ঠান্ডার ওষুধগুলো কখনও কখনও কম পাওয়া যাচ্ছে অনেক জায়গায়। বাজার যথেষ্ট পরিমাণ তদারকি করলেও এ সময়গুলোতে হঠাৎ এ ওষুধগুলোর স্বল্পতা দেখা দিতে পারে অধিক চাহিদার কারণেই। আবার কৃষির কথা চিন্তা করুন। কৃষিতে মাঠে ফসল ফললেও অনেক সময় কম চাহিদার কারণে সে ফসলগুলো আরতে কৃষকরা বিক্রি করতে পারছে না। কারণ, আরত বন্ধ থাকছে। এখন কোনো কৃষক যখন তার উৎপাদিত পণ্য সঠিক সময় বিক্রি করতে পারবে না, তখন সে পরবর্তিতে চাষের উৎসাহ হারাবে এবং আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্তও হবে। সুতরাং মাঠে ফসল আছে এবং খাদ্যের চাহিদাও আছে; কিন্তু সঠিক সময়ে বিক্রির ব্যবস্থা না থাকার কারণে যদি খাদ্যসঙ্কট দেখা দেয় এটা অর্থনীতির জন্য ক্ষতিকর হবে। ওষুধ বা অন্যান্য পণ্যগুলোর ক্ষেত্রেও একই কথা। উৎপাদিত পণ্যকে গ্রাহক পর্যন্ত এই সময়ে পৌঁছাতে সুন্দর একটি ব্যবস্থাপনা প্রয়োজন। প্রয়োজনে কৃষি পণ্যকে সারাদেশে ছড়িয়ে দেয়ার জন্য প্রশাসনের সহযোগিতায় আড়তগুলো সকালে এক ঘণ্টা সুন্দরভাবে পরিচালনা করা যেতে পারে। কোনো জায়গায় যাতে ওষুধের স্বল্পতা সৃষ্টি না হয় এজন্য এখনি প্রয়োজন দ্রæত ওষুধের কাঁচামালের নিশ্চয়তা প্রদান ও বাজার বিশ্লেষণ। যদিও বাজার বিশ্লেষণ হচ্ছে কিন্তু ঘাটতি বিশ্লেষণ করে তার ব্যবস্থা নেয়া বেশি দরকারি। সরকারি হাসপাতাল ও কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোতে ওষুধের পর্যাপ্ততা নিশ্চিত করাও বড় কাজ বলে মনে করি। সারাদেশে খাদ্য ও ওষুধ সামগ্রী সঠিকভাবে পৌঁছে দেয়া গেলেই আমাদের অর্থনীতি আবার দাঁড়িয়ে যাবে। এ ব্যপারে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, ওষুধ প্রশাসনসহ সকলের দৃষ্টিপাত আশা করছি ।
শ্রীপুর, গাজীপুর
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন