ঢাকায়ও বিস্তৃত হয়েছে তাপপ্রবাহ। গরমে ঘামে হাঁসফাঁস অবস্থা দেশজুড়ে। আগামী শনিবার পর্যন্ত দিন ও রাতের তাপমাত্রা বৃদ্ধির আভাস দিয়েছে আবহাওয়া বিভাগ। এ সময় বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি-বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। বাতাসে এখন জলীয়বাষ্পের পরিমান বেশি (ঢাকায় দিনে ৯৪, রাতে ৫০ শতাংশ) থাকায় ভ্যাপসা গা-জ্বলা গরম পড়ছে। করোনা-মহামারীকালে শুরু থেকে প্রায় চার সপ্তাহ শীতল বাতাস, মেঘ-বাদলের ছায়ায় বৈশাখী আবহাওয়া ছিল কোমল এবং স্বস্তিদায়ক।
হঠাৎ তেঁতে ওঠা গ্রীষ্মের তাপদাহে ইতোমধ্যেই সর্দি-কাশি, জ্বর, ডায়রিয়া, আমাশয়, হাঁপানিসহ মৌসুমী রোগের প্রকোপ জনমনে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। এমনিতেই করোনা-ভীতি চারদিকে। গতকাল প্রায় সারাদেশে শুষ্ক আবহাওয়ায় দিনমান কড়া সূর্য তেজ ছড়ায়। দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল যশোরে ৩৭ ডিগ্রি সে.। ঢাকায়ও পারদ সর্বোচ্চ ৩৬.৫ এবং সর্বনিম্ন ২৫.৬ ডিগ্রিতে উঠে গেছে। রাতের গরমও অসহনীয়। সিলেটে মাত্র ৩ মিলিমিটার ছাড়া বৃষ্টি পড়েনি কোথাও।
আবহাওয়া বিভাগ জানায়, খুলনা, বরিশাল বিভাগসহ ঢাকা, ফরিদপুর, মাদারীপুর, কিশোরগঞ্জ, ময়মনসিংহ, রাজশাহী, পাবনা, ফেনী ও নোয়াখালী অঞ্চলে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং কোথাও কোথাও তা অব্যাহত থাকতে পারে।
আজ সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে জানা গেছে, সিলেট ও ময়মনসিংহ বিভাগের কিছু জায়গায় এবং অন্য বিভাগগুলোর দুয়েক স্থানে অস্থায়ী দমকা হাওয়াসহ বিচ্ছিন্ন বৃষ্টি-বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকবে। তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও সংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ রয়েছে দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে।
চমেক হাসপাতালের মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. নুর মোহাম্মদ বলেন, করোনা সংক্রমণ রোধে সতর্কতার পাশাপাশি এই তীব্র গরমে স্বাস্থ্য সতর্কতা অনুসরণ জরুরি। এ সময়ে সর্দি-কাশি, জ্বর, গলাব্যাথা, ডায়রিয়া, আমাশয় ইত্যাদি মৌসুমী রোগের প্রকোপ রোধে ধুলোবালি, ধোঁয়ার দূষণ, রোদ এড়িয়ে চলা, সার্বিক পরিচ্ছন্নতার নিয়ম মেনে চলা উচিৎ। ঘন ঘন বিশুদ্ধ পানি ও পানীয় পান, পুষ্টিযুক্ত খাবার গ্রহণ, তৈলাক্ত খাবার এড়ানো প্রয়োজন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন